মেহেরপুর গাংনী পশ্চিম মালসাদহে পাখিভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ রক্তাক্ত জখম ৩ যাত্রীকে ঢাকা ও রাজশাহীতে রেফার্ড
- আপলোড টাইম : ১২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পশ্চিম মালসাদহ নামক স্থানে পাখি ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে রাজশাহী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেছে স্থানীয় হাসপাতাল। তারা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় পাখি ভ্যান চালকের অদক্ষতাকেই দায়ী করেছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা। আহতরা হচ্ছেন- এ উপজেলার মাইলমারী গ্রামের ফজলুল হক ভুটুর ছেলে পাখিভ্যান চালক মহিবুল ইসলাম (৩০), তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী জাফিরন খাতুন (৪২) ও তার ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র রাসেল হোসেন (১৪)। জানা গেছে, মহিবুল ইসলাম তার পাখিভ্যানে যাত্রী নিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক দিয়ে গাংনী শহরের দিকে আসছিল। পশ্চিম মালসাদহ ব্র্যাক অফিসের কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরিতদিক থেকে আসা একটি ট্রাকের (যার নং- খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৩৪০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ধাক্কায় সড়কের উপর ছিটকে পড়েন চালকসহ দুই যাত্রী। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। সেখানেই তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে মা-ছেলেকে রাজশাহী ও মহিবুলকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। তবে রাত এগারটা পর্যন্ত মহিবুলের জ্ঞান ফেরেনি বলে জানান তার ভাই রিয়াজুল ইসলাম। মহিবুল ইসলাম দুইদিন আগে পাখিভ্যান ক্রয় করেন। এর আগে তার ভ্যান চালানোর কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাই প্রধান সড়কে চালানোর সময় তিনি ভুলভাল চালাচ্ছিলেন। একারণে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। শুধু এই ঘটনায় নয়, প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন স্থানে পাখিভ্যানের সঙ্গে ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। সুবিধার বদলে পাখিভ্যান যেন এক মরণ ফাঁদ তৈরীর দিকেই যাচ্ছে। তাই এখনই এগুলো নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।