ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

DSC08957 DSC08961নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতাকে জাতীয় আন্দোলনে রূপ দিতে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৬ পালিত হয়। গতকাল রবিবার জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের শিল্প, কৃষি, সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এ দিবসটি পালন করা হয়। এবারের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’’। দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রসাদ পাল, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতি হিসেবে আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে এবং আমাদের সবাইকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। খাদ্য-বস্ত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে শ্রমিকরা বেশি মজুরী পাওয়ার পাশাপাশি মালিকরাও অধিক মুনাফা পাবেন। ভোক্তারা পাবেন সস্তায় মানসম্মত পণ্য ও সেবা। সর্বোপরি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বাড়বে, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে এবং দেশ সমৃদ্ধির সোপানে এগোবে। এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।এছাড়া বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল হাসান, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুর হক। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বিএডিসি ফার্মের হাফিজ উদ্দীন। এছাড়া আলোচনা সভা ও র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা, দৈনিক সময়ের সমীকরণের বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, সাংবাদিক জহির রায়হান সোহাগসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে,  জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে সর্বোস্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি পাক, দেশ এগিয়ে যাক এই স্লে¬াগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর বিসিক  শিল্প নগরী এলাকায় দিবসটির আয়োজন করে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি জেলা শাখা ও মেসার্স মোমিনুল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী। এই উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিসিক নগরী এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে বিসিক  শিল্প নগরীর অফিসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিক নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাশিদুল মান্নাফ কবীর। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা শাখার নাসিফের সভাপতি নাঈমুর রহমান, আল-মদিনার প্রোঃ মনিরুজ্জামান,  আদ্রপ্রির্ন্টাসের প্রোঃ আমিরুল ইসলাম, সোনালী বীজ ভান্ডারের প্রোঃ ইয়ারুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য

আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬

DSC08957 DSC08961নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতাকে জাতীয় আন্দোলনে রূপ দিতে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৬ পালিত হয়। গতকাল রবিবার জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের শিল্প, কৃষি, সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এ দিবসটি পালন করা হয়। এবারের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’’। দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রসাদ পাল, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাক্ষ সিদ্দিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতি হিসেবে আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে এবং আমাদের সবাইকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। খাদ্য-বস্ত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে শ্রমিকরা বেশি মজুরী পাওয়ার পাশাপাশি মালিকরাও অধিক মুনাফা পাবেন। ভোক্তারা পাবেন সস্তায় মানসম্মত পণ্য ও সেবা। সর্বোপরি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বাড়বে, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে এবং দেশ সমৃদ্ধির সোপানে এগোবে। এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।এছাড়া বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল হাসান, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুর হক। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বিএডিসি ফার্মের হাফিজ উদ্দীন। এছাড়া আলোচনা সভা ও র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা, দৈনিক সময়ের সমীকরণের বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, সাংবাদিক জহির রায়হান সোহাগসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে,  জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে সর্বোস্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি পাক, দেশ এগিয়ে যাক এই স্লে¬াগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর বিসিক  শিল্প নগরী এলাকায় দিবসটির আয়োজন করে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি জেলা শাখা ও মেসার্স মোমিনুল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী। এই উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি বিসিক নগরী এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে বিসিক  শিল্প নগরীর অফিসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিক নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাশিদুল মান্নাফ কবীর। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা শাখার নাসিফের সভাপতি নাঈমুর রহমান, আল-মদিনার প্রোঃ মনিরুজ্জামান,  আদ্রপ্রির্ন্টাসের প্রোঃ আমিরুল ইসলাম, সোনালী বীজ ভান্ডারের প্রোঃ ইয়ারুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ।