ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময় সভায় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

নদ-নদী রক্ষায় প্রশাসনকে আইনের সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার নদ-নদী রক্ষার্থে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের সচিব ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা দখল, ময়লা আবর্জনা, বালু উত্তোলন, শিল্প কারখানা বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলার কারনে দেশের সকল নদ-নদী গুলোর আসল রূপ পাল্টে যাচ্ছে। ভরাটের কারণে নদী গুলো ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। নদীর আশ পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নদ-নদী বাঁচাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার ও দুষণমুক্ত করতে পারলে নদী তার নিজস্ব স্মৃতি চিহ্ন ফিরে পাবে। নদীমাতৃক আমাদের বাংলাদেশ। যেকোন মূল্যে দখল, দুষণের কবল থেকে নদ-নদীগুলো রক্ষা করতেই হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সকল প্রকার সহযোগিতা দেবে।
এসময় তিনি আরো বলেন- নদ-নদী, খাল, বিল রক্ষায় প্রশাসনকে তার আইনের সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। নদ-নদী প্রতিটি নাগরিকের। এটি কারো একার নয়। নদীর দখলদারদের আমরা ছাড় দিব না। তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব স্থানে নদ-নদী দখল ও দূষণ হয়ে যাচ্ছে তার কারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জানা জরুরী। এর পিছনে কোন মহল জড়িত তাদের খুঁজে বেড় করে প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। প্রশাসনের কর্মরত কর্মকর্তাদের ভয় পেলে চলবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দীন বলেন, নদী রক্ষা ও ভাঙ্গন রোধ করতে হলে পানির সঠিক ব্যবহার, নদীর নাব্যতা রক্ষায় আমাদের চ্যালেঞ্জ ও মাস্টার প¬ান নিতে হবে। আমাদের কমিশন আগের মতো নেই। নদ-নদীর সুরক্ষায় আমরা এখন কঠোর অবস্থানে আছি। বর্ষা মৌসুমে আমরা যে পানি পাই তা আমরা ধরে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের এই পানিকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষায় যে সব অংশে পলি পড়েছে সেখানে খনন করতে হবে প্রতিবছর।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীন, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরি জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস.এম ই¯্রফিল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে পাঠ করেন পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহ আলম সনি, জেলা ব্রাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গির আলম প্রমূখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময় সভায় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অগাস্ট ২০১৮

নদ-নদী রক্ষায় প্রশাসনকে আইনের সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার নদ-নদী রক্ষার্থে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের সচিব ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা দখল, ময়লা আবর্জনা, বালু উত্তোলন, শিল্প কারখানা বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলার কারনে দেশের সকল নদ-নদী গুলোর আসল রূপ পাল্টে যাচ্ছে। ভরাটের কারণে নদী গুলো ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। নদীর আশ পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নদ-নদী বাঁচাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার ও দুষণমুক্ত করতে পারলে নদী তার নিজস্ব স্মৃতি চিহ্ন ফিরে পাবে। নদীমাতৃক আমাদের বাংলাদেশ। যেকোন মূল্যে দখল, দুষণের কবল থেকে নদ-নদীগুলো রক্ষা করতেই হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সকল প্রকার সহযোগিতা দেবে।
এসময় তিনি আরো বলেন- নদ-নদী, খাল, বিল রক্ষায় প্রশাসনকে তার আইনের সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। নদ-নদী প্রতিটি নাগরিকের। এটি কারো একার নয়। নদীর দখলদারদের আমরা ছাড় দিব না। তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব স্থানে নদ-নদী দখল ও দূষণ হয়ে যাচ্ছে তার কারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জানা জরুরী। এর পিছনে কোন মহল জড়িত তাদের খুঁজে বেড় করে প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। প্রশাসনের কর্মরত কর্মকর্তাদের ভয় পেলে চলবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দীন বলেন, নদী রক্ষা ও ভাঙ্গন রোধ করতে হলে পানির সঠিক ব্যবহার, নদীর নাব্যতা রক্ষায় আমাদের চ্যালেঞ্জ ও মাস্টার প¬ান নিতে হবে। আমাদের কমিশন আগের মতো নেই। নদ-নদীর সুরক্ষায় আমরা এখন কঠোর অবস্থানে আছি। বর্ষা মৌসুমে আমরা যে পানি পাই তা আমরা ধরে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের এই পানিকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষায় যে সব অংশে পলি পড়েছে সেখানে খনন করতে হবে প্রতিবছর।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জসীম উদ্দীন, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরি জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস.এম ই¯্রফিল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে পাঠ করেন পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহ আলম সনি, জেলা ব্রাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গির আলম প্রমূখ।