ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রয়োজন জীবনমুখী মানবিক ও কারিগরি শিক্ষা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
  • / ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

একটি দেশ, একটি জাতির অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষা। এই বিচেনায় বলা হয়, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদ-।’ অর্থাৎ একজন মানুষ যেমনি মেরুদ- সোজা করে স্থির দাঁড়াতে পারেন, ঠিক তেমনি একটি জাতির ভিত্তিমূল, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নিভর্র করে শিক্ষার ওপর। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত, সভ্য, অগ্রসর। শিক্ষা অজর্ন মানুষের জš§গত এবং মৌলিক অধিকারও বটে। আমাদের সংবিধানে মানুষের মৌলিক যে, পাঁচটি অধিকারের কথা বলা আছে তাতেও শিক্ষাতে স্থান দেয়া হয়েছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সাবর্জনীন, অপরিহার্য, ব্যাপক ও বিস্তৃততর। একজন মানুষকে প্রকৃত মানবিক গুণাবলি, সামাজিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার বিকল্প নেই।
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও সম্পদের সুষম ব্যবহারের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। কিন্তু বিদ্যান শিক্ষা ব্যাবস্থা সেই বিবেচনায় কতটুকু ভূমিকা রাখছে বা রাখতে পারছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। বিশেষ করে সৃজনশীলের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অযথা বই’, গাইড বই, নোট বই, তথাকথিত সাজেশন বইর ভারে ভারাক্রান্ত করে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি কোচিং, প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রলুদ্ধ আবার কখনো কখনো বাধ্য করা হচ্ছে। এতে জাতির ভবিষ্যৎ কণর্ধারদের মেরুদ-কে সোজা রাখার পরিবতের্ বাঁকিয়ে দিচ্ছে। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো এই তরুণ প্রজšে§র মেরুদ- হয়তো ভেঙে যাবে না, কিন্তু মচকাবে। এতে বাস্তবিক অথের্ জাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এটা বলা সংগত হবে যে, এখনো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ঔপনিবেশিক ধাচের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিকুলাম সংশোধন করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এ নিয়ে প্রায়শই তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ, হতাশার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে সক্ষম নয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী হয়তো শিক্ষার হার বাড়ছে, কিন্তু সেবাধর্মী, মানবিক এবং পরিবতির্ত পরিস্থিতিতে নিজেদের তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযোগী হচ্ছে না তারা। এদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তজাির্তক প্রভৃতি কারণে শিক্ষাব্যবস্থা প্রত্যাশিত মান অজর্ন করতে পারেনি।
আমাদের এই ভূখ- অন্যান্য উন্নত দেশের আয়তনের তুলনায় খুবই ছোট একটি রাষ্ট্র। কিন্তু জনসংখ্যায় অনেক বেশি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা- সরকারি, বেসরকারি, কিন্ডার গাটের্ন, মসজিদ ও মাদ্রাসাভিত্তিক শিশু শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব প্রতিটি বিভাগে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা প্রদান কৌশল। যার ফলে ছোট থেকেই শিশুরা ভিন্ন ভিন্ন মন মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠছে। পরবর্তীতে আবার তারা যখন মাধ্যমিক পযার্য়ে শিক্ষা নিতে আসছে সেখানেও রয়েছে ভিন্নতা-সরকারি, বেসরকারি, কওমি, ইবতেদায়ি, ইংলিশ মিডিয়াম ইত্যাদি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রয়োজন জীবনমুখী মানবিক ও কারিগরি শিক্ষা

আপলোড টাইম : ১০:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮

একটি দেশ, একটি জাতির অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষা। এই বিচেনায় বলা হয়, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদ-।’ অর্থাৎ একজন মানুষ যেমনি মেরুদ- সোজা করে স্থির দাঁড়াতে পারেন, ঠিক তেমনি একটি জাতির ভিত্তিমূল, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নিভর্র করে শিক্ষার ওপর। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত, সভ্য, অগ্রসর। শিক্ষা অজর্ন মানুষের জš§গত এবং মৌলিক অধিকারও বটে। আমাদের সংবিধানে মানুষের মৌলিক যে, পাঁচটি অধিকারের কথা বলা আছে তাতেও শিক্ষাতে স্থান দেয়া হয়েছে। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সাবর্জনীন, অপরিহার্য, ব্যাপক ও বিস্তৃততর। একজন মানুষকে প্রকৃত মানবিক গুণাবলি, সামাজিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার বিকল্প নেই।
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও সম্পদের সুষম ব্যবহারের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। কিন্তু বিদ্যান শিক্ষা ব্যাবস্থা সেই বিবেচনায় কতটুকু ভূমিকা রাখছে বা রাখতে পারছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। বিশেষ করে সৃজনশীলের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অযথা বই’, গাইড বই, নোট বই, তথাকথিত সাজেশন বইর ভারে ভারাক্রান্ত করে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি কোচিং, প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রলুদ্ধ আবার কখনো কখনো বাধ্য করা হচ্ছে। এতে জাতির ভবিষ্যৎ কণর্ধারদের মেরুদ-কে সোজা রাখার পরিবতের্ বাঁকিয়ে দিচ্ছে। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো এই তরুণ প্রজšে§র মেরুদ- হয়তো ভেঙে যাবে না, কিন্তু মচকাবে। এতে বাস্তবিক অথের্ জাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এটা বলা সংগত হবে যে, এখনো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ঔপনিবেশিক ধাচের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিকুলাম সংশোধন করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এ নিয়ে প্রায়শই তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ, হতাশার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে সক্ষম নয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী হয়তো শিক্ষার হার বাড়ছে, কিন্তু সেবাধর্মী, মানবিক এবং পরিবতির্ত পরিস্থিতিতে নিজেদের তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযোগী হচ্ছে না তারা। এদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তজাির্তক প্রভৃতি কারণে শিক্ষাব্যবস্থা প্রত্যাশিত মান অজর্ন করতে পারেনি।
আমাদের এই ভূখ- অন্যান্য উন্নত দেশের আয়তনের তুলনায় খুবই ছোট একটি রাষ্ট্র। কিন্তু জনসংখ্যায় অনেক বেশি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা- সরকারি, বেসরকারি, কিন্ডার গাটের্ন, মসজিদ ও মাদ্রাসাভিত্তিক শিশু শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব প্রতিটি বিভাগে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা প্রদান কৌশল। যার ফলে ছোট থেকেই শিশুরা ভিন্ন ভিন্ন মন মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠছে। পরবর্তীতে আবার তারা যখন মাধ্যমিক পযার্য়ে শিক্ষা নিতে আসছে সেখানেও রয়েছে ভিন্নতা-সরকারি, বেসরকারি, কওমি, ইবতেদায়ি, ইংলিশ মিডিয়াম ইত্যাদি।