ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরে বিএডিসিতে শ্রমিকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ প্রকাশ্যে ধাওয়া ও পাল্টাধাওয়া : পুলিশের ফাঁকা গুলি বর্ষন : টানটান উত্তেজনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

BADC

শহর প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রত্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’পক্ষের শ্রমিকের মধ্যে চরম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত  এ সংঘর্ষ চলে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় বিএডিসি  অফিস কক্ষের জানালা-দরজা। সোমবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষ শ্রমিকেরা জোর করে কাজে যোগ দিতে গেলে এসব ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করলে শ্রমিকেরা পুলিশের উপর পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ ৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ৩জন আহত হয়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে সবধরনের কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, ধানবীজ প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য সপ্তাহ খানেক আগে থেকে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে শ্রমিকেরা কাজ করতে শুরু করে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪শ শ্রমিক এখানে কাজ করে এবং শ্রমিকেরা প্রতিদিন জনপ্রতি ৪শ টাকা করে হাজিরা পান। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিপক্ষের মোমিন ও হানিফ তাদের শ্রমিক নিয়োগের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমান শ্রমিক সর্দার লোকমান প্রতিবারই তাদের প্রস্তাব নাকচ করে আসছিল। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মোমিন ও হানিফের নেতৃত্বে তার লোকজন সোমবার সকালে জোরপূর্বক কাজে যোগ দিতে যায়।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় অফিস কক্ষের জানালা-দরজা। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে  ৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। বর্তমানে বিএডিসি ফার্ম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ  মোতায়েন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান, সংঘর্ষকারীদের হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা শহরে বিএডিসিতে শ্রমিকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ প্রকাশ্যে ধাওয়া ও পাল্টাধাওয়া : পুলিশের ফাঁকা গুলি বর্ষন : টানটান উত্তেজনা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

BADC

শহর প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রত্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’পক্ষের শ্রমিকের মধ্যে চরম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত  এ সংঘর্ষ চলে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় বিএডিসি  অফিস কক্ষের জানালা-দরজা। সোমবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষ শ্রমিকেরা জোর করে কাজে যোগ দিতে গেলে এসব ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করলে শ্রমিকেরা পুলিশের উপর পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ ৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ৩জন আহত হয়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে সবধরনের কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, ধানবীজ প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য সপ্তাহ খানেক আগে থেকে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে শ্রমিকেরা কাজ করতে শুরু করে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪শ শ্রমিক এখানে কাজ করে এবং শ্রমিকেরা প্রতিদিন জনপ্রতি ৪শ টাকা করে হাজিরা পান। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিপক্ষের মোমিন ও হানিফ তাদের শ্রমিক নিয়োগের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমান শ্রমিক সর্দার লোকমান প্রতিবারই তাদের প্রস্তাব নাকচ করে আসছিল। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মোমিন ও হানিফের নেতৃত্বে তার লোকজন সোমবার সকালে জোরপূর্বক কাজে যোগ দিতে যায়।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় অফিস কক্ষের জানালা-দরজা। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে  ৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। বর্তমানে বিএডিসি ফার্ম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ  মোতায়েন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান, সংঘর্ষকারীদের হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে।