জীবননগরে সেনা সদস্যের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অনশন!
- আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: জীবননগরে স্ত্রীর অধিকারের দাবীতে সেনা সদস্যের বাড়িতে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী অনশন করছে। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। স্কুল ছাত্রীর পরিবারের দাবি বিয়ের পর বাসর পর্যন্ত করেছে ওই সেনা সদস্য। পরে কৌশলে বিয়ের সকল প্রকার কাগজপত্র ছিড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্কুলছাত্রীসহ তার পরিবার। কিন্তু কোন কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন এবং বিয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার। এদিকে সেনা সদস্যের পরিবার বলছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এ নাটক সাজানো হয়েছে। এর আগে গত ৭ জুন স্ত্রীর দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. সেলিম রেজার কাছে হুসনা লিখিতভাবে আবেদন করেন। হুসনার দাবি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন করবেন।
স্কুল ছাত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য তুহিন তার সৈনিক নং-৪৫১৩০৪২। একই উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে আছমাউল হুসনার সাথে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই একপর্যায়ে গত জুন মাসের ১
তারিখে মেয়ের বাড়িতে তার মা নেই এবং মেয়ে বাড়িতে একা জেনে তুহিন মেয়ের বাড়িতে যায়। তখন স্থানীয় জনতা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে এবং বিয়ে দিয়ে দেয়। তুহিন ওই রাতে মেয়ের বাড়িতেই থাকে। পরে তুহিন বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা স্থানীয় নেতাদের হাত করে বিয়ের সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে ছিড়ে ফেলে। মেয়ে এবং মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তুহিন। তখন তারা তুহিনের সন্ধান করলে জানতে পারে তুহিন বিয়েটা অস্বীকার করছে। তখন স্কুলছাত্রী স্ত্রীর অধিকার পেতে তুহিনের বাড়িতে যায়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিমাংসার আশ্বাস দিলে মেয়ে তার নিজ গৃহে ফিরে যায়। এদিকে ঘটনার দু‘মাস পেরিয়ে গেলেও সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার মেয়ে, মেয়ের মা ও মেয়ের নানি সেনা সদস্য তুহিনের বাড়িতে স্ত্রীর অধিকারের দাবীতে অনশনে নামে। এদিকে ছেলে পরিবারের দাবী তুহিনের সাথে ওই স্কুলছাত্রীর কোন সম্পর্ক ছিল না এবং মেয়ে যে অভিযোগ তুলেছে এটি সঠিক নয় তাদেরকে বিয়ের কাবিন দেখাতে বললে তারা কাবিন দেখাতে পারেনি বরং তারা টাকা হাতানোর জন্য তুহিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
এ ব্যাপারে কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার শিপলুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবিষয়টি আমি জানি। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে আমি এবং মনোহরপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানসহ দু‘পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে একটি আপোষ মিমাংসার জন্য বসেছিলাম। সেখানে একটা সিন্ধান্ত নেয়া হয় যা উভয় পরিবার মেনে নেয়। কিন্তু পরে ছেলের পরিবার আর অগ্রসর না হওয়ায় মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধন করা হবে।