ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তিতুদহের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে সরকারি ভাবে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি নিয়ে দূর্নীতি গরীবের চাল খাচ্ছে বড়লোকের গরুতে : জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

bipul DSC01447নিজস্ব প্রতিবেদক: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এ ¯ে¬াগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের সমস্ত এলাকায় সরকারীভাবে শুরু হয়েছে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রির কর্মসূচি। সরকারী এ চাউল শুধু গরীব দুঃখী হতদরিদ্রদের মধ্যেই বিক্রির অনুমতি থাকলেও এলাকায় চলছে এ নিয়ে দূর্নীতি।  হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে কার্ড দেওয়া হয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ধনীব্যক্তিদের মাঝে। সরজমিনে দেখা যায়, তিতুদহের বিভিন্ন এলাকায়  হতদরিদ্রদের আহাজারি। তারা বললেন আমরা গরিব মানুষ, এই চাল প্রাপ্তি আমাদের অধিকার। কিন্তুু  আমাদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি করেছে ধনী ব্যক্তিদের। কারন আমাদের মাথার ওপর নেই কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি।  তিতুদহের প্রায় সবখানেই চলছে এমন দূর্নীতি। তারমধ্যে তেঘরীতে চলছে বেশি।  এই গ্রামেও সরেজমিনে দেখা যায়, হাফিজদ্দীনের বিধবা কন্যা শাহিদা বেগমের আহাজারি। সে বলে আমি একজন বিধবা, অতিকষ্টে জীবনযাপন করি। আমি অপরের বাড়ি কাজ করি। গ্রামের সবাই জানলেও আমার কার্ডটি হয় নি।  শুধু শহিদা নয়, একই গ্রামের মান্দার আলীর পুত্র সাকের আলী, আয়ুব হোসেনের পুত্র শহীদ,  ভ্যানচালক রনজিৎ সরকার, আবুলের বিধবা কন্যা হাজেরা,  বদর উদ্দীনের পুত্র আলমাস,  ফকিরচাঁদের কন্যা জামিরন নেসা, হামিজদ্দীনের কন্যা শহীদা, ভ্যানচালক গৌরিহরিনাথের পুত্র নীল মাধব – এরা সকলেই এই গ্রামের সবচেয়ে হতদরিদ্র। তারপরও তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে কার্ডের তালিকা থেকে। আবার খাড়াগোদাতেও চলছে একইরকম অনিয়ম। এই গ্রামের সবচেয়ে গরিব শ্রী হরিপদ’র পুত্র ভ্যানচালক রতন কুমারকেও বাদ পড়তে হলো কার্ডের তালিকা থেকে। শুধু রতনই নয়, অত্র গ্রামের লাইলি খাতুন, আজগর আলীর পুত্র মিনাজ, একই গ্রামের গফুর আলীর পুত্র বানাত আলী, বুলবুলি খাতুন এরা সকলেই হতদরিদ্র হলেও কার্ড জোটেনি কপালে। অথচ গ্রামের প্রভাবশালীরা ধনী ব্যক্তি হলেও তারা  কার্ড পেয়েছে।  অত্র ইউনিয়নের শুধু তেঘরীও খাড়াগোদা  নয়, বড়শলুয়াও তিতুদহতেও চলছে একই দৃশ্য। অনেক হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে কার্ড করা হয়েছে ধনীব্যক্তিদের নামে তারমধ্যে বড়শলুয়াত গ্রামের প্রবাসী ছেলের পিতা ও দুই  ট্রাক্টরের মালিক হোসেন আলীর পুত্র জামসেদ হোসেন, একই গ্রামের আঃ কাশেমের পুত্র বাবুল, নুর মোহাঃ পুত্র আসাবুল,  ইসাহাকের পুত্র হাবিবুর,  আকবারের পুত্র হাফিজুর, জামাত আলীর পুত্র আমিরুল তিতুদহের সমসের আলীর পুত্র আলম,  ছানোয়ার,  নুরজাহান, আবু তালেব সোহাগ, সাগর, সুরাতন – এরা সবাই গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন। এরা সবাই প্রায় পাকা বাড়ি এবং ৮-১০ বিঘা জমির মালিক।  কিন্তুু তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে এই চালের কার্ড। জানা গেছে কেউ কেউ আবার এই চাল গৃহপালিত পশু গরুকে দিয়ে খাওয়াচ্ছে।  তাই চাউল না পাওয়া হতদরিদ্রদের চাওয়া উর্ধতন কর্মকর্তারা যদি এদিকে একটু সুনজর দিতেন, তাহলে হয়তো তাদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত হতো এবং তাদের অভাবের সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

