ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পরিপূর্ণ শরিয়ত মানা জরুরি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এর বিধানদাতা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এবং ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ এবং তার রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের কল্যাণের জন্য ইসলামের বিধিবিধান জারি করেছেন। এ বিধিবিধানকেই শরিয়ত বলে। আল্লাহ? তায়ালা এ শরিয়তের পূর্ণতার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামি জীবনব্যবস্থাকে মনোনীত করলাম (সূরা মায়িদা: ৩)। শরিয়তের বিধিবিধান অবিভাজ্য। এর কিছু অংশ গ্রহণ এবং কিছু অংশ বর্জন করা নিষেধ। শরিয়তের প্রতিটি হুকুমের ওপর ইমান আনা এবং সামগ্রিকভাবে শরