ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নানারকমের মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের অভয় অরণ্যে পরিণত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ভূমিকা নেই প্রশাসনে! রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে

saifebhuyan_1307515541_1-dylee

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সর্বত্র আবারও হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, প্যাথেডিন ও দেশী মদসহ নানা রকমের মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের অভয় অরণ্যে পরিণত হয়েছে। হাত বাড়ালেই যেখানে সেখানে সব ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। পুলিশ মাঝে মধ্যে ২/১ জনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিলেও রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। মাদক বিক্রেতা বা মাদকসেবীরা জেল খেটে বেরিয়ে এসে পুনরায় জোরেসোরে এ মাদক ব্যবসার কাজ শুরু করে দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্ছে হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরণের মাদকদ্রব্য। ফলে নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। আর মাদকের নীল ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীরা। আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর অতিরিক্ত সর্তকতার অভাবে বেপোরয়া হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের জোরে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের ম্যানেজ করে চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা প্রতিদিন ভারত থেকে সীমান্ত পথে আসা ভারতীয় মদ, ফেন্সিডিল, গাজা, লাগেজসহ বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় পণ্য আটক করছে। এদিকে মাদকের পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলা। চাঁদপুর, ঈশ্বর চন্দ্রপুর, জয়নগর, জিরাট ও প্রতাপপুরের বেশ কিছু স্থানে লাখ লাখ টাকার জুয়া চলছে। এর ফলে অনেকেই সহায় সম্বল হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে এলাকা ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু দালালদের মাধ্যমে চলছে এই সব জুয়া খেলা। আর লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী লোকজন। অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগরের মাদকসম্রাট জামাই বাবলু ওরফে লাগেজ বাবলু ও তার সহকর্মীদের নিয়ে বেপরোয়া ভাবে মাদক ও লাগেজের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক সম্রাট বাবলুর বেপরোয়া মাদক ব্যবসার কারণে দর্শনা জয়নগরের কাস্টমস পাড়ায় প্রতিদিন নিত্য নতুন মুখের দেখা মেলে সহজেই। এমনকি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরহামেশায় চালিয়ে যাই বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও লাগেজ ব্যবসা। মাদক সম্রাট জামাই বাবলুর কারণে এলাকাবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তবে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে বলেন মাদকস¤্রাট জামাই বাবলুসহ এলাকার বেশ কিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও লাগেজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে প্রভাবশালী মহলের কর্তাব্যক্তিদের নাম অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে। তবে একাধিক পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে এ সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো ভুমিকা নেই বলে এলাকার মানুষ জানায়। মাদকসম্রাট জামাই বাবলুর মাদক বিক্রয়ের কারণে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়ছে নেশার নীল ছোবলে, ধুকে ধুকে মরছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যুব সমাজ। এলাকায় দিন দিন মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও মাদক সেবীদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। অনেক মাদকসেবী অর্থ যোগানের জন্য জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে। ফলে রাতের আঁধারে পথরোধ করে চুপিসারে ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের কিছু কিছু সদস্যকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তারা এই মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে এলাকার সচেতন মহলের দাবী। মাদকসম্রাট জামাই বাবলুর মাদক ব্যবসা বন্ধে ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতনমহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা উপজেলায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নানারকমের মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের অভয় অরণ্যে পরিণত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ভূমিকা নেই প্রশাসনে! রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে!

আপলোড টাইম : ১২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

saifebhuyan_1307515541_1-dylee

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সর্বত্র আবারও হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, প্যাথেডিন ও দেশী মদসহ নানা রকমের মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের অভয় অরণ্যে পরিণত হয়েছে। হাত বাড়ালেই যেখানে সেখানে সব ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। পুলিশ মাঝে মধ্যে ২/১ জনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিলেও রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। মাদক বিক্রেতা বা মাদকসেবীরা জেল খেটে বেরিয়ে এসে পুনরায় জোরেসোরে এ মাদক ব্যবসার কাজ শুরু করে দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্ছে হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরণের মাদকদ্রব্য। ফলে নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। আর মাদকের নীল ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীরা। আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর অতিরিক্ত সর্তকতার অভাবে বেপোরয়া হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের জোরে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের ম্যানেজ করে চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা প্রতিদিন ভারত থেকে সীমান্ত পথে আসা ভারতীয় মদ, ফেন্সিডিল, গাজা, লাগেজসহ বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় পণ্য আটক করছে। এদিকে মাদকের পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলা। চাঁদপুর, ঈশ্বর চন্দ্রপুর, জয়নগর, জিরাট ও প্রতাপপুরের বেশ কিছু স্থানে লাখ লাখ টাকার জুয়া চলছে। এর ফলে অনেকেই সহায় সম্বল হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে এলাকা ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু দালালদের মাধ্যমে চলছে এই সব জুয়া খেলা। আর লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী লোকজন। অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগরের মাদকসম্রাট জামাই বাবলু ওরফে লাগেজ বাবলু ও তার সহকর্মীদের নিয়ে বেপরোয়া ভাবে মাদক ও লাগেজের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক সম্রাট বাবলুর বেপরোয়া মাদক ব্যবসার কারণে দর্শনা জয়নগরের কাস্টমস পাড়ায় প্রতিদিন নিত্য নতুন মুখের দেখা মেলে সহজেই। এমনকি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরহামেশায় চালিয়ে যাই বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও লাগেজ ব্যবসা। মাদক সম্রাট জামাই বাবলুর কারণে এলাকাবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তবে এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে বলেন মাদকস¤্রাট জামাই বাবলুসহ এলাকার বেশ কিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও লাগেজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে প্রভাবশালী মহলের কর্তাব্যক্তিদের নাম অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে। তবে একাধিক পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে এ সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো ভুমিকা নেই বলে এলাকার মানুষ জানায়। মাদকসম্রাট জামাই বাবলুর মাদক বিক্রয়ের কারণে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়ছে নেশার নীল ছোবলে, ধুকে ধুকে মরছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যুব সমাজ। এলাকায় দিন দিন মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও মাদক সেবীদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। অনেক মাদকসেবী অর্থ যোগানের জন্য জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে। ফলে রাতের আঁধারে পথরোধ করে চুপিসারে ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের কিছু কিছু সদস্যকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তারা এই মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে এলাকার সচেতন মহলের দাবী। মাদকসম্রাট জামাই বাবলুর মাদক ব্যবসা বন্ধে ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতনমহল।