ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চোখ খুলেছেন খাদিজা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

khadija_27167_1475912988

সমীকরণ ডেস্ক: ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর সাড়া দিয়েছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। চিকিৎসকদের পরীক্ষায় সাড়া দিয়ে চোখ খুলেছেন। হাত-পা নাড়িয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন তাদের চেষ্টা আর সৃষ্টিকর্তার কৃপায় খাজিদার জীবনে ফেরার লক্ষণ এটি। একইভাবে খাদিজার স্বজনরা জানিয়েছেন, তাকে নড়াচড়া করতে দেখেছেন তারা। এতে তারাও আশা দেখছেন। গতকাল দুপুরে খাদিজার সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের জানান, স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন। ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, অস্ত্রোপচারের পর খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পরে আরো কিছু সময়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। অবজারভেশনে রাখার উদ্দেশ্য চিকিৎসারই অংশ। প্রথমত আমাদের চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছিল তার কনসাসনেসের উন্নতি করা। খাদিজা কনসাস নয়। তবে তার উন্নতি হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তাকে ব্যথা দিলে সে সাড়া দিচ্ছে। ব্যথা দিয়ে দেখেছি, তাকাচ্ছে, ডান হাত ও পা নাড়াচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই নার্গিসের এই উন্নতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতালের ব্রেইন ও স্পাইন সার্জন এ. এম রেজাউস সাত্তার বলনে, শুক্রবার সকাল থেকে ভেন্টিলেশন বন্ধ করা শুরু করলাম। তখন দেখা যাচ্ছে, সে ব্যথা পাচ্ছে। মেয়েটি চোখ খুলছে এবং তার ডান হাত ও পা নড়াচড়া করছে। এখন পর্যন্ত সে ভেন্টিলেশনে আছে। যদি আস্তে আস্তে কনসাস পায় তাহলে হয়তো ধীরে ধীরে তাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হবে। ভেন্টিলেশনে রাখা চিকিৎসার একটা অংশ জানিয়ে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, কনসাস লেভেল ৬ নিয়ে আমাদের কাছে নিউরোজিক্যাল ইনজুরির যেসব রোগী আসেন, তাদের অপারেশন করার উদ্দেশ্য থাকে জীবন রক্ষা। এই মুহূর্তে অপারেশনের পর আমরা খাদিজাকে ভেন্টিলেশনে রেখেছি। এটা চিকিৎসার একটা অংশ। তিনি বলেন, খাদিজার কনসাস লেভেলটা এখন আছে ১০ দশমিক ৬। যা আগে ছিল ১৫’র মধ্যে মাত্র ৬। প্রথমত চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছিল আমরা জীবন রক্ষা করতে  পারবো কিনা। যদিও আশা খুবই ক্ষীণ ছিল। এখন আমরা তার টিকে থাকার সম্ভাবনা পেয়ে গেছি। হয়তো সে সুস্থ হয়ে উঠবে। নার্গিসের এই চিকিৎসক বলেন, তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৯৬ ঘণ্টা পর আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো আমরা ওকে বাঁচাতে পারলাম। হয়তো সে বেঁচে যাবে। তবে রিকভারি কতটুকু হবে তা এখন আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা একটা কথা বলতে চাই যে,  কোনো রকম আঘাতের পরে আমরাও আশা করি না সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসবে, সঙ্গে সঙ্গে কথা বলবে। আমার ধারণা দুই থেকে তিনি সপ্তাহের মধ্যে সে অনুভূতি ফিরে পাবে। অস্ত্রোপচারের