ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সিরিজ জয় : অভিনন্দন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সামর্থ্য সমীহ আদায় করার মতো। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নও ক্যারিবীয় দেশপুঞ্জের এই দলটি। টি-টোয়েন্টির প্রথম খেলায় বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের কাছে হারলেও ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় খেলায় তারা জয় ছিনিয়ে নেয় ১২ রানে। তৃতীয় ও শেষ খেলায় ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডি-এল পদ্ধতিতে ১৯ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পাহাড় গড়ে তোলে বাংলাদেশ। ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে লিটন দাস করেন ৩২ বলে ৬১ রান। জয়ের জন্য ১৮৫ রানের বড় টাগেট সামনে রেখে স্বচ্ছন্দে এগোতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে সেরা ও দুর্দান্ত বলে পরিচিত দলটি উজ্জীবিত টাইগারদের কাছে ছিল নিষ্প্রভ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর আন্দ্রে রাসেল একাই লড়েছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সতীর্থরা একের পর এক আত্মসমর্পণ করলেও অলরাউন্ডার রাসেল চালিয়ে গেছেন কঠিন লড়াই। মুস্তাফিজুর রহমানের ফুলটস উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে একেবারে সীমানার কাছে আরিফুল হকের তালুবন্দী হন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ম্যাচের ফল কার্যত নির্ধারিত হয়ে যায় ওই আউটেই। রাসেল সাজঘরে ফিরতেই নামে বৃষ্টি। ১৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৫ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ওই পর্যন্তই। ডি-এল পদ্ধতিতে জিতে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মনে হচ্ছিল টাইগাররা ২০০ রান ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৭ করা বাংলাদেশ পরের ১০ ওভারে করেছে ২ উইকেটে ৮৭। ১৬.৩ ওভারে বৃষ্টি-বিরতির পর রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর ২০ বলের ঝড়ো ৩২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে সহায়তা করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগাররা টেস্টে যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছে স্বাগতিকদের কাছে। মনে হয়েছিল ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টিতে হয়তো একই ধরনের হতাশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছুটে গিয়ে মৃতপ্রায় দলে যে প্রাণসঞ্জীবনী সৃষ্টি করেন তার বদৌলতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওয়ান ডে সিরিজে আসে ২-১ ম্যাচের ব্যবধানে সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ জয় একই ব্যবধানে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের যে কৃতিত্ব টাইগাররা দেখিয়েছে তা ক্রিকেটের এই সংস্করণে তাদের আরও একধাপ এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে। সিরিজ জয়ের জন্য সাকিব আল হাসান বাহিনীকে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সিরিজ জয় : অভিনন্দন

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সামর্থ্য সমীহ আদায় করার মতো। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নও ক্যারিবীয় দেশপুঞ্জের এই দলটি। টি-টোয়েন্টির প্রথম খেলায় বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের কাছে হারলেও ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় খেলায় তারা জয় ছিনিয়ে নেয় ১২ রানে। তৃতীয় ও শেষ খেলায় ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডি-এল পদ্ধতিতে ১৯ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের পাহাড় গড়ে তোলে বাংলাদেশ। ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে লিটন দাস করেন ৩২ বলে ৬১ রান। জয়ের জন্য ১৮৫ রানের বড় টাগেট সামনে রেখে স্বচ্ছন্দে এগোতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে সেরা ও দুর্দান্ত বলে পরিচিত দলটি উজ্জীবিত টাইগারদের কাছে ছিল নিষ্প্রভ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর আন্দ্রে রাসেল একাই লড়েছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সতীর্থরা একের পর এক আত্মসমর্পণ করলেও অলরাউন্ডার রাসেল চালিয়ে গেছেন কঠিন লড়াই। মুস্তাফিজুর রহমানের ফুলটস উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে একেবারে সীমানার কাছে আরিফুল হকের তালুবন্দী হন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ম্যাচের ফল কার্যত নির্ধারিত হয়ে যায় ওই আউটেই। রাসেল সাজঘরে ফিরতেই নামে বৃষ্টি। ১৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৫ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ওই পর্যন্তই। ডি-এল পদ্ধতিতে জিতে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মনে হচ্ছিল টাইগাররা ২০০ রান ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৭ করা বাংলাদেশ পরের ১০ ওভারে করেছে ২ উইকেটে ৮৭। ১৬.৩ ওভারে বৃষ্টি-বিরতির পর রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর ২০ বলের ঝড়ো ৩২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে সহায়তা করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগাররা টেস্টে যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছে স্বাগতিকদের কাছে। মনে হয়েছিল ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টিতে হয়তো একই ধরনের হতাশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছুটে গিয়ে মৃতপ্রায় দলে যে প্রাণসঞ্জীবনী সৃষ্টি করেন তার বদৌলতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওয়ান ডে সিরিজে আসে ২-১ ম্যাচের ব্যবধানে সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ জয় একই ব্যবধানে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের যে কৃতিত্ব টাইগাররা দেখিয়েছে তা ক্রিকেটের এই সংস্করণে তাদের আরও একধাপ এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে। সিরিজ জয়ের জন্য সাকিব আল হাসান বাহিনীকে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।