রোহিঙ্গাদের ফেরাতে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করুন
- আপলোড টাইম : ১০:৩৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
- / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, উপযোগী পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা। পরিষদ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এর অপব্যবহারের অভিযোগের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের উপর জোর দিয়েছে। ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এসব কথা বলা হয়। বৈঠকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের উপরও জোর দেওয়া হয়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেও বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টাইন স্ক্রানের বার্গেন পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশেষ দূতের সহযোগিতা ও জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের অংশীদারিত্ব দৃঢ় করতে জোরালো সমর্থন প্রকাশ করেন নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা। এছাড়াও তারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর’র সহকারী হাই কমিশনার ভল্কার টার্ক এবং ইউএনডিপির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়ক ও কান্ট্রি অফিস লায়াসনের পরিচালক ক্লেইর ভ্যান ডের ভায়েরেনের বক্তব্য শুনেন। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জাতিসংঘের প্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার বিষয়ে তারা বিস্তারিত বিবরণী তুলে ধরেন। ইউএনএইচসিআর-ইউএনডিপি’র মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি ও ব্যবস্থাপনাসমূহ বাস্তবায়নে সহায়তা করতে অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। তারা মিয়ানমার সরকারের ৩১ মে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের এক সূত্র জানায়, নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকটি ছিল রুদ্ধদ্বার। কূটনৈতিক সূত্রমতে, আগামী মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে নিরাপত্তা পরিষদের একটি উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। গত ১৪ থেকে ১৬ জুলাই জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত বাংলাদেশে সফরকালে বলেন, এই চলমান সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। পাশাপাশি মিয়ানমারে অপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কর্মকর্তারা জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, তাদের জীবনযাপন সুবিধা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগামী ৮ আগস্ট মিয়ানমার যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।