ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ গড়াইটুপি ঐতিহ্যবাহী অম্রবর্তী মেলার অনুমোদন শেষ মিথ্যা প্রতিশ্র“তিতে আটকে পড়েছে সার্কাস ও যাত্রা মালিকেরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৬৫০ বার পড়া হয়েছে

IMG_20161004_222610

তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহে আনুমানিক  প্রায় ৪শ বছর পূর্ব থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাংলদেশের ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেটেরী মেলা। প্রতিবছর এই মেলার কোন না কোন আয়োজক কমিটি সরকারের বৈধ অনুমোদন নিয়ে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। তেমনি এবারও মেলা পরিচালনার জন্য সরকারি অনুমোদন পায় তিতুদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ.লীগ নেতা শুকুর আলী। তিতুদহ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে স্থানীয় আ.লীগ নেতা শুকুর আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা গত ১৫জুলাই থেকে ২৪জুলাই পর্যন্তগড়াইটুপি মেলা পরিচালনার অনুমোদন দেন। কিন্তুু মেলার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া চলায় মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেলার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান গত ৯আগষ্ট মেলার শেষ দিনে ইজারাদার শুকুর আলী মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গণির স্বাক্ষর করা একটি পিটিশন আদেশ সদর থানা বরাবর প্রেরন করেন। সেখানে ওই দুজন বিচারপতির স্বাক্ষর করা পিটিশনে চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপির মেলা আরও দু’মাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই পিটিশনে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির পাশাপাশি স্বাক্ষর রয়েছে হাইকোর্টের সহকারী রেজিষ্ট্রার জনৈক সামসুল ইসলামের। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান হাইকোর্ট থেকে ঐ পিটিশনে দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের নিচে তারিখ রয়েছে ১১আগষ্ট। কিন্তুু পিটিশনটি আমরা পাই ৯আগষ্ট বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হলে আমরা হাইকোর্টের সহকারী রেজিষ্ট্রার সোহাগ রঞ্জন পালের কাছে পিটিশনটি প্রেরণ করলে তিনি নিশ্চিত করেন মেলার পিটিশনটি জাল। বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান স্যারের নির্দেশে সদর থানায় মেলার ইজারাদার স্থানীয় আ.লীগ নেতা শুকুর আলীসহ আরও ৪০/৫০ জনের নামে মামলা করা হয়। পরে মামলাটি নথিভুক্তির পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নামে। সেইথেকে শুকুর আলী এখনও পলাতক রয়েছে। এদিকে সাকার্স ও যাত্রা মালিকেরা জানান শুকুর আলীর লোকজন আমাদেরকে বলেছে যে আবার মেলার অনুমোদন নিয়ে আনা হবে, আপনারা সার্কাস এবং যাত্রা প্যান্ডেল রাখেন। এটা কি সত্য নাকি  মিথ্যা প্রতিশ্র“তি – তা নিয়ে সংশয়ে সার্কাস, যাত্রা মালিকেরা। এখনও মেলার মাঠে সাকার্স ও যাত্রার প্যান্ডেল আছে। দিনেরপর দিন সার্কাস ও যাত্রার মালিকেরা পড়ে আছেন তাদের দলবল নিয়ে নতুন অনুমোদনের আশায়। আবার যাদের কাছ থেকে মেলা পরিচালনার জন্য জমি ভাড়া নেওয়া হয়েছিলো তারা অভিযোগ করে বলেন, সাকার্স ও যাত্রার প্যান্ডেল থাকায় আমরা আমাদের জমিতে চাষ করতে পারছি না। এমনতর অবস্থায় সার্কাস, যাত্রা প্যান্ডেল ও জমির মালিকদের কি করনীয় তারা তা জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ গড়াইটুপি ঐতিহ্যবাহী অম্রবর্তী মেলার অনুমোদন শেষ মিথ্যা প্রতিশ্র“তিতে আটকে পড়েছে সার্কাস ও যাত্রা মালিকেরা

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৬

IMG_20161004_222610

তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহে আনুমানিক  প্রায় ৪শ বছর পূর্ব থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাংলদেশের ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেটেরী মেলা। প্রতিবছর এই মেলার কোন না কোন আয়োজক কমিটি সরকারের বৈধ অনুমোদন নিয়ে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। তেমনি এবারও মেলা পরিচালনার জন্য সরকারি অনুমোদন পায় তিতুদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ.লীগ নেতা শুকুর আলী। তিতুদহ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে স্থানীয় আ.লীগ নেতা শুকুর আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা গত ১৫জুলাই থেকে ২৪জুলাই পর্যন্তগড়াইটুপি মেলা পরিচালনার অনুমোদন দেন। কিন্তুু মেলার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া চলায় মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেলার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান গত ৯আগষ্ট মেলার শেষ দিনে ইজারাদার শুকুর আলী মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গণির স্বাক্ষর করা একটি পিটিশন আদেশ সদর থানা বরাবর প্রেরন করেন। সেখানে ওই দুজন বিচারপতির স্বাক্ষর করা পিটিশনে চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপির মেলা আরও দু’মাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই পিটিশনে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির পাশাপাশি স্বাক্ষর রয়েছে হাইকোর্টের সহকারী রেজিষ্ট্রার জনৈক সামসুল ইসলামের। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান হাইকোর্ট থেকে ঐ পিটিশনে দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের নিচে তারিখ রয়েছে ১১আগষ্ট। কিন্তুু পিটিশনটি আমরা পাই ৯আগষ্ট বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হলে আমরা হাইকোর্টের সহকারী রেজিষ্ট্রার সোহাগ রঞ্জন পালের কাছে পিটিশনটি প্রেরণ করলে তিনি নিশ্চিত করেন মেলার পিটিশনটি জাল। বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান স্যারের নির্দেশে সদর থানায় মেলার ইজারাদার স্থানীয় আ.লীগ নেতা শুকুর আলীসহ আরও ৪০/৫০ জনের নামে মামলা করা হয়। পরে মামলাটি নথিভুক্তির পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নামে। সেইথেকে শুকুর আলী এখনও পলাতক রয়েছে। এদিকে সাকার্স ও যাত্রা মালিকেরা জানান শুকুর আলীর লোকজন আমাদেরকে বলেছে যে আবার মেলার অনুমোদন নিয়ে আনা হবে, আপনারা সার্কাস এবং যাত্রা প্যান্ডেল রাখেন। এটা কি সত্য নাকি  মিথ্যা প্রতিশ্র“তি – তা নিয়ে সংশয়ে সার্কাস, যাত্রা মালিকেরা। এখনও মেলার মাঠে সাকার্স ও যাত্রার প্যান্ডেল আছে। দিনেরপর দিন সার্কাস ও যাত্রার মালিকেরা পড়ে আছেন তাদের দলবল নিয়ে নতুন অনুমোদনের আশায়। আবার যাদের কাছ থেকে মেলা পরিচালনার জন্য জমি ভাড়া নেওয়া হয়েছিলো তারা অভিযোগ করে বলেন, সাকার্স ও যাত্রার প্যান্ডেল থাকায় আমরা আমাদের জমিতে চাষ করতে পারছি না। এমনতর অবস্থায় সার্কাস, যাত্রা প্যান্ডেল ও জমির মালিকদের কি করনীয় তারা তা জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।