পর খাদিজাকে অবজারভেশনে রাখা সম্পর্কে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, তাকে স্কয়ারে নিয়ে আসার পরই ট্রিটমেন্টে দেয়া হচ্ছে। তবে এই  ট্রিটমেন্টের শুরুটা হয়েছে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি  থেকে। আরেকটা জিনিস যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেইনে আঘাত পাওয়ার পরে সাধারণত একটা গোল্ডেন ফোর আওয়ার বলে সময় থাকে। আঘাত পাওয়ার প্রথম চার ঘণ্টা পর যদি অপারেশন করা যেত তাহলে হয়তো আরো দ্রুত রেসপন্স পাওয়া যেত। সিলেট মেডিকেল কলেজে নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছে, ১২ ঘণ্টা পর স্কয়ার হাসপতালে আনার পরও ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সে বেঁচে আছে।  সে যদি বেঁচে যায়, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রেইন রিকভার করা উচিত। কারণ তার বয়স অনেক কম। খাদিজার চেতনা ফিরলেই অর্থোপেডিক্স চিকিৎসা দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থোপেডিক্স চিকিৎসকরা আরো একটু অপেক্ষা করতে চান। একটা রোগী যদি বেঁচে যায় তাহলে হাত-পা বাঁচলো কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। যদি কনসাস হয় তারপর আস্তে আস্তে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন কবে নাগাদ তার চিকিৎসা করবেন। হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজীম উদ্দীন বলেন, গত ৪ঠা অক্টোবর খাদিজা আক্তার নার্গিস যখন হাসপাতালে আসে তখন সে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। এখানে আনার পর তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। এরপর তার মাথায় একটি অপারশেন করা হয়। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার চেষ্টা করি। ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পর আমরা যখন দেখলাম, তাকে আরো বেশকিছু সময় অবজারভেশন করা দরকার,  সেখানে আমরা আরো ২৪ ঘণ্টা বেশি সময় নিই। যেহেতু একটা রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল, তার নিউরোলজিক্যাল স্ট্র্যাকচার অত্যন্ত কম ছিল। মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপা ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। গত সোমবার বিকালে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যিালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে প্রথম দফা অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গত মঙ্গলবার বিকালে ডা. রেজাউস সাত্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের চিকিৎসকদের একটি টিম তার মাথায় অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর ভেন্টিলেশন দিয়ে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। গতকাল খাদিজার স্বজনদের মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ভাই শাহীন আহমেদ, চাচা আবদুল কুদ্দুস ও মামা আবদুল বাছিত। এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র শাহীন আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাতে দেখতে পেয়েছি ব্যথা দিলে তা অনুভব করতে পারছে নার্গিস। তার হাত-পা নড়াচড়া করতে দেখেছি। আমরা তার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চোখ খুলেছেন খাদিজা

