ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রাম এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভৈরব নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬
  • / ১০০৬ বার পড়া হয়েছে

SAM_3039

আওয়াল হোসেন: দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রাম একটি বিছিন্ন দ্বীপে পরিনত হয়েছে। মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর দু’পাশ ঘিরে ছোট্ট শান্ত নিরিবিলি সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাখি ডাকা ছায়াঢাকা পাটাচোরা গ্রাম। এ গ্রামের চারদিকে মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর অবস্থানের কারণে ভৈরব নদীর কোল ঘেষে এই গ্রামের মানুষের চলাচল। এ রাস্তাও আবার মাঝে মধ্যে ভেঙ্গে নদী গর্ভে  চলে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা প্রকট হয়ে দাড়ায়। তখন গ্রামের মানুষদের চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই এলাকার জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরায় সুবলপুর ও পাটাচোরা গ্রামের মধ্যবর্তী ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদীর মহনায় ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। ব্রীজ না থাকায় ঐ গ্রামের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ১হাজর ৯শত জনসংখ্যার এ গ্রামে ভোটার সংখ্যাও নেহাত কম নয়, প্রায় ১হাজার ২০০শত জন। এই গ্রামে ১৯৯৪ সালে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যেখানে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৬৫জন। এছাড়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবায়ন নামে একটি ক্লাবও রয়েছে। সব মিলিয়ে পাটাচোরা গ্রামটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামের অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী এখানে লেখা পড়া করতে আসে। এ গ্রামে ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবকগনেরও  বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আসা যাওয়া রয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য ও নেতাদেরেও রাজনৈতিক কারণে এ গ্রামে আসতে হয়। এত মানুষের পদচারনা ঘটলেও এ গ্রামে দ্রুত আসা যাওয়ার মত রাস্তা নেই। গ্রামের মধ্যে রাস্তাগুলো খানাখন্দে পরিপূর্ণ। এছাড়া একটি ব্রিজের জন্য রঘুনাথপুর, বাস্তপুর, কাঞ্চনতলা, বাঘাডাঙ্গা ও সুবলপুর গ্রামের ছেলে মেয়েদের আসতে হয় বাঁেশর সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে। এলাকাবাসী ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রাম এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভৈরব নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬

SAM_3039

আওয়াল হোসেন: দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রাম একটি বিছিন্ন দ্বীপে পরিনত হয়েছে। মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর দু’পাশ ঘিরে ছোট্ট শান্ত নিরিবিলি সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাখি ডাকা ছায়াঢাকা পাটাচোরা গ্রাম। এ গ্রামের চারদিকে মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর অবস্থানের কারণে ভৈরব নদীর কোল ঘেষে এই গ্রামের মানুষের চলাচল। এ রাস্তাও আবার মাঝে মধ্যে ভেঙ্গে নদী গর্ভে  চলে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা প্রকট হয়ে দাড়ায়। তখন গ্রামের মানুষদের চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই এলাকার জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরায় সুবলপুর ও পাটাচোরা গ্রামের মধ্যবর্তী ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদীর মহনায় ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। ব্রীজ না থাকায় ঐ গ্রামের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ১হাজর ৯শত জনসংখ্যার এ গ্রামে ভোটার সংখ্যাও নেহাত কম নয়, প্রায় ১হাজার ২০০শত জন। এই গ্রামে ১৯৯৪ সালে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যেখানে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৬৫জন। এছাড়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবায়ন নামে একটি ক্লাবও রয়েছে। সব মিলিয়ে পাটাচোরা গ্রামটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামের অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী এখানে লেখা পড়া করতে আসে। এ গ্রামে ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবকগনেরও  বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আসা যাওয়া রয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য ও নেতাদেরেও রাজনৈতিক কারণে এ গ্রামে আসতে হয়। এত মানুষের পদচারনা ঘটলেও এ গ্রামে দ্রুত আসা যাওয়ার মত রাস্তা নেই। গ্রামের মধ্যে রাস্তাগুলো খানাখন্দে পরিপূর্ণ। এছাড়া একটি ব্রিজের জন্য রঘুনাথপুর, বাস্তপুর, কাঞ্চনতলা, বাঘাডাঙ্গা ও সুবলপুর গ্রামের ছেলে মেয়েদের আসতে হয় বাঁেশর সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে। এলাকাবাসী ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী করেছেন।