ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঘর বাধার স্বপ্নে সৌদি আরব থেকে চুয়াডাঙ্গায় দিপা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পছন্দের মানুষের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবিপাড়ায় মিথুন নামের এক ছেলের বাড়ীতে চলে এসেছে দিপা আক্তার নামের এক মেয়ে। ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় কথিত প্রেমিক মিথুনের সাথে। সেই সুত্রে বিয়ের আশায় সৌদি আরবের মক্কা’র একটি স্কুলের আয়ার কাজ ছেড়ে চুয়াডাঙ্গায় চলে আসে। ছেলের বাড়ির সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান। অবশেষে গতকাল রাত ৯টার দিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনারের সহায়তায় সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় দিপাকে। নিজের নাম ছাড়া, পিতা-মাতা আতœীয়স্বজন কারো পরিচয় জানে না সে।
জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে একটি জিডি করার পর মাসুদ আহাম্মেদ মিথুন নামের ছেলেটিকে খুজতে থাকে সে। পরে বিকেলের দিকে সিএন্ডবি এলাকার রজনীগন্ধ্যা সড়কের শেষ মাথায় বাবুল রহমানের ছেলে মিথুনের বাড়িতে উপস্থিত হয় দিপা। এসময় মিথুনের পরিবারের লোকজন অপরিচিত মেয়েটিকে বাড়িতে ঢুকতে না দিলে মেয়েটি বাড়ীর সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই সুমন সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স সংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনারের সহায়তায় মেয়েটিকে সদর থানা হেফাজতে নেয়।
দিপা আক্তার নামে ময়েটি জানায়, ঢাকাতে একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে বড় হয়েছে সে। বাবার নাম কি গ্রামের বাড়ি কোথায় এগুলো জিজ্ঞাসা করলে তার ছাপ জবাব জানে না সে। যে বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেছে তার নাম ঠিকানাও সঠিকভাবে দিতে পারছেনা মেয়েটি। এসময় সে আরো বলে, গত প্রায় ১০ মাস আগে সৌদি আরবে’র মক্কা শহরে চলে যায় কাজের আশায়। সেখানে একটি বাচ্চাদের স্কুলে আয়ার কাজ পায়। মক্কাতে যাওয়ার দু’মাস পর ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মিথুন নামের ছেলেটির সাথে। পরে ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা হতো তাদের। একপর্যায় মিথুন বিয়ে করার আশ্বাস দিলে মক্কার স্কুলের চাকুরি ছেড়ে ঢাকাতে চলে আসি। ঢাকাতে আসার এক সপ্তাহ পর চলতি মাসের ১৪ তারিখের দিকে মিথুনের সাথে চুয়াডাঙ্গাতে দেখা কিছু সময় থাকার পর আবার ঢাকাতে ফিরে যায়। তার পর থেকে মিথুন ফোনও ধরে না কথাও বলছে না যার কারনে সে চুয়াডাঙ্গাতে আসতে বাধ্য হয়েছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঘর বাধার স্বপ্নে সৌদি আরব থেকে চুয়াডাঙ্গায় দিপা

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: পছন্দের মানুষের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবিপাড়ায় মিথুন নামের এক ছেলের বাড়ীতে চলে এসেছে দিপা আক্তার নামের এক মেয়ে। ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় কথিত প্রেমিক মিথুনের সাথে। সেই সুত্রে বিয়ের আশায় সৌদি আরবের মক্কা’র একটি স্কুলের আয়ার কাজ ছেড়ে চুয়াডাঙ্গায় চলে আসে। ছেলের বাড়ির সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান। অবশেষে গতকাল রাত ৯টার দিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনারের সহায়তায় সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় দিপাকে। নিজের নাম ছাড়া, পিতা-মাতা আতœীয়স্বজন কারো পরিচয় জানে না সে।
জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে একটি জিডি করার পর মাসুদ আহাম্মেদ মিথুন নামের ছেলেটিকে খুজতে থাকে সে। পরে বিকেলের দিকে সিএন্ডবি এলাকার রজনীগন্ধ্যা সড়কের শেষ মাথায় বাবুল রহমানের ছেলে মিথুনের বাড়িতে উপস্থিত হয় দিপা। এসময় মিথুনের পরিবারের লোকজন অপরিচিত মেয়েটিকে বাড়িতে ঢুকতে না দিলে মেয়েটি বাড়ীর সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই সুমন সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স সংশ্লিষ্ট এলাকার কমিশনারের সহায়তায় মেয়েটিকে সদর থানা হেফাজতে নেয়।
দিপা আক্তার নামে ময়েটি জানায়, ঢাকাতে একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে বড় হয়েছে সে। বাবার নাম কি গ্রামের বাড়ি কোথায় এগুলো জিজ্ঞাসা করলে তার ছাপ জবাব জানে না সে। যে বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেছে তার নাম ঠিকানাও সঠিকভাবে দিতে পারছেনা মেয়েটি। এসময় সে আরো বলে, গত প্রায় ১০ মাস আগে সৌদি আরবে’র মক্কা শহরে চলে যায় কাজের আশায়। সেখানে একটি বাচ্চাদের স্কুলে আয়ার কাজ পায়। মক্কাতে যাওয়ার দু’মাস পর ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মিথুন নামের ছেলেটির সাথে। পরে ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা হতো তাদের। একপর্যায় মিথুন বিয়ে করার আশ্বাস দিলে মক্কার স্কুলের চাকুরি ছেড়ে ঢাকাতে চলে আসি। ঢাকাতে আসার এক সপ্তাহ পর চলতি মাসের ১৪ তারিখের দিকে মিথুনের সাথে চুয়াডাঙ্গাতে দেখা কিছু সময় থাকার পর আবার ঢাকাতে ফিরে যায়। তার পর থেকে মিথুন ফোনও ধরে না কথাও বলছে না যার কারনে সে চুয়াডাঙ্গাতে আসতে বাধ্য হয়েছি।