মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুরের জৈষ্ঠ সাংবাদিক টিটু
- আপলোড টাইম : ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৬
- / ৩২৭ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুর অফিস: সবায় কে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে গতকাল রবিবার ভোর ৫টার সময় চলে যান মেহেরপুরের জৈষ্ঠ সাংবাদিক এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান টিটু। রাত সাড়ে আটটায় জানাযার নামাজ শেষে পৌর কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলে ঢাকার মগবাজারে সাংবাদিক টিটুর ১ম নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন মেহেরপুরের উদ্যোশে রওনা দেন। বিকাল ৫টা ২০মিনিটে মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় তার মরদেহ এসে পৌছায়। সেখানে আত্মীয় স্বজন সহ সাধারন মানুষের শেষ বারের মত দখার জন্য রাখা হয় তাকে। পরে রাত আটটার সময় জানাযার নামাজের জন্য সাংবাদিক টিটুর মরদেহ নেওয়া সামসুজ্জোহা পার্কে। এর আগে সাংবাদিক টিটুকে প্রেসক্লাবের সামনে তার মরদেহ ৫মিনিট রাখা হয়। এসময় মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঢাকায় থেকে আসা তার সহকর্মি ও সাংবাদিকরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। পরে শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জানাযার নামাজের আগে সাংবাদিক আতিকুর রহমান টিটুর স্মৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা তুহিন আরণ্য, সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস টিটু, হাজি সমিতির সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড: মিয়াজান আলী ও মরহুমের বড় ভাই আক্তার হোসেন রিন্টু। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন হোটেল বাজার জামে মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান। জানাযার নামাজ শেষে পৌর কবরস্থানে সাংবাদিক টিটুর মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩কন্যা ও এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য: প্রসঙ্গত : আতিকুর রহমান টিটু দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের মুম্বাই শহরের সুসরাত ক্যানসার হাসপাতালের ডাক্তার এসএইচ আদভানীর তত্ববধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে কয়েক দফা ক্যামোথেরাপি দেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে বাড়ি ফিরে আসেন। কয়েকদিন আগে আবারো অসুস্থ্য হলে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতিকুর রহমান এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ ছাড়াও দৈনিক সকালের খবর, দৈনিক মানবকন্ঠ, সংবাদসহ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় দীর্ঘ ২৪বছর যাবৎ সুনামের সাথ সাংবাদিকতা করে আসছেন। মেহেরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে দায়ীত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মৃত্যুর সময় পর্যন্ত মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হিসেবে অধিষ্ট ছিলেন।