আল্লাহ জীবনের জিম্মাদার
- আপলোড টাইম : ০৪:২২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: মানুষে মানুষে পার্থক্য থাকলেও এক জায়গায় রয়েছে দারুণ মিল। তা হলো, আমরা সবাই নিজেদের ভালো চাই, ভালো থাকতে চাই। এ কামনা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য। মুসলমান হিসেবে এটা আমাদের পরম লক্ষ্যবস্তুও বটে। সে কারণেই আমাদের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদি বুঝে জীবন পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু অনেকের জীবনযাপন পদ্ধতি এসবের বিপরীত। তারা যেভাবেই হোক সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে সচেষ্ট, উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের তোয়াক্কা নেই, লুটপাট করে, ঘুষ খেয়ে, দুর্নীতি করে- যেভাবেই হোক সম্পদের জন্য বেদিশা হয়ে ছুটছে। ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের জন্য এমন মোহগ্রস্ততা এক ধরনের পাগলামি। এ বিষয়ে কোরআনে আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত সুন্দরভাবে বলেছেন, ‘আর এই পর্থিব জীবন তো খেলাধুলা ছাড়া আর কিছু নয়। বস্তুত আখেরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন; যদি তারা জানত।’ -সূরা আল আনকাবুত: ৬৪ আমরা মানুষ। সৃষ্টির শুরু থেকে শয়তান আমাদের চিরশত্রু বলে চিহ্নিত। তাই শয়তান সবসময় আমাদের বিপথে নেয়ার জন্য তৎপর। কোনো ভালো কাজ করতে গেলে শয়তান মনে অহেতুক নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে ভুলক্রমে কোনো গুনাহের কাজের ইচ্ছা করলে শয়তান তাতে প্ররোচণা-প্রণোদনা দিতে থাকে। শয়তান মানুষের শীরা-উপশীরায় ঢুকে মানুষকে বিপথে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে। তাই অভিশপ্ত শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে এবং ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। কখনো যদি শয়তানের কুমন্ত্রণায় কোনো গুনাহ হয়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করতে হবে। এক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার ওয়াদা রয়েছে যে, কৃত অপরাধের জন্য মানুষ অনুশোচনা করলে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করলে তিনি অপরাধ মার্জনা করে দিবেন। তাই আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দুনিয়ার জীবন পরিচালনা করতে হবে। পরকালের মুক্তিই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর এ উদ্দেশ্যেই সব কাজ সাধিত হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠলে স্বাস্থ্য ভালো হবে, কাজ-কর্মে আগ্রহ বাড়বে এছাড়া আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত রহমত নাজিল হবে, আল্লাহ আমাদের জীবনের জিম্মাদার হবেন। ফলে আমাদের দুনিয়ার জীবন সহজ হবে, রুজি-রোজগারে বরকত হবে, অভাব-অনটন দূরিভূত হবে। এ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে ওয়াদা রয়েছে এবং বাস্তব জীবনে এসব ঘটার নজিরও আছে।