তিতুদহের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে সরকারি ভাবে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি নিয়ে দূর্নীতি গরীবের চাল খাচ্ছে বড়লোকের গরুতে : জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

আপলোড টাইম : ১২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

bipul DSC01447নিজস্ব প্রতিবেদক: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এ ¯ে¬াগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের সমস্ত এলাকায় সরকারীভাবে শুরু হয়েছে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রির কর্মসূচি। সরকারী এ চাউল শুধু গরীব দুঃখী হতদরিদ্রদের মধ্যেই বিক্রির অনুমতি থাকলেও এলাকায় চলছে এ নিয়ে দূর্নীতি।  হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে কার্ড দেওয়া হয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ধনীব্যক্তিদের মাঝে। সরজমিনে দেখা যায়, তিতুদহের বিভিন্ন এলাকায়  হতদরিদ্রদের আহাজারি। তারা বললেন আমরা গরিব মানুষ, এই চাল প্রাপ্তি আমাদের অধিকার। কিন্তুু  আমাদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি করেছে ধনী ব্যক্তিদের। কারন আমাদের মাথার ওপর নেই কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি।  তিতুদহের প্রায় সবখানেই চলছে এমন দূর্নীতি। তারমধ্যে তেঘরীতে চলছে বেশি।  এই গ্রামেও সরেজমিনে দেখা যায়, হাফিজদ্দীনের বিধবা কন্যা শাহিদা বেগমের আহাজারি। সে বলে আমি একজন বিধবা, অতিকষ্টে জীবনযাপন করি। আমি অপরের বাড়ি কাজ করি। গ্রামের সবাই জানলেও আমার কার্ডটি হয় নি।  শুধু শহিদা নয়, একই গ্রামের মান্দার আলীর পুত্র সাকের আলী, আয়ুব হোসেনের পুত্র শহীদ,  ভ্যানচালক রনজিৎ সরকার, আবুলের বিধবা কন্যা হাজেরা,  বদর উদ্দীনের পুত্র আলমাস,  ফকিরচাঁদের কন্যা জামিরন নেসা, হামিজদ্দীনের কন্যা শহীদা, ভ্যানচালক গৌরিহরিনাথের পুত্র নীল মাধব – এরা সকলেই এই গ্রামের সবচেয়ে হতদরিদ্র। তারপরও তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে কার্ডের তালিকা থেকে। আবার খাড়াগোদাতেও চলছে একইরকম অনিয়ম। এই গ্রামের সবচেয়ে গরিব শ্রী হরিপদ’র পুত্র ভ্যানচালক রতন কুমারকেও বাদ পড়তে হলো কার্ডের তালিকা থেকে। শুধু রতনই নয়, অত্র গ্রামের লাইলি খাতুন, আজগর আলীর পুত্র মিনাজ, একই গ্রামের গফুর আলীর পুত্র বানাত আলী, বুলবুলি খাতুন এরা সকলেই হতদরিদ্র হলেও কার্ড জোটেনি কপালে। অথচ গ্রামের প্রভাবশালীরা ধনী ব্যক্তি হলেও তারা  কার্ড পেয়েছে।  অত্র ইউনিয়নের শুধু তেঘরীও খাড়াগোদা  নয়, বড়শলুয়াও তিতুদহতেও চলছে একই দৃশ্য। অনেক হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে কার্ড করা হয়েছে ধনীব্যক্তিদের নামে তারমধ্যে বড়শলুয়াত গ্রামের প্রবাসী ছেলের পিতা ও দুই  ট্রাক্টরের মালিক হোসেন আলীর পুত্র জামসেদ হোসেন, একই গ্রামের আঃ কাশেমের পুত্র বাবুল, নুর মোহাঃ পুত্র আসাবুল,  ইসাহাকের পুত্র হাবিবুর,  আকবারের পুত্র হাফিজুর, জামাত আলীর পুত্র আমিরুল তিতুদহের সমসের আলীর পুত্র আলম,  ছানোয়ার,  নুরজাহান, আবু তালেব সোহাগ, সাগর, সুরাতন – এরা সবাই গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন। এরা সবাই প্রায় পাকা বাড়ি এবং ৮-১০ বিঘা জমির মালিক।  কিন্তুু তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে এই চালের কার্ড। জানা গেছে কেউ কেউ আবার এই চাল গৃহপালিত পশু গরুকে দিয়ে খাওয়াচ্ছে।  তাই চাউল না পাওয়া হতদরিদ্রদের চাওয়া উর্ধতন কর্মকর্তারা যদি এদিকে একটু সুনজর দিতেন, তাহলে হয়তো তাদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত হতো এবং তাদের অভাবের সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসত।