দীন মানতে হবে পূর্ণাঙ্গ
- আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: দীন বা ধর্ম বিশেষ কোনো আমলের নাম নয়। কিছু আচার-নিষ্ঠা চর্চার নামও দীন নয়। দীন হলো নিঃশর্তভাবে নিজেকে সমর্পণের নাম। যেমনটা ভাবেন, যে বিশ্বাস লালন করেন সে অনুযায়ী জীবন সাজানোই দ্বীনের বৈশিষ্ট্য। নিজের পছন্দমতো চলার নাম দীন নয়। কিছু মানবে আর কিছু ছাড়বে সেটাও দীনের প্রকৃত ধারা নয়। দীনের অনেক বিষয় যুক্তির নিরিখে বুঝে আসে না, তবুও মানতে হবে। যেমন চামড়ার মোজা মাসেহ করতে হয় ওপরের অংশে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের জন্যই যদি মাসেহ হয় তাহলে তো তা করা দরকার মোজার নিচের অংশে। কিন্তু কোনো যুক্তিই এখানে টিকবে না। শরিয়তে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, মোজার উপরের অংশে মাসেহ করার কথা। আল্লাহ তাআলার সুস্পষ্ট বিধানসংবলিত শরিয়ত আমাদের সামনে রয়েছে। তিনি আমাদের প্রভু, আমরা তার গোলাম। একজন প্রভু বা মনিব যখন তার গোলামকে কোনো নির্দেশ দেন তখন আর এখানে ‘টু’ শব্দও করার সুযোগ থাকে না। এখানে কোনো যুক্তি-তর্কের অবকাশও নেই। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। একজীবনে মানুষ যত কর্মকা-ই করুক সবই ইসলামে নির্দেশিত। নিজেদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে ইসলামি নির্দেশনার অনেক বিষয়ই আমাদের বোঝার উপযোগী নয়। অনেক বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের গভীরতা সে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। এটা আমাদের অক্ষমতা। যিনি শরিয়তের প্রণেতা সেই মহান সত্তা আল্লাহতাআলা অথবা এর ধারক-বাহক রাসুলুল্লাহ সা.-এর প্রজ্ঞা ও কৌশলের ধারেকাছেও কেউ নেই। তাদের দেয়া নির্দেশনা আমাদের বোঝার ঊর্ধ্বেও থাকতে পারে, তবে তা যে আমাদের জন্য উপকারী সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। বান্দার কাছে আল্লাহ চান নিঃশর্ত সমর্পণ। মালিকের নির্দেশনার ব্যাপারে একজন গোলামের যেমন ভিন্নমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই, তেমনি শরিয়তের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগও নেই কোনো মুসলমানের। প্রজ্ঞাময় আল্লাহ মানুষের জন্য উপকারী নয় এমন কোনো আহকাম চাপিয়ে দেননি বান্দার ওপর। একবার আল্লাহর ওপর ইমান নিয়ে এলে আর সুযোগ থাকে না তার বিধিবিধানের বাইরে যাওয়ার। আত্মবিলোপ ও সমর্পণের মধ্যেই মুমিনের সাফল্য। কখন কী নির্দেশনা তা মেনে অবিরাম কাজ করে যাওয়াই মুমিনের কাজ। অর্ধেক মানা আর অর্ধেক ছাড়ার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। যারা অর্ধেক মানে আর অর্ধেক ছাড়ে তারা প্রকৃত মুমিন নয়।