ইপেপার । আজ বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন আশা করে চীন: বিএনপি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

35828_f1

সমীকরণ ডেস্ক: ঢাকা সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন আশা করে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকাকে বাংলাদেশ সমর্থন করবে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়া। দুই নেতার মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক হয়। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বৈঠকে উল্লেখ করেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় স্থাপিত হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। চীন সব সময় বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। খালেদা জিয়া আশা করেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যক্রম, বিশেষ করে উন্নয়নকাজে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং পাশে থাকবে। মির্জা ফখরুল বলেন, চীন আশা করে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ তাকে সমর্থন করবে।
এর আগে দুপুরে এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বাংলাদেশ সফরের জন্য স্বাগত জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নিবিড়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে। সি চিন পিংয়ের এই সফর নিঃসন্দেহে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন আশা করে চীন: বিএনপি

আপলোড টাইম : ০১:০৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

35828_f1

সমীকরণ ডেস্ক: ঢাকা সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন আশা করে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকাকে বাংলাদেশ সমর্থন করবে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়া। দুই নেতার মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক হয়। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বৈঠকে উল্লেখ করেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় স্থাপিত হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। চীন সব সময় বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। খালেদা জিয়া আশা করেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যক্রম, বিশেষ করে উন্নয়নকাজে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং পাশে থাকবে। মির্জা ফখরুল বলেন, চীন আশা করে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ তাকে সমর্থন করবে।
এর আগে দুপুরে এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বাংলাদেশ সফরের জন্য স্বাগত জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নিবিড়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে। সি চিন পিংয়ের এই সফর নিঃসন্দেহে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।