ইপেপার । আজ বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহে এবার পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি থেকে গরু চুরি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

45r4555555555555

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের পল্লীতে একের পর এক ডাকাতির পর এবার সদর উপজেলার বংকিরা পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি থেকে গরু চুরির ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরাও পড়েছে ইমেজ সংকটে। রোববরার ভোর রতে বংকিরা গ্রামের কৃষক আকালে মন্ডলের গোয়াল ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের গরুটি চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। কৃষক আকালে মন্ডল জানিয়েছেন, তার বাড়িটি বংকিরা পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি বংকিরা স্কুল মোড়ের দোকানে ছিলেন। বাড়ি এসে ঘুমানোর পর ভোরবেলা দেখেন তার গোয়ালে গরু নেই। গরুটির দাম ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা হবে বলে তিনি জানান। হতদরিদ্র কৃষক আকালের গরু চুরি হওয়ায় তিনি পথে বসেছেন। গ্রামবাসি জানায়, এর আগে বংকিরা পুলিশ ফাঁড়ির একশ গজ দুরের একটি সোনার দোকানে দুধর্ষ চুরি হয়। চোরেরা ওই গ্রামের ঝন্টু ঘোষের ছেলে কোমল চন্দ্র ঘোষের দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৮ ভরি সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। এই চুরির ঘটনাও এখনো রয়েছে রহস্যবৃত্ত। এখনও সোনা ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া পুলিশ ক্যাম্পের পাশ থেকে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের দুইটি ট্রান্সফারমার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ক্যাম্পের পাশের বাড়ি থেকে গরু চুরি হওয়ায় তাদেরকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তিনি গরু উদ্ধারে ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছেন বলেও জানান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসি চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম ঝিনাইদহ (মাধবপুর) গ্রামে অস্ত্রধারী ডাকাতদল হানা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। গত ২৮ সেপ্টম্বর (রোববার) একই এলাকার লক্ষিপুর গ্রামের কবীর, আবদুল  ও সবুজের বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল। তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে র্স্বণ, নগদ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা সুমাইয়া ও সুন্দরী বেগম নামের দুই নারীকে অজ্ঞান করে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, এক সপ্তার ব্যবধানে দুটি গ্রামে ডাকাতি হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে এবার পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি থেকে গরু চুরি!

আপলোড টাইম : ১০:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬

45r4555555555555

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের পল্লীতে একের পর এক ডাকাতির পর এবার সদর উপজেলার বংকিরা পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ি থেকে গরু চুরির ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরাও পড়েছে ইমেজ সংকটে। রোববরার ভোর রতে বংকিরা গ্রামের কৃষক আকালে মন্ডলের গোয়াল ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের গরুটি চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। কৃষক আকালে মন্ডল জানিয়েছেন, তার বাড়িটি বংকিরা পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি বংকিরা স্কুল মোড়ের দোকানে ছিলেন। বাড়ি এসে ঘুমানোর পর ভোরবেলা দেখেন তার গোয়ালে গরু নেই। গরুটির দাম ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা হবে বলে তিনি জানান। হতদরিদ্র কৃষক আকালের গরু চুরি হওয়ায় তিনি পথে বসেছেন। গ্রামবাসি জানায়, এর আগে বংকিরা পুলিশ ফাঁড়ির একশ গজ দুরের একটি সোনার দোকানে দুধর্ষ চুরি হয়। চোরেরা ওই গ্রামের ঝন্টু ঘোষের ছেলে কোমল চন্দ্র ঘোষের দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৮ ভরি সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। এই চুরির ঘটনাও এখনো রয়েছে রহস্যবৃত্ত। এখনও সোনা ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া পুলিশ ক্যাম্পের পাশ থেকে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের দুইটি ট্রান্সফারমার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ক্যাম্পের পাশের বাড়ি থেকে গরু চুরি হওয়ায় তাদেরকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তিনি গরু উদ্ধারে ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছেন বলেও জানান। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসি চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম ঝিনাইদহ (মাধবপুর) গ্রামে অস্ত্রধারী ডাকাতদল হানা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জলিল মুন্সির বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। গত ২৮ সেপ্টম্বর (রোববার) একই এলাকার লক্ষিপুর গ্রামের কবীর, আবদুল  ও সবুজের বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল। তারা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে র্স্বণ, নগদ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা সুমাইয়া ও সুন্দরী বেগম নামের দুই নারীকে অজ্ঞান করে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে বেতাই বাজারের পুলিশ ক্যাম্পের আইসি তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, এক সপ্তার ব্যবধানে দুটি গ্রামে ডাকাতি হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।