খাদিজার অবস্থার উন্নতি
- আপলোড টাইম : ০১:১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে মারাত্মকভাবে আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থার আরও একটু উন্নতি হয়েছে তিনি এখন এক ধরনের নলের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারছেন। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট অনেকটাই কমেছে। খাদিজার চিকিৎসক স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কনসালটেন্ট এবং হাসপাতালটির অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর মির্জা নাজিম উদ্দীন সোমবার যুগান্তরকে এসব কথা জানান। তিনি জানান, খাদিজার লাইফ সাপোর্ট নির্ভরতা কমছে। তাই এ ব্যবস্থার বদলে তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নার্গিসের গলায় অক্সিজেন নল স্থাপন করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় প্যাসেকটিমি। পর্যায়ক্রমে নার্গিসকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেয়ার প্রথম ধাপ হিসেবেই এই উদ্যোগ বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডা. নাজিম আরও জানিয়েছেন, খাদিজার মুখ থেকে অক্সিজেন নল খুলে গলার সঙ্গে সংযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে খাদিজার বড় ভাই শারনান হক শাহীনও তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। শারনান হক শাহীন চীনের একটি বেসরকারি মেডিকেলে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বোনের এমন অবস্থার কথা শুনে চীন থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। এতদিন তিনি হাসপাতালে বোনের পাশেই ছিলেন। সোমবার সকালে সিলেটের বাড়িতে ফিরেছেন শাহীন। সোমবার সকালে তিনি বলেন, খাদিজার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। ডান হাত ও ডান পা নাড়াতে ও চোখ খুলতে পারেন। ডাক্তাররা বলেছেন, আরও তিন/চারদিন না গেলে পুরো ব্যাপারটা বোঝা যাবে না। বদরুলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, ভালো ছাত্র। সে হিসেবেই তাকে আমাদের বাড়িতে লজিং নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পরেই তাকে বাড়ি থেকে বের দেই।’ ঘটনা প্রসঙ্গে খাদিজার ভাই বলেন, ‘এমন একটা কাজ বদরুল করেছে যা কল্পনাবহির্ভূত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা। আমরা চাই তার সর্বোচ্চ সাজা হোক এবং সেটা অতি দ্রুত।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তার অনুরোধ, বদরুলকে যেন অচিরেই স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ ঘটনার পর প্রথমে নার্গিসকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোরে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এদিন দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৯৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।