ঝিনাইদহে ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ দৈনিক সময়ের সমীকরণে খবর প্রকাশের পর কার্ড বাতিলের উদ্যোগ
- আপলোড টাইম : ১২:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬
- / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে ধনাঢ্য ও সচ্ছল পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড বিতরণ নিয়ে চরম অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার তথ্য ভিত্তিক খবর দৈনিক সময়ের সমীকরণে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ইউনিয়নে তদন্ত করে কার্ড বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা নিজেই কার্ড যাচাই বাছাই করতে গ্রামে গ্রামে যান। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই, চান্দেরপোল, দহিঝুড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ৫ জন সচ্ছল পরিবারের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে আসেন। গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর তিনি রোববার বিকালে এই কার্ড বাতিলের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের দপ্তরে আসেন। তিনি জানান, এই কার্ড তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি তিনি কিছুই জানতেন না। ইউপি সদস্যগন তাদের স্ব স্ব ওয়ার্ডের তালিকা করে জমা দেন। এরপর পত্রিকায় সুবিধাভোগীদের নাম উল্লেখ করে খবর প্রকাশের পর তিনি ওই সব সচ্ছল ও ধনাঢ্য পরিবারের বাড়ি গিয়ে তিনি কার্ড সিজ করে নেন এবং বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেন। চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা বলেন, আমি ব্যবসায়ী মানুষ। কোন ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে তিনি প্রশ্রয় দিবেন না। গান্না ইউনিয়নকে তিনি মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন সম্প্রতি তার ইউনিয়নে একের পর এক ডাকাতি হচ্ছে। ডাকাত দলের কাছে ৩০টিরও বেশি রামদা রয়েছে। সংসদ নির্বাচনের আগে এ সব রামদা তৈরী করা হয়েছিলো ইউনিয়নে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য। এখন এ সব দেশী অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন। উল্লেখ্য পত্রিকায় ধনাঢ্য ও সচ্ছল পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড বিতরণ নিয়ে একাধিকবার খবর প্রকাশিত হয়।