ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

তুলনাহীন নেয়ামত ঘুম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
  • / ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের অস্তিত্বজুড়ে রয়েছে আল্লাহর নেয়ামতের ভূমিকা। তবে কিছু কিছু নেয়ামত এমন, যার কোনো তুলনা চলে না। ঘুম তেমনি একটি নেয়ামত। যাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তারাই বোঝেন ঘুম কত বড় নেয়ামত। ভালো ঘুম হলে শরীর ফুরফুরে লাগে। সারা দিনের ক্লান্তি-বিষাদ সব দূর হয়ে যায় ঘুমে। আল্লাহ কোরানে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য ঘুমকে করেছি ক্লান্তি নিবারক আর রাতকে করেছি আবরণ।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ, ঘুমকে ক্লান্তি নিবারক ও দিনকে জীবনপ্রবাহ করেছেন।’ ক্লান্ত-শ্রান্ত অবসন্ন দেহ-মনের প্রশান্তি হিসেবেই আল্লাহ ঘুম সৃষ্টি করেছেন। ঘুমের কোনো বিকল্প হতে পারে না। পোশাক যেমন শরীরকে ঢেকে রাখে, নিরাপদ রাখে; তেমনি রাতের আঁধারও প্রকৃতিকে ঢেকে নেয়। ফলে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিষাদ দূর করে। দেহ-মনে সজীবতা ফিরে আসে। সে জন্যই রাতকে আবরণ বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা শুধু ঘুমের মতো অপরিহার্য নেয়ামতই দেননি, তার জন্য যথাযথ পরিবেশও সৃষ্টি করেছেন। ঘুম মানুষের সুখের অন্যতম উৎস। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা সবার ঘুমের প্রয়োজন। অনেক সময় আরাম-আয়েশে থাকার পরও চোখে ঘুম আসে না। আবার অনেক সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতে পড়ে দিব্যি ঘুমাতে দেখা যায় সমাজের খেটে খাওয়া মানুষকে। এর দ্বারাই বোঝা যায় ঘুম আল্লাহর বিশেষ দান। উপকরণের প্রাচুর্যতা থাকলেই ঘুম ভালো হবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ঘুম আসার পর তা ভেঙে যেতে পারে, এ জন্য আল্লাহ তায়ালা ঘুমের উপযোগী করে রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন, শীতলও করেছেন। রাত একটি নেয়ামত, ঘুম হলো অপর নেয়ামত। আর তৃতীয় নেয়ামত হলো সারা বিশ্বের মানুষ ও জীব-জন্তুর ঘুম একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করে দেয়া। একেকজনের ঘুমের সময় ভিন্ন ভিন্ন হলে কেউ ঘুমাত আর কেউ কাজে ব্যস্ত থাকত। এতে সবার ঘুমেই বিঘœ সৃষ্টি হতো। ঘুমের মধ্যেও আল্লাহ মানুষকে তার রহমতের ছায়ায় পরিবেষ্টন করে রাখেন। কথিত আছে, কোনো ব্যক্তি যখন কর্মক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আল্লাহতায়ালা তার কাছে ৩৬০ জন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন। তারা এসে তার সেবা করতে থাকেন। শরীরের প্রতিটি জোড়ায় হাত বুলান। এ জন্য যখন ঘুম ভাঙে, তখন শরীরটা অনেক ফুরফুরে মনে হয়। তুলনাহীন এই নেয়ামত ঘুম যাতে ভালো হয় এর সব ব্যবস্থাই আল্লাহ করে দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তুলনাহীন নেয়ামত ঘুম

আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের অস্তিত্বজুড়ে রয়েছে আল্লাহর নেয়ামতের ভূমিকা। তবে কিছু কিছু নেয়ামত এমন, যার কোনো তুলনা চলে না। ঘুম তেমনি একটি নেয়ামত। যাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তারাই বোঝেন ঘুম কত বড় নেয়ামত। ভালো ঘুম হলে শরীর ফুরফুরে লাগে। সারা দিনের ক্লান্তি-বিষাদ সব দূর হয়ে যায় ঘুমে। আল্লাহ কোরানে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য ঘুমকে করেছি ক্লান্তি নিবারক আর রাতকে করেছি আবরণ।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ, ঘুমকে ক্লান্তি নিবারক ও দিনকে জীবনপ্রবাহ করেছেন।’ ক্লান্ত-শ্রান্ত অবসন্ন দেহ-মনের প্রশান্তি হিসেবেই আল্লাহ ঘুম সৃষ্টি করেছেন। ঘুমের কোনো বিকল্প হতে পারে না। পোশাক যেমন শরীরকে ঢেকে রাখে, নিরাপদ রাখে; তেমনি রাতের আঁধারও প্রকৃতিকে ঢেকে নেয়। ফলে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিষাদ দূর করে। দেহ-মনে সজীবতা ফিরে আসে। সে জন্যই রাতকে আবরণ বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা শুধু ঘুমের মতো অপরিহার্য নেয়ামতই দেননি, তার জন্য যথাযথ পরিবেশও সৃষ্টি করেছেন। ঘুম মানুষের সুখের অন্যতম উৎস। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা সবার ঘুমের প্রয়োজন। অনেক সময় আরাম-আয়েশে থাকার পরও চোখে ঘুম আসে না। আবার অনেক সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতে পড়ে দিব্যি ঘুমাতে দেখা যায় সমাজের খেটে খাওয়া মানুষকে। এর দ্বারাই বোঝা যায় ঘুম আল্লাহর বিশেষ দান। উপকরণের প্রাচুর্যতা থাকলেই ঘুম ভালো হবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ঘুম আসার পর তা ভেঙে যেতে পারে, এ জন্য আল্লাহ তায়ালা ঘুমের উপযোগী করে রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন, শীতলও করেছেন। রাত একটি নেয়ামত, ঘুম হলো অপর নেয়ামত। আর তৃতীয় নেয়ামত হলো সারা বিশ্বের মানুষ ও জীব-জন্তুর ঘুম একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করে দেয়া। একেকজনের ঘুমের সময় ভিন্ন ভিন্ন হলে কেউ ঘুমাত আর কেউ কাজে ব্যস্ত থাকত। এতে সবার ঘুমেই বিঘœ সৃষ্টি হতো। ঘুমের মধ্যেও আল্লাহ মানুষকে তার রহমতের ছায়ায় পরিবেষ্টন করে রাখেন। কথিত আছে, কোনো ব্যক্তি যখন কর্মক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আল্লাহতায়ালা তার কাছে ৩৬০ জন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন। তারা এসে তার সেবা করতে থাকেন। শরীরের প্রতিটি জোড়ায় হাত বুলান। এ জন্য যখন ঘুম ভাঙে, তখন শরীরটা অনেক ফুরফুরে মনে হয়। তুলনাহীন এই নেয়ামত ঘুম যাতে ভালো হয় এর সব ব্যবস্থাই আল্লাহ করে দিয়েছেন।