গাংনীতে ইটভাটা ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা পরিকল্পিত হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবি করেন নিহতের ভাই ইনসু
- আপলোড টাইম : ০৮:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী থানাপাড়ার ইটভাটা ব্যবসায়ী আবুল খয়েরকে (৩১) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির অদুরবর্তী ওলিপাড়া সড়কে সন্ত্রাসীদের হামলার পর সোমবার ভোর চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আবুল খয়ের থানাপাড়ার মৃত করিম মালিথার ছেলে। পূর্বশত্র“তা ও চাঁদার দাবিতে এই হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ পরিবারের। রাজশাহী থেকে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে লাশ এসে পৌছায় গাংনীতে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাংনী সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসায় নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের জানাযা অনুষ্ঠানে তার বড় ভাই বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল ইসলাম ইনসু বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই, জাতি বা কোন গোষ্টি নেই। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন দল পরির্বতন করে ক্ষমতাসীন দলে চলে যায়। তাই তাদের পরিহার করার আহবান জানায় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগকে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও চাদাবাজ পরিকল্পিত হত্যাকারীদের আইনী প্রক্রিয়ায় ফাসির দাবি করেন। তিনি আরো বলেছেন, এ সকল সন্ত্রাসীদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। নিহত আবুল খয়ের মারা যাওয়ার আগে বলে গেছেন, কয়েকজন হত্যাকারীর নাম। তারা হলেন ওলিপাড়ার এলাকার মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে কানা বাবু, কাউসার আলীর ছেলে রুবেল, আকসার আলীসহ তার ছেলে আব্দুল সোবহানসহ আরো কয়েকজনের নাম করে যায় সে। জানা গেছে, রোববার রাতে ব্যবসায়ী কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন আবুল খয়ের। বাড়ির অদুরবর্তী ও গাংনী থানা থেকে ১ কি:মি: দূরে ওলিপাড়া সড়কে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসী কানা বাবুসহ তার লোকজন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপায়। খয়েরের মাথা ও পায়ে বেশি করে কুিপয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় খয়েরকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে এঘটনা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে মহিবুল নামের একজন আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, রাতেই এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামিদেও পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে তার জানাযার নামাজে অংশ গ্রহণ করেন। মেহেরপুর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশাদুজামান বাবলু, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক প্রমুখ।