ইপেপার । আজ বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

৪ দিনেও জবি’র মেধাবী ছাত্র মারুফদহের আরিফুলের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হয়নি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে

মতিন নামের আরো এক মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক
এম এ মামুন: জীবননগর উপজেলার মারুফদহ গ্রামের মাঈনুদ্দীনের ছেলে জবি’র মেধাবী ছাত্র আরিফুলের মৃত্যুর ঘটনার চারদিনেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মতিন নামের আরো এক মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে, পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সাত্তার মাঝি ও নজু মাঝি আরিফুলের মৃত্যুর বিষয়ে সব কিছুই জানে। তাদেরকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় নজু ও সাত্তার মাঝির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কারা কথাও ভাবছে আরিফুলের পরিবার। গতকাল শুক্রবার কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাটের মাঝি মতিনকে আটক করা হয়।
এরআগে এই একই ঘটনায় গত ২ আগষ্ট কেরানীগঞ্জের ইস্পাহানী এলাকার বাসিন্দা ও বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাটে মাঝির সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী জানান, সাত্তার মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার কাছে থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও নৌকাডুবির পর তার আত্মগোপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সাত্তার মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে স্বীকার করেছে তার ভুল হয়েছে। সাত্তার মাঝি ৩০ জুলাই বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাট থেকে ৬ জন ব্যক্তিকে তার নৌকায় উঠিয়ে ওয়াইজঘাটের দিকে রওয়ানা হয়। নৌকাটি ওয়ায়েজ ঘাটের অদুরে পৌঁছালে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় যাত্রীরা তাড়াহুড়া নৌকা থেকে নামতে যেয়ে তার নৌকাটা উল্টে যায়। সাত্তার মাঝি নিজেও ডুবে যায় বলে জানায়। তবে, নিজে নদী থেকে সাঁতরে কিনারায় উঠতে পারলেও নৌকাডুবির কথা কাউকে না বলে বা ক’জন কিনারায় উঠতে পেরেছে তার কোনো খোঁজ না নিয়ে আত্মগোপন করে সে। একারনেই সে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

৪ দিনেও জবি’র মেধাবী ছাত্র মারুফদহের আরিফুলের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হয়নি

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮

মতিন নামের আরো এক মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক
এম এ মামুন: জীবননগর উপজেলার মারুফদহ গ্রামের মাঈনুদ্দীনের ছেলে জবি’র মেধাবী ছাত্র আরিফুলের মৃত্যুর ঘটনার চারদিনেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মতিন নামের আরো এক মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে, পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সাত্তার মাঝি ও নজু মাঝি আরিফুলের মৃত্যুর বিষয়ে সব কিছুই জানে। তাদেরকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় নজু ও সাত্তার মাঝির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কারা কথাও ভাবছে আরিফুলের পরিবার। গতকাল শুক্রবার কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাটের মাঝি মতিনকে আটক করা হয়।
এরআগে এই একই ঘটনায় গত ২ আগষ্ট কেরানীগঞ্জের ইস্পাহানী এলাকার বাসিন্দা ও বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাটে মাঝির সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী জানান, সাত্তার মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার কাছে থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও নৌকাডুবির পর তার আত্মগোপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সাত্তার মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে স্বীকার করেছে তার ভুল হয়েছে। সাত্তার মাঝি ৩০ জুলাই বুড়িগঙ্গার নাগরমহল ঘাট থেকে ৬ জন ব্যক্তিকে তার নৌকায় উঠিয়ে ওয়াইজঘাটের দিকে রওয়ানা হয়। নৌকাটি ওয়ায়েজ ঘাটের অদুরে পৌঁছালে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় যাত্রীরা তাড়াহুড়া নৌকা থেকে নামতে যেয়ে তার নৌকাটা উল্টে যায়। সাত্তার মাঝি নিজেও ডুবে যায় বলে জানায়। তবে, নিজে নদী থেকে সাঁতরে কিনারায় উঠতে পারলেও নৌকাডুবির কথা কাউকে না বলে বা ক’জন কিনারায় উঠতে পেরেছে তার কোনো খোঁজ না নিয়ে আত্মগোপন করে সে। একারনেই সে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।