নবুওয়তের শুরু যেখানে
- আপলোড টাইম : ০৮:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়াত ও কল্যাণের জন্য যে মনোনীত ব্যক্তিদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তারাই হলেন নবী ও রাসুল। ‘নবী’ শব্দটি আরবি ‘নাবাউন’ থেকে এসেছে। ‘নাবাউন’ এর আভিধানিক অর্থ হলো- এমন খবর যাতে মানুষের উপকার হয়। আর সেই উপকারও সাধারণ নয়; বিরাট ও অসাধারণ। নবুওয়তের তাৎপর্য ও মর্মার্থ উপলব্ধি করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ যেখানে বুদ্ধিবৃত্তির সীমানা শেষ হয়, সেখান থেকে নবুওয়তের সীমানা শুরু হয়। নবুওয়ত এমন একটি বিষয় যা মানুষের চিন্তা, গবেষণা, বুদ্ধি ও বিবেচনা শক্তির অনেক ঊর্ধ্বে। সঠিক তথ্য না জানার কারণে আমরা অনেকে বলি, ‘এক লাখ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার নবী-রাসুল দুনিয়াতে এসেছিলেন।’ এমন করে সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত নয়। কারণ এক লাখই কম-বেশি বলা হয়। তাই ‘অগণিত নবী-রাসুল দুনিয়াতে আগমন করেছিলেন’ বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। রাসুল অর্থ দূত, বাণীবাহক ইত্যাদি। রাসুল ফেরেশতা হতে পারেন এবং মানুষও হতে পারেন। ফেরেশতা যখন রাসুল হন তখন তার অর্থ আল্লাহর নির্দেশ ও বাণী বহনকারী। মানুষ যখন রাসুল হন তখন তার অর্থ হয় আল্লাহর বার্তা ও বিধানপ্রাপ্ত ব্যক্তি, যিনি তা প্রচার ও বাস্তবায়িত করেন। (আল-ওয়াসিত: ১/৩৪৪)। রাসুল ও নবী সাধারণত সমার্থবোধক। আল্লামা জুরজানির মতে, নবীর কাছে কোনো ফেরেশতা, ইলহাম কিংবা স্বপ্নের মাধ্যমে ওহি প্রেরিত হয়। আর রাসুলের কাছে জিবরাইল ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসেন। তার মতে, নবুওয়তের ওহির তুলনায় রিসালতের ওহি বৈশিষ্ট্যময়। সকল রাসুলকে নবী বলা যায়; কিন্তু কোনো নবীকেই রাসুল বলা যায় না। রাসুল শব্দ সাধারণত বচন ও লিঙ্গভেদ ছাড়াই ব্যবহৃত হয়। তাই একবচন, দ্বিবচন, বহুবচন; স্ত্রীলিঙ্গ কিংবা পুংলিঙ্গ সর্বাবস্থায় ‘রাসুল’ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর দ্বিবচন ও বহুবচন হয়। (আল-মিসবাহুল মুনীর: ২২৯, আল-ওয়াসীত: ১/৩৪৪)। কোরানে ‘রাসুল’ শব্দ একবচনে ২৩৭ বার এবং বহুবচনে ৯ বার এসেছে। ‘নবী’ একবচনে ৫৪ বার এবং বহুবচনে ২১ বার এসেছে। ‘মুরসাল’ একবচনে ২ বার এবং বহুবচনে ৩৩ বার এসেছে। ‘রিসালাত’ একবচনে ৩ বার এবং বহুবচনে ৭ বার এসেছে। ‘নবুওয়ত’ শব্দটি ৫ বার এসেছে। পবিত্র কোরানে ২৬ জন নবী-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে।