তাপমাত্রার ব্যারোমিটার যখন ৪০ তখন বিদ্যুৎ বন্ধ করে নিদারুন তামাশা!
- আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
- / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: তাপমাত্রার ব্যারোমিটার ৪০। মানুষ প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত। এ অবস্থায় ঝিনাইদহ পাওয়ার গ্রীডের ধীরগতির ঠিকাদারী কাজের কারণে জেলার প্রায় দুই লাখ বিদ্যুৎ গ্রহক হাফিয়ে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২.৫ পর্যন্ত ঘোষনা দিয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখে ঝিনাইদহ বিতরণ বিভাগ। কিন্তু অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করায় যথা সময়ে কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। ফলে সারা জেলায় ঘন ঘন বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হামদস্থ গ্রীড স্টেশনে র্যাব মোতায়েন করা হয়। এ সব তথ্য নিশ্চত করে ঝিনাইদহ ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ওজোপাডিকো) এসিসট্যন্ট ইঞ্চিনিয়ার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনের কাজের ঠিকাদারী কাজ পায় এনার্জী প্যাক। শুক্রবার কাজের জন্য প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ঘোষনা দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখা হয়। তিনি আরো জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় লাইন চালু করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদিকে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুতের কয়েক লাখ গ্রহক অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ভিআইপি গ্রাহকরা একের পর এক ফোন করে বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তবে শুক্রবার বিকাল নাগাদ রেশনিং পদ্ধতিতে কিছু কিছু লাইন চালু করতে পারে ওজোপাডিকো। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা টানা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সুর্য্য নারায়ন ভৌমিক জানান, ৩৩ কেভি থেকে আমরা সুইচিংয়ের মাধ্যমে আমরা পাওয়ার নেবার চেষ্টা করছি। এ জন্য লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে তিনি ঠিকাদারী কাজে গাফলতি ও অদক্ষতার বিষয়টি এড়িয়ে যান।