জীবননগর রায়পুর ইউপি সদস্য একাধীক মামলার চিহ্নিত আসামী নজরুল মেম্বরের কাণ্ড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক জমি দখল
- আপলোড টাইম : ১২:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬
- / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এলাকার বহু অপকর্মের মুল হোতা নজরুল মেম্বারের কান্ড এলাকার সাধারণ মানুষরে সাথে প্রতারণা করা সত্ত্বেও রেহায় পায়নি তার হাত থেকে তারই আপন ছোট ভাই। ক্যান্সারে আক্রান্ত মজনু বাবার পৈতৃক সম্পত্তি ছেড়ে না দেওয়ায় প্রান নাসের হুমকি দিয়েছে তার আপন বড় ভাই নজরুল মেম্বর। নিজের জীবন বাঁচাতে স্ত্রী দু’কন্যাকে নিয়ে বড় বোনের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে । জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পুরাতন চাকলা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে, এলাকার আলোচিত নারী পাচার, হত্যাসহ একাধীক ঘটনার খলনায়ক নজরুল মেম্বর এলাকার সাধারন মানুষকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে জমি জায়গা দখল করাসহ, নারী পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করা সত্ত্বেও তার হাত থেকে রক্ষাপায়নি তার আপন ছোট ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত মজনু । মজনুর শেষ সম্বল বাবার দেওয়া জমিটুকু জোরপুর্বক নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য রীতি মত তাকে প্রান নাসের হুমকি দিয়েছে নজরুল মেম্বর। নজরুল মেম্বরের হুমকিতে নিজের বাবার ভিটা ছেড়ে বোনের বাড়িতে মানবতার জীবনযাপন করছে অসহায় মজনু। অবশেষে নিজের শেষ সম্বলটুকু ফিরে পেতে জীবননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে নজরুল মেম্বরের ছোট ভাই মজনু অভিযোগ করে বলেন নজরুল মেম্বর তার নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সব কিছু করতে পারে। এক সময় সে আমার কাছ থেকে জমি নেওয়ার জন্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার ঘরে ফেন্সিডিল রেখে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। তার সে মিথ্যা মামলায় আমি দীর্ঘ দিন হাজত বাস করি। হাজত বাস করে বাড়িতে ফিরে এসে আমার শরীরে ক্যান্সর দেখা দেয়। সেই থেকে আমি অসুস্থ হয়ে পরি। তার পরেও সে আমার শেষ সম্বল বাবার দেওয়া ভিটা টুকু নিয়ে স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে আমি মানবতার জীবনযাপন করছি। আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় সেই সুযোগে আমার শেষ সম্বল জমি টুকু জোরপুর্বক নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি তার কথায় জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় সে এবং তার স্ত্রী মিলে আমাদের উপরে নানা ভাবে অত্যাচার করে চলেছে। অবশেষে তাদের দুই জনের অত্যাচার সহ্য করতে না পারায়, নিজের জীবনসহ স্ত্রী কন্যাদের জীবন বাঁচাতে মহেশপুর উপজেলার খাঁ পুরন্দপুর গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বসবাস করছি। একটি সুত্রে জানা গেছে খলনায়ন নজরুল মেম্বর একই গ্রামে দিনের বেলা বিচারের নামে প্রকাশ্য এক জনকে পিটিয়ে হত্যা করে। শুধু তাই নয় চাকলা গ্রামের হতদরিদ্র বাবুল হোসেনের স্ত্রী এক সন্তানের জননী সাজেদা খাতুনকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে পাঠানোর নাম করে তাকে বিক্রি করেদেন। কোন রকম সেখান থেকে পালিয়ে জীবন বাঁচিয়ে দেশে ফিরে নিজের স্বামী সংসার ফিরে পেতে তার বাড়িতে অনশন শুরু করে। এই ঘটনায় শেষ নয় সে এলাকাসহ পার্শ¦বতী বেশ কয়েকটি এলাকার সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বোনে গেছে। এত ঘটনার খলনায়ক হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপট ও টাকার জোরে সে পার পেয়ে যায়। যার ফলে এ ধরনের নারী পাচারকারী, হত্যাকারীদের মত জঘন্য ব্যাক্তি আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। এ ব্যাপারে নজরুল মেম্বরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে সমস্থ অভিযোগ আমার নামে করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট আমি কখন আমার ভাইকে প্রান নাসের হুমকি দেয়নি বরং আমার সমাজে মানুষরে কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মেয়েকে দিয়ে আমাকে নারী পাচার সাজিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে। আমি যখন বুঝতে পারলাম এই ঘটনা আমার ভাই ঘটিয়েছে তখন থেকে আমি তার সাথে কথা বলিনা। সে থানায় যে অভিযোগ করেছিল তা তদন্ত করে গেছে। এলাকার কিছু ব্যক্তি আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে। এ ব্যাপারে এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই আকরাম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি অভিযোগটি পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। যেহেতু নজরুল মেম্বরের বাবা তার নামে ৫৫শতক জমি লিখে দিয়ে গেছে সে কোন জমি দখল করেনি আর মজনু এক জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী তার নামে যে জমি ছিল সে তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ের নামে লিখে দিয়েছে।