আলমডাঙ্গায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে নির্বাচন কমিশনের ৫সদস্য উধাও : নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি
- আপলোড টাইম : ০৮:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
- / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলা বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন গতকাল হওয়ার কথা ছিল। আলমডাঙ্গা শিক্ষক সমিতি ৩প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও কথা ছিল। এদের মধ্যে হুমায়ূন কবীর জাহাঙ্গীর পরিষদ, ইকবাল আনিস পরিষদ ও মাসুদ আলিহীম পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন উপলক্ষে ৫ সদস্যের উপজেলা প্রাথমিক সমিতির নির্বাচন কমিশিন গঠন করা হয়। প্রধান নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছিলেন কুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রহমত উল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছিলেন জামজামি সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুর রহমান, সদস্য হিসেবে ঘোষবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদ আহমেদ, রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক এবং সাহেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী। গত ২৮/০৮/২০১৬ ইং তারিখে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ৩০/০৮/২০১৬ থেকে ১০/০৯/২০১৬ পর্যন্ত সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার কথা। মনোনয়ণপত্র দাখিলের তারিখ ১৫/০৯/২০১৬ সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছায় ১৫/০৯/২০১৬ বিকাল ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৮/০৯/২০১৬ বেলা ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২০/০৯/২০১৬ বেলা ৩ টায়। তফসিল অনুযায়ী ০৩/১০/২০১৬ ইং তারিখে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অব্যাহতভাবে ভোট গ্রহণের কথা। সে মোতাবেক হুমায়ূন জাহাঙ্গীর প্যানেল ২৬টি মোননয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ইকবান আনিস প্যানেল ২৬ টি ও মাসুদ আলিহীম প্যানেল ২০টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। মোট ৭২টি মনোনয়নপত্র বিক্রয় হয়েছ বলে জানা গেছে। কোন প্রার্থীয় তাদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। যথারীতি ৩ প্যানেলের সকলেই ভোটারদের দারে দারে ভোটের জন্য ঘুরেছে। গত ০৩ অক্টোবর সকাল ৯ টায় আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ও ভোটারগণ উপস্থিত হয়ে দেখে স্কুলের গেটে তালা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনের কেউ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নির্বাচন কমিশনের ৫জনই আত্মগোপন করে ছিল। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যানা যায় বর্তমান সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্পাদক তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছিল। ভোটার ও প্রত্যেক প্যানেলের প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে আগে থেকে আমাদেরকে কেন জানালেন না? নির্বাচন স্থগিত না করে কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেলেন কেন? প্রধান নির্বাচন কমিশনার রহমত উল্লাহ ও সদস্য সচিক সামসুর রহমান স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক সমিতির নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছিল তা এই প্রতিবেদককে দিয়ে ইকবার আনিস প্যানেল ও হুমায়ূন জাহাঙ্গীর প্যানেলের প্রার্থীরা ক্ষোভের সাথে বলেন- উপজেলায় দির্ঘদিন পর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হওয়ায় প্রত্যেক শিক্ষকের মাঝে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছিল। প্রায় ১ হাজার শিক্ষকের সাথে প্রতারণা করার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।