ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার শেকড়াতলা মোড়ে প্রতিপক্ষ যুবকের সশস্ত্র হামলা ছাত্রলীগ কর্মী বিপুলকে কুপিয়ে জখম : ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে

DSC01447

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার শেকড়াতলা মোড়ে প্রতিপক্ষ একদল যুবকের সশস্ত্র হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছে বিপুল নামের এক যুবক। হামলায় জখম বিপুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল। বিপুল ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা ফটিকের ছেলে বিপুলকে(২৩) শেকড়াতলা মোড়ে একা পেয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে প্রতিপক্ষরা। বিপুল সাংবাদিকদের জানান, রাতে আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষে বাড়ী ফিরছিলাম, শেকড়াতলার মোড়ে পৌছাঁলে মেয়র জিপু চৌধূরীর ক্যাডার সবুজ, আফ্রিদি, মাফি, তাপু, তাওরাত, প¬াবন, মিঠুনসহ ১০-১৫ জন আমাকে পিস্তল দেখিয়ে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমি হাসপাতালে। তবে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি নারী ঘটিত। গুরুতর আহত বিপুলের বাবা ফটিক একজন যুবলীগ নেতা এবং সে জেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সাথে রাজনীতি করেন বলেই হয়তো জিপু চৌধূরীর ছেলেরা এভাবে বিপুলকে কুপিয়ে জখম করেছে। রাজনৈতিক কারণে হয়তো বিপুলকে কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে বিপুলকে সদর হাসপাতালে দেখতে আসেন জেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। এসময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য বিক্ষোভ শুরু করলে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার তাদেরকে শান্ত করেন এবং তিনি উত্তেজিত নেতাকর্মিদের উদ্যেশে বলেন আপনারা শান্ত হন, পুলিশ অপরাধীদের ধরতে তৎপর রয়েছে। এসময় উপস্থিত চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান আমরা বিপুলের হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি, খুব দ্রুত মূল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। এসময় জেলা গোয়েন্দা শাখার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহীম, এসআই আশরাফ উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের পুলিশের উপর আস্থা রাখতে বলেন এবং আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে সাড়াশী অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান। তবে এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাফি ও তাপু জানান আমরা এই হামলার সাথে জড়িত নই, আমরা বর্তমান মেয়র জিপু চৌধূরীর সাথে রাজনীতি করি বলে একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের এবং মেয়র সাহেবকে ফাঁসাতে চাইছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার শেকড়াতলা মোড়ে প্রতিপক্ষ যুবকের সশস্ত্র হামলা ছাত্রলীগ কর্মী বিপুলকে কুপিয়ে জখম : ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড

আপলোড টাইম : ০১:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

DSC01447

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার শেকড়াতলা মোড়ে প্রতিপক্ষ একদল যুবকের সশস্ত্র হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছে বিপুল নামের এক যুবক। হামলায় জখম বিপুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল। বিপুল ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলে জানা গেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে যুবলীগ নেতা ফটিকের ছেলে বিপুলকে(২৩) শেকড়াতলা মোড়ে একা পেয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে প্রতিপক্ষরা। বিপুল সাংবাদিকদের জানান, রাতে আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষে বাড়ী ফিরছিলাম, শেকড়াতলার মোড়ে পৌছাঁলে মেয়র জিপু চৌধূরীর ক্যাডার সবুজ, আফ্রিদি, মাফি, তাপু, তাওরাত, প¬াবন, মিঠুনসহ ১০-১৫ জন আমাকে পিস্তল দেখিয়ে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমি হাসপাতালে। তবে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি নারী ঘটিত। গুরুতর আহত বিপুলের বাবা ফটিক একজন যুবলীগ নেতা এবং সে জেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সাথে রাজনীতি করেন বলেই হয়তো জিপু চৌধূরীর ছেলেরা এভাবে বিপুলকে কুপিয়ে জখম করেছে। রাজনৈতিক কারণে হয়তো বিপুলকে কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে বিপুলকে সদর হাসপাতালে দেখতে আসেন জেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। এসময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য বিক্ষোভ শুরু করলে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার তাদেরকে শান্ত করেন এবং তিনি উত্তেজিত নেতাকর্মিদের উদ্যেশে বলেন আপনারা শান্ত হন, পুলিশ অপরাধীদের ধরতে তৎপর রয়েছে। এসময় উপস্থিত চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান আমরা বিপুলের হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি, খুব দ্রুত মূল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। এসময় জেলা গোয়েন্দা শাখার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহীম, এসআই আশরাফ উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের পুলিশের উপর আস্থা রাখতে বলেন এবং আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে সাড়াশী অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান। তবে এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাফি ও তাপু জানান আমরা এই হামলার সাথে জড়িত নই, আমরা বর্তমান মেয়র জিপু চৌধূরীর সাথে রাজনীতি করি বলে একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের এবং মেয়র সাহেবকে ফাঁসাতে চাইছে।