আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের বালি ব্যবসায়ী কনকের উপর চাঁদার দাবিতে যুবলীগ নামধারী কতিপয় যুবকের হামলা
- আপলোড টাইম : ১১:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা স্টেশনের রেল ফটকের কাছে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে বালি ব্যবসায়ী কনককে কয়েকজন যুবক বেধড়ক মারপিট করলে কনক মারাত্মক জখম হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারী যুবকেরা পালিয়ে যায়। কনককে উদ্ধার করে প্রথমে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ডাক্তার আশঙ্কা তার কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে। পরবর্তীতে কনককে আলমডাঙ্গা হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মৃত মাহাবুব আলমের ছেলে বালি ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন আলম কনক দীর্ঘদিন থেকে স্টেশনের রেল ফটকের কাছে বালি ব্যবসা করে আসছে। কনকের ভাইরাভাই আয়ুব আলী এই প্রতিবেদককে জানান, শাহীন ও টুকুলসহ বেশকিছু যুবক দীর্ঘদিন থেকে কনকের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। প্রথমে কনক তাদের ২ হাজার টাকাও দেয়। এর কিছুদিন পর আবার টাকা দাবি করলে তাদের ১হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে। গত ঈদের সময় পূণরায় চাঁদা দাবি করলে তাদের ৫ হাজার টাকা ঈদ খরচ বাবদ চাঁদা দেয়। গতকাল পুণরায় কনকের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে কনক টাকা দিতে অস্বীকার করে। এসময় শাহীন, টুকুলসহ বেশকিছু ছেলে কনককে বেধড়ক মারপিট করাকালে কনকের চিৎকারে স্থানীয়রা আশপাশ এলাকা থেকে ছুটে আসলে হামলাকারী যুবকেরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সংবাদ পেয়ে কনকের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, তার ভাইরাভাই চিড়া মিল ব্যবসায়ী আয়ুব আলীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। কনকের শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, তার ভাইরাভাই আয়ুব আলী এই প্রতিবেদককে জানান, কনক সিলেটের বালি ক্রয় করার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানে বসা অবস্থায় শাহীন ও টুকুলের গ্র“প চাঁদা দাবি করলে প্রথমে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ফিরে যায়। পরবর্তীতে লাঠিসোঠাসহ অতর্কিতে কনকের উপরে হামলা চালায়। কনকের পরিবারের দাবি এসময় তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা খোয়া গেছে। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত হারদী হাসপাতালে সাইফুদ্দিন আলম কনকের চিকিৎসা চলছিল। কনকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।