আপলোড টাইম : ১২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০১৬

khadija_27167_1475912988

সমীকরণ ডেস্ক: ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর সাড়া দিয়েছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। চিকিৎসকদের পরীক্ষায় সাড়া দিয়ে চোখ খুলেছেন। হাত-পা নাড়িয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন তাদের চেষ্টা আর সৃষ্টিকর্তার কৃপায় খাজিদার জীবনে ফেরার লক্ষণ এটি। একইভাবে খাদিজার স্বজনরা জানিয়েছেন, তাকে নড়াচড়া করতে দেখেছেন তারা। এতে তারাও আশা দেখছেন। গতকাল দুপুরে খাদিজার সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের জানান, স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন। ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, অস্ত্রোপচারের পর খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পরে আরো কিছু সময়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। অবজারভেশনে রাখার উদ্দেশ্য চিকিৎসারই অংশ। প্রথমত আমাদের চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছিল তার কনসাসনেসের উন্নতি করা। খাদিজা কনসাস নয়। তবে তার উন্নতি হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তাকে ব্যথা দিলে সে সাড়া দিচ্ছে। ব্যথা দিয়ে দেখেছি, তাকাচ্ছে, ডান হাত ও পা নাড়াচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই নার্গিসের এই উন্নতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতালের ব্রেইন ও স্পাইন সার্জন এ. এম রেজাউস সাত্তার বলনে, শুক্রবার সকাল থেকে ভেন্টিলেশন বন্ধ করা শুরু করলাম। তখন দেখা যাচ্ছে, সে ব্যথা পাচ্ছে। মেয়েটি চোখ খুলছে এবং তার ডান হাত ও পা নড়াচড়া করছে। এখন পর্যন্ত সে ভেন্টিলেশনে আছে। যদি আস্তে আস্তে কনসাস পায় তাহলে হয়তো ধীরে ধীরে তাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হবে। ভেন্টিলেশনে রাখা চিকিৎসার একটা অংশ জানিয়ে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, কনসাস লেভেল ৬ নিয়ে আমাদের কাছে নিউরোজিক্যাল ইনজুরির যেসব রোগী আসেন, তাদের অপারেশন করার উদ্দেশ্য থাকে জীবন রক্ষা। এই মুহূর্তে অপারেশনের পর আমরা খাদিজাকে ভেন্টিলেশনে রেখেছি। এটা চিকিৎসার একটা অংশ। তিনি বলেন, খাদিজার কনসাস লেভেলটা এখন আছে ১০ দশমিক ৬। যা আগে ছিল ১৫’র মধ্যে মাত্র ৬। প্রথমত চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছিল আমরা জীবন রক্ষা করতে  পারবো কিনা। যদিও আশা খুবই ক্ষীণ ছিল। এখন আমরা তার টিকে থাকার সম্ভাবনা পেয়ে গেছি। হয়তো সে সুস্থ হয়ে উঠবে। নার্গিসের এই চিকিৎসক বলেন, তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৯৬ ঘণ্টা পর আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো আমরা ওকে বাঁচাতে পারলাম। হয়তো সে বেঁচে যাবে। তবে রিকভারি কতটুকু হবে তা এখন আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা একটা কথা বলতে চাই যে,  কোনো রকম আঘাতের পরে আমরাও আশা করি না সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসবে, সঙ্গে সঙ্গে কথা বলবে। আমার ধারণা দুই থেকে তিনি সপ্তাহের মধ্যে সে অনুভূতি ফিরে পাবে। অস্ত্রোপচারের পর খাদিজাকে অবজারভেশনে রাখা সম্পর্কে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, তাকে স্কয়ারে নিয়ে আসার পরই ট্রিটমেন্টে দেয়া হচ্ছে। তবে এই  ট্রিটমেন্টের শুরুটা হয়েছে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি  থেকে। আরেকটা জিনিস যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেইনে আঘাত পাওয়ার পরে সাধারণত একটা গোল্ডেন ফোর আওয়ার বলে সময় থাকে। আঘাত পাওয়ার প্রথম চার ঘণ্টা পর যদি অপারেশন করা যেত তাহলে হয়তো আরো দ্রুত রেসপন্স পাওয়া যেত। সিলেট মেডিকেল কলেজে নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছে, ১২ ঘণ্টা পর স্কয়ার হাসপতালে আনার পরও ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সে বেঁচে আছে।  সে যদি বেঁচে যায়, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রেইন রিকভার করা উচিত। কারণ তার বয়স অনেক কম। খাদিজার চেতনা ফিরলেই অর্থোপেডিক্স চিকিৎসা দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থোপেডিক্স চিকিৎসকরা আরো একটু অপেক্ষা করতে চান। একটা রোগী যদি বেঁচে যায় তাহলে হাত-পা বাঁচলো কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। যদি কনসাস হয় তারপর আস্তে আস্তে অর্থোপেডিক্স চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন কবে নাগাদ তার চিকিৎসা করবেন। হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজীম উদ্দীন বলেন, গত ৪ঠা অক্টোবর খাদিজা আক্তার নার্গিস যখন হাসপাতালে আসে তখন সে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। এখানে আনার পর তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। এরপর তার মাথায় একটি অপারশেন করা হয়। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার চেষ্টা করি। ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পর আমরা যখন দেখলাম, তাকে আরো বেশকিছু সময় অবজারভেশন করা দরকার,  সেখানে আমরা আরো ২৪ ঘণ্টা বেশি সময় নিই। যেহেতু একটা রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল, তার নিউরোলজিক্যাল স্ট্র্যাকচার অত্যন্ত কম ছিল। মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপা ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। গত সোমবার বিকালে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যিালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে প্রথম দফা অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গত মঙ্গলবার বিকালে ডা. রেজাউস সাত্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের চিকিৎসকদের একটি টিম তার মাথায় অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর ভেন্টিলেশন দিয়ে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। গতকাল খাদিজার স্বজনদের মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ভাই শাহীন আহমেদ, চাচা আবদুল কুদ্দুস ও মামা আবদুল বাছিত। এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র শাহীন আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাতে দেখতে পেয়েছি ব্যথা দিলে তা অনুভব করতে পারছে নার্গিস। তার হাত-পা নড়াচড়া করতে দেখেছি। আমরা তার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।