চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে পৃথকস্থানে আকস্মিক বজ্রপাতে বিপত্তি মেহেরপুরে কৃষক নিহত : চুয়াডাঙ্গায় শিশুসহ আহত ৪
- আপলোড টাইম : ০২:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথকস্থানে বজ্রপাতে শিক্ষিকাসহ গৃহবধু আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলাকালীন সময়ে বজ্রপাতে স্কুলের শিক্ষিকা মিলি খাতুন (২৩), ছাত্রী জুঁই (১২), রিনী (১২) ও কুশাঘাটা গ্রামের গৃহবধূ নিলা খাতুন (২৫) আহত হয়। জানা গেছে, স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে মজলিশপুর গ্রামের ইসরাইল এর মেয়ে মজলিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মেলী ও ৪র্থ শ্রেণীর ২ ছাত্রী আহত হয়। সেই সাথে একই গ্রামের মিতুনের মেয়ে রিনী ও লিটনের মেয়ে জুঁই আহত হয়। আহত হবার পর পরিবারের লোকজন জুঁইকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। আর বাকী ২জন ভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। অপরদিকে পৃথকস্থানের দুপুরের দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কৈশঘাটা গ্রামের আক্তারুল ইসলাম লালনের স্ত্রী নিলা খাতুন নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাংনী অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনীর ধানখোলা গ্রামের মাদিয়ার বিলে বজ্রপাত হয়ে আব্দুল মজিদ (৪৭) নামের এক কৃষক নিহত ও অপর কৃষক আশাদুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত কৃষক আশাদুল ইসলাম (৩৫) কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রা ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ও নিত্যনন্দপুর মাঠের মাদিয়ার বিলে মহিষ চরানোকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মজিদ ধানখোলা গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত রবগুলের ছেলে এবং আহত আশাদুল ইসলাম একই গ্রামের হাবিল উদ্দীনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ধানখোলা ও নিত্যনন্দপুর মাঠের মাদিয়ার বিলে কৃষক মজিদ ও আশাদুল কয়েকটি মহিষ চরাতে গেলে আকস্মিক ভাবে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে। বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মজিদ নিহত হয়। এ সময় গুরত্বর আহত হয় আশাদুল। লাশ উদ্ধার করে নিহতের বাড়ি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ার দিকে গ্রামের মাঠ গোরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় বইছে শোকের মাতম। এদিকে আহত আশাদুল গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, বজ্রপাতে নিহত ও আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।