ইপেপার । আজ সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গান্না ইউনিয়নে একের পর এক ডাকাতি ঘটনা অবশেষে ক্লু উদ্ধার মোবাইলের কললিষ্ট ধরে ডাকাত সনাক্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

rtr5t5

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় যখন মানুষ উদ্বিগ্ন, তখন গ্রামবাসিকে সুখবর দিয়েছে পুলিশ। মোবাইলের কল লিস্ট ধরে গোটা ডাকাত দলকে পুলিশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ ওই ডাকাতদলের এক সদস্যকে আটক করতে অভিযান চালিয়েছে ওয়াড়িয়া গ্রামে। বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিফুল ইসলাম তারিফ জানান, গত ২৮ সেপ্টম্বর পশ্চিম ঝিনাইদহ (মাধবপুর) গ্রামে অস্ত্রধারী ডাকাতদল হানা দিয়ে জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট লুট করে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে নেওয়া ওই মোবাইলের একটি সিম ব্যবহার করতো ডাকাত দলের সদস্যের বোন। কল লিস্ট তুলে আমরা ডাকাতের বোন ও তার প্রেমিকের সন্ধান পায়। এরপর বোনকে জিজ্ঞসা করলে সিমটি তার ভাইয়ের কাছ থেকে চুরি করে কথা বলতো বলে জানায়। পুলিশ তদন্ত করে ডাকাতদলের গোটা সদস্যকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সুত্রটি জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ওয়াড়িয়া গ্রামের ওই ডাকাত সদস্যকে আটক করতে চারটি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একত্রে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে বাড়ি পায়নি। পুলিশের একটি সুত্রমতে এই ডাকাত দলে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। ইতিমধ্যে গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হানা দিয়ে ডাকাত সদস্য মামুন, রিয়াজ ও একই নামে আরেক রিয়াজকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গান্নার অনেক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান এই ডাকাতদলের সদস্য বলে পুলিশ জানায়। সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এরা বেপরোয়া ভাবে ডাকাতি ও গরু চুরি করে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসির অভিযোগ। সম্প্রতি গান্না এলাকার লক্ষিপুর গ্রামের কবীর, আবদুল ও সবুজের বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল। তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে র্স্বণ, নগদ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা সুমাইয়া ও সুন্দরী বেগম নামের দুই নারীকে অজ্ঞান করে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিফুল ইসলাম তারিফ জানান, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রফতার করতে সক্ষম হবো। পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতি রাতেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রামবাসি পুলিশের সঙ্গে থেকে এলাকায় পাহারা বসিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গান্না ইউনিয়নে একের পর এক ডাকাতি ঘটনা অবশেষে ক্লু উদ্ধার মোবাইলের কললিষ্ট ধরে ডাকাত সনাক্ত

আপলোড টাইম : ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৬

rtr5t5

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় যখন মানুষ উদ্বিগ্ন, তখন গ্রামবাসিকে সুখবর দিয়েছে পুলিশ। মোবাইলের কল লিস্ট ধরে গোটা ডাকাত দলকে পুলিশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ ওই ডাকাতদলের এক সদস্যকে আটক করতে অভিযান চালিয়েছে ওয়াড়িয়া গ্রামে। বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিফুল ইসলাম তারিফ জানান, গত ২৮ সেপ্টম্বর পশ্চিম ঝিনাইদহ (মাধবপুর) গ্রামে অস্ত্রধারী ডাকাতদল হানা দিয়ে জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট লুট করে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে নেওয়া ওই মোবাইলের একটি সিম ব্যবহার করতো ডাকাত দলের সদস্যের বোন। কল লিস্ট তুলে আমরা ডাকাতের বোন ও তার প্রেমিকের সন্ধান পায়। এরপর বোনকে জিজ্ঞসা করলে সিমটি তার ভাইয়ের কাছ থেকে চুরি করে কথা বলতো বলে জানায়। পুলিশ তদন্ত করে ডাকাতদলের গোটা সদস্যকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সুত্রটি জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ওয়াড়িয়া গ্রামের ওই ডাকাত সদস্যকে আটক করতে চারটি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একত্রে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে বাড়ি পায়নি। পুলিশের একটি সুত্রমতে এই ডাকাত দলে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। ইতিমধ্যে গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হানা দিয়ে ডাকাত সদস্য মামুন, রিয়াজ ও একই নামে আরেক রিয়াজকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গান্নার অনেক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান এই ডাকাতদলের সদস্য বলে পুলিশ জানায়। সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এরা বেপরোয়া ভাবে ডাকাতি ও গরু চুরি করে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসির অভিযোগ। সম্প্রতি গান্না এলাকার লক্ষিপুর গ্রামের কবীর, আবদুল ও সবুজের বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল। তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে র্স্বণ, নগদ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা সুমাইয়া ও সুন্দরী বেগম নামের দুই নারীকে অজ্ঞান করে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিফুল ইসলাম তারিফ জানান, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রফতার করতে সক্ষম হবো। পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতি রাতেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রামবাসি পুলিশের সঙ্গে থেকে এলাকায় পাহারা বসিয়েছে।