ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তাকওয়ার পুরস্কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:২৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৯১৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: তাকওয়া বা খোদাভীতি মানবজীবনের অনেক বড় সম্পদ। যাদের জীবনে তাকওয়ার গুণ অর্জিত হয়ে গেছে তাদের আর কোনো ভাবনা নেই। যারা আল্লাহকে যত বেশি ভয় করবে আল্লাহ তাকে তত বেশি আপন করে নেবেন। আল্লাহকে পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো তাকওয়া। আল্লাহকে ভয় করে যারা অসৎ পথ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে তারাই মূলত তাকওয়াবান। আর তাদের জন্যই রয়েছে দুনিয়া-আখেরাতের সব পুরস্কার। কেউ তাকওয়াসম্পন্ন হয়ে গেলে আল্লাহ তাকে নিজের সান্নিধ্য দান করবেন। আল্লাহর সান্নিধ্যের চেয়ে মুমিন জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কী আছে। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বারবার বলেছেন, তোমরা আমাকে ভয় কর। এই ভয়ের মাধ্যমে তার প্রিয়ভাজন হওয়া যাবে বলেও ঘোষণা রয়েছে। তাকওয়ার প্রধান গুণই হলো আল্লাহর ভয়ে সব পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। বান্দা যেখানেই থাকুক সবসময় তার মনে থাকবে দুনিয়ার আর কেউ না দেখুক আমাকে আমার আল্লাহ দেখছেন। এই অনুভূতিটুকু যখন মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়ে যায় তখন দুনিয়ার কোনো আইন-কানুনের দরকার পড়ে না, এমনিতেই মানুষ সৎ হয়ে যায়। দুনিয়ার সব বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করা যায়, ফাঁকি দেয়া যায়, কিন্তু আল্লাহর চোখ কোনোভাবেই ফাঁকি দেয়া যায় না। আল্লাহকে সবসময় হাজির নাজির জেনে পাপকর্ম থেকে বিরত থাকার নামই তাকওয়া। তাকওয়ার পুরস্কার সরাসরি জান্নাত। যাদের মধ্যে তাকওয়ার বীজ বপিত থাকে তাদের জীবনে কোনো ভাবনা নেই। সাময়িক বিপদাপদে পড়লেও তাদের অনন্তকালের জীবন সুখ-সাচ্ছন্দ্যের। প্রিয়নবী (সা.) আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন। আর এজন্যই তিনি ছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আল্লাহর রাসুল বারবার তাগিদ দিয়েছেন, তোমরা আল্লাহকে যেভাবে ভয় করার সেভাবে ভয় কর। কারণ আল্লাহ মুত্তাকিন তথা তাকে ভয়কারীদের সঙ্গে আছেন। তাকওয়ার পোশাকে যারা সজ্জিত তাদের দুনিয়ার কোনো কিছুরই দরকার নেই। কারণ আল্লাহ তাদের ওলি বা অভিভাবক হয়ে যান। আর আল্লাহ যার অভিভাবক তার কোনো ভাবনা থাকতে পারে না। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয়। কেউ যখন আল্লাহকে ভয় করে তখন কোনো অপকর্মে জড়াতে পারে না। আর অপকর্ম কমে এলে সমাজ ও রাষ্ট্র আরো বেশি বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

তাকওয়ার পুরস্কার

আপলোড টাইম : ০১:২৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: তাকওয়া বা খোদাভীতি মানবজীবনের অনেক বড় সম্পদ। যাদের জীবনে তাকওয়ার গুণ অর্জিত হয়ে গেছে তাদের আর কোনো ভাবনা নেই। যারা আল্লাহকে যত বেশি ভয় করবে আল্লাহ তাকে তত বেশি আপন করে নেবেন। আল্লাহকে পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো তাকওয়া। আল্লাহকে ভয় করে যারা অসৎ পথ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে তারাই মূলত তাকওয়াবান। আর তাদের জন্যই রয়েছে দুনিয়া-আখেরাতের সব পুরস্কার। কেউ তাকওয়াসম্পন্ন হয়ে গেলে আল্লাহ তাকে নিজের সান্নিধ্য দান করবেন। আল্লাহর সান্নিধ্যের চেয়ে মুমিন জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কী আছে। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বারবার বলেছেন, তোমরা আমাকে ভয় কর। এই ভয়ের মাধ্যমে তার প্রিয়ভাজন হওয়া যাবে বলেও ঘোষণা রয়েছে। তাকওয়ার প্রধান গুণই হলো আল্লাহর ভয়ে সব পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। বান্দা যেখানেই থাকুক সবসময় তার মনে থাকবে দুনিয়ার আর কেউ না দেখুক আমাকে আমার আল্লাহ দেখছেন। এই অনুভূতিটুকু যখন মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়ে যায় তখন দুনিয়ার কোনো আইন-কানুনের দরকার পড়ে না, এমনিতেই মানুষ সৎ হয়ে যায়। দুনিয়ার সব বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করা যায়, ফাঁকি দেয়া যায়, কিন্তু আল্লাহর চোখ কোনোভাবেই ফাঁকি দেয়া যায় না। আল্লাহকে সবসময় হাজির নাজির জেনে পাপকর্ম থেকে বিরত থাকার নামই তাকওয়া। তাকওয়ার পুরস্কার সরাসরি জান্নাত। যাদের মধ্যে তাকওয়ার বীজ বপিত থাকে তাদের জীবনে কোনো ভাবনা নেই। সাময়িক বিপদাপদে পড়লেও তাদের অনন্তকালের জীবন সুখ-সাচ্ছন্দ্যের। প্রিয়নবী (সা.) আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন। আর এজন্যই তিনি ছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আল্লাহর রাসুল বারবার তাগিদ দিয়েছেন, তোমরা আল্লাহকে যেভাবে ভয় করার সেভাবে ভয় কর। কারণ আল্লাহ মুত্তাকিন তথা তাকে ভয়কারীদের সঙ্গে আছেন। তাকওয়ার পোশাকে যারা সজ্জিত তাদের দুনিয়ার কোনো কিছুরই দরকার নেই। কারণ আল্লাহ তাদের ওলি বা অভিভাবক হয়ে যান। আর আল্লাহ যার অভিভাবক তার কোনো ভাবনা থাকতে পারে না। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয়। কেউ যখন আল্লাহকে ভয় করে তখন কোনো অপকর্মে জড়াতে পারে না। আর অপকর্ম কমে এলে সমাজ ও রাষ্ট্র আরো বেশি বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।