ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুুর মোমিনপুরে বাল্য বিয়ের দায়ে পিতা ও পুত্রের জেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

srere

বারাদী প্রতিনিধি: বাল্য বিবাহ বন্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইনের এই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বড় দুঃসাহস নিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ ঘটছে বাল্য বিবাহের এই হলি খেলা। এমনটি ঘটেছে গত শুক্রবার মেহেরপুর সদরের মোমিনপুর গ্রামের দাশ পাড়ায়। কনের বয়স সবেমাত্র তের পার হয়েছে, তাতেই বাবা মার ঘুম হারাম হয়ে গেছে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য। বর মোমিনপুর গ্রামের ভরত দাশের একমাত্র পুত্র উত্তম কুমার দাশ (২২)। মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুতেই হাল ধরেছে বাবার চামড়ার ব্যবসায়। এরই মাঝে পারিবারিক ওয়াদা রক্ষার্থে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পিসির মেয়ে সুচিত্রা দাশের (কাল্পনিক নাম) সাথে। কিন্তু বাধ সাধল প্রশাসন। হিন্দু শাস্ত্রের রীতিনীতি মেনে শুক্রবার দিবাগত রাত্রে চুয়াডাঙ্গার শিল্পকলা একাডেমীতে উত্তম সুচিত্রার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। গতকাল শনিবার নববধুকে নিয়ে বরের বাড়ী মোমিনপুরে পৌছালে নতুন বৌ দেখার জন্য সকলেই পৌঁছায় ছেলের বাড়ীতে তখনই বিধিবাম। অপরিণত বয়সের মেয়ের বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নড়ে বসে প্রশাসন। খবর শুনে মেহেরপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দ্রুত উপস্থিত হন পিরোজপুর ইউনিয়নের বারাদী কার্যালয়ে, ডেকে পাঠান নববধূ ও বরকে। বৌকে দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ প্রশ্ন করেন পিএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়েছে কবে, তাছাড়া খুঁটিনাটি প্রশ্ন করলে  কনে তার কোন সদুত্তর করতে পারেনি। পরে বাল্য বিবাহ দেয়ার অপরাধে ছেলের বাবা ভরত দাশ ও উত্তম কুমারকে নিয়ে যাওয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং ভ্রাম্যমান আদালতে ভরত দাশের সাত দিন ও উত্তম কুমারের পনের দিনের জেল দেয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুুর মোমিনপুরে বাল্য বিয়ের দায়ে পিতা ও পুত্রের জেল

আপলোড টাইম : ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

srere

বারাদী প্রতিনিধি: বাল্য বিবাহ বন্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইনের এই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বড় দুঃসাহস নিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ ঘটছে বাল্য বিবাহের এই হলি খেলা। এমনটি ঘটেছে গত শুক্রবার মেহেরপুর সদরের মোমিনপুর গ্রামের দাশ পাড়ায়। কনের বয়স সবেমাত্র তের পার হয়েছে, তাতেই বাবা মার ঘুম হারাম হয়ে গেছে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য। বর মোমিনপুর গ্রামের ভরত দাশের একমাত্র পুত্র উত্তম কুমার দাশ (২২)। মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুতেই হাল ধরেছে বাবার চামড়ার ব্যবসায়। এরই মাঝে পারিবারিক ওয়াদা রক্ষার্থে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পিসির মেয়ে সুচিত্রা দাশের (কাল্পনিক নাম) সাথে। কিন্তু বাধ সাধল প্রশাসন। হিন্দু শাস্ত্রের রীতিনীতি মেনে শুক্রবার দিবাগত রাত্রে চুয়াডাঙ্গার শিল্পকলা একাডেমীতে উত্তম সুচিত্রার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। গতকাল শনিবার নববধুকে নিয়ে বরের বাড়ী মোমিনপুরে পৌছালে নতুন বৌ দেখার জন্য সকলেই পৌঁছায় ছেলের বাড়ীতে তখনই বিধিবাম। অপরিণত বয়সের মেয়ের বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নড়ে বসে প্রশাসন। খবর শুনে মেহেরপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দ্রুত উপস্থিত হন পিরোজপুর ইউনিয়নের বারাদী কার্যালয়ে, ডেকে পাঠান নববধূ ও বরকে। বৌকে দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ প্রশ্ন করেন পিএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়েছে কবে, তাছাড়া খুঁটিনাটি প্রশ্ন করলে  কনে তার কোন সদুত্তর করতে পারেনি। পরে বাল্য বিবাহ দেয়ার অপরাধে ছেলের বাবা ভরত দাশ ও উত্তম কুমারকে নিয়ে যাওয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং ভ্রাম্যমান আদালতে ভরত দাশের সাত দিন ও উত্তম কুমারের পনের দিনের জেল দেয়া হয়।