ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক : প্রধানমন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু এখন চাচ্ছে তারা ফেরত যাক। বাংলাদেশে মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াহিদ আহমেদ শামসেলদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মিসরের রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি, এখন আমরা চাচ্ছি তারা ফেরত যাক।’ শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে মিয়ানমার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিবিরের গাদাগাদি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এসব রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য একটি জায়গা তৈরি করছে যেখানে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা একটু ভালো পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিসরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কারণ, স্বাধীনতা লাভের পর আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসরই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মিসরের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাসস

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক : প্রধানমন্ত্রী

আপলোড টাইম : ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮

ডেস্ক রির্পোট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু এখন চাচ্ছে তারা ফেরত যাক। বাংলাদেশে মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াহিদ আহমেদ শামসেলদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মিসরের রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি, এখন আমরা চাচ্ছি তারা ফেরত যাক।’ শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে মিয়ানমার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরাণার্থী শিবিরের গাদাগাদি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এসব রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য একটি জায়গা তৈরি করছে যেখানে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা একটু ভালো পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পাবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিসরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কারণ, স্বাধীনতা লাভের পর আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসরই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মিসরের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাসস