ইপেপার । আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুর শহরের চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলায় ৯ স্বাক্ষি সাক্ষ্য প্রদান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

জহিরের ১৫ বছরসহ আনিছুরের ১০ বছর জেল
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলায় আশরাফুল হক জহির ও আনিছুর রহমান নামক ২ ব্যক্তির ১৫ বছর করে এবং জিয়ারুল নামক অপর এক ব্যক্তির ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন মেহেরপুরের একটি আদালত। দন্ডিত আশরাফুল হক জহির মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত সামসুল হকের ছেলে। আনিছুর রহমান সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের শামসুল গনির ছেলে এবং জিয়ারুল হক বুড়িপোতা গ্রামের খোদা বক্স এর ছেলে। মামলার অপর এক আসামী খলিলুর রহমান মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত জিয়ারুল পলাতক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর র‌্যাব-১ ঢাকা অঞ্চলের ডিএডি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত শামসুল হকের ছেলে আশরাফুল হক জহিরের বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তার দ্বিতল ভবনের সোবার ঘরে প্রবেশ করতে গেলে আশরাফুল হক জহির র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে জহিরের পায়ে গুলি লাগে এবং সে মেঝেতে পড়ে যায়। এসময় র‌্যাব সদস্যরা জহির ও তার সঙ্গি আনিছুর রহমানকে আটক করে। পরে আহত অবস্থায় জহিরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ১টি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিন, ১ রাউন্ড গুলির খোসা, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অস্ত্র আইন ১৮৭৮ ১৯(এ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মোট ৪ জনকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং ২১। মেহেরপুর সদর থানা। তারিখ: ২২/১০/২০১০। ঘটনাটি ওই সময় মেহেরপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই কামাল হোসেন মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্যশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ৯ জন স্বাক্ষি তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামী আশরাফুল হক জহির ও আনিছুর রহমানকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, জিয়ারুল হককে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। জিয়ারুল হক পলাতক থাকায় সে আটক এর দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে। মামলার অপর আসামী খলিলুর রহমান মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় আদালত তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এম এম রুন্তম আলী এবং আসামী পক্ষে খন্দকার আব্দুল মতিন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুর শহরের চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলায় ৯ স্বাক্ষি সাক্ষ্য প্রদান

আপলোড টাইম : ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮

জহিরের ১৫ বছরসহ আনিছুরের ১০ বছর জেল
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলায় আশরাফুল হক জহির ও আনিছুর রহমান নামক ২ ব্যক্তির ১৫ বছর করে এবং জিয়ারুল নামক অপর এক ব্যক্তির ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন মেহেরপুরের একটি আদালত। দন্ডিত আশরাফুল হক জহির মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত সামসুল হকের ছেলে। আনিছুর রহমান সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের শামসুল গনির ছেলে এবং জিয়ারুল হক বুড়িপোতা গ্রামের খোদা বক্স এর ছেলে। মামলার অপর এক আসামী খলিলুর রহমান মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত জিয়ারুল পলাতক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর র‌্যাব-১ ঢাকা অঞ্চলের ডিএডি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত শামসুল হকের ছেলে আশরাফুল হক জহিরের বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তার দ্বিতল ভবনের সোবার ঘরে প্রবেশ করতে গেলে আশরাফুল হক জহির র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে জহিরের পায়ে গুলি লাগে এবং সে মেঝেতে পড়ে যায়। এসময় র‌্যাব সদস্যরা জহির ও তার সঙ্গি আনিছুর রহমানকে আটক করে। পরে আহত অবস্থায় জহিরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ১টি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিন, ১ রাউন্ড গুলির খোসা, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অস্ত্র আইন ১৮৭৮ ১৯(এ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মোট ৪ জনকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং ২১। মেহেরপুর সদর থানা। তারিখ: ২২/১০/২০১০। ঘটনাটি ওই সময় মেহেরপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই কামাল হোসেন মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্যশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ৯ জন স্বাক্ষি তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামী আশরাফুল হক জহির ও আনিছুর রহমানকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, জিয়ারুল হককে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। জিয়ারুল হক পলাতক থাকায় সে আটক এর দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে। মামলার অপর আসামী খলিলুর রহমান মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় আদালত তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এম এম রুন্তম আলী এবং আসামী পক্ষে খন্দকার আব্দুল মতিন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।