চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের প্রধান ফটকে বাংলাদেশ টেলিকমে দূর্ধষ চুরি নামিদামি মোবাইলসহ নগদ টাকা চুরি : নাইটগার্ড আটক: সিসি ক্যামেরাই চোর সনাক্ত
- আপলোড টাইম : ০১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০১৬
- / ১২৬০ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র ও সদর থানার অতি নিকটে সমবায় নিউমার্কেটের প্রধান ফটক সংলগ্ন বাংলাদেশ টেলিকম (মক্কা টেলিকম)’র মোবাইলের শোরুমে এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চোরের ছবি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে সচেতন অনেকে পাহারায় থাকা নাইট গার্ডদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। দোকানের পাশেই নাইটগার্ড থাকা সত্ত্বেও চোর কিভাবে দোকানের সার্টার খুলে আবার সার্টারে নতুন তালা লাগিয়ে নির্বিঘেœ চুরি করে চলে গেল, সেটিও সবার কাছে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরে ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র সমবায় নিউ মার্কেটের প্রধান গেইটের সাথেই অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিকমে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যবসার প্রাণকেন্দ সমবায় নিউমার্কেটের প্রধান ফটক সংলগ্ন বাংলাদেশ টেলিকম (মক্কা টেলিকম)’র মোবাইল শোরুম ও বিকাশ কেন্দ্র। এই মোবাইল শোরুমে বিভিন্ন নামী ব্যান্ডের মোবাইল বিক্রি হয়। গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টির কারণে দ্রুত দোকান বন্ধ করে চলে যান দোকান মালিক রিপন ও অনুপ। রিপন ও অনুপ বাড়ী যাওয়ার পরে বৃষ্টি আরো জোরে শুরু হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা (সবার ধারণা) চোর দোকানের সার্টারের তালা কেটে বা গলিয়ে ভেতর প্রবেশ করে এবং ভেতর থেকে সার্টার টেনে দিয়ে শোরুমের স্যামসাং, হুয়াই, অপ্পসহ বিভিন্ন নামী ব্যান্ডের দামী ৩৯টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮লাখ ও শোরুমের ক্যাশে থাকা প্রায় সাড়ে ৩লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চোর যাওয়ার সময় দোকানের সার্টারে নতুন দুটি তালা লাগিয়ে যায় এবং দোকানের সার্টারে লাগানো তালা চোর নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দোকানের পূর্বের তালাগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। চুরির সংবাদ পেয়ে সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের সাথে চুরি হওয়া দোকান মালিক রিপনের সাথে মোবাইলে কথা হয়। এসময় পুলিশ সুপার দ্রুত এই চোরচক্রকে ধরতে নির্দেশ প্রদানের কথা জানান। পুলিশ দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চোর সনাক্ত করেছে। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ তোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ২জন নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে এবং চুরির সাথে জড়িত চোর ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। চোর যেই হোক তাদেরকে আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে এবং চুরি যাওয়া টাকা, মোবাইল উদ্ধারের জন্যও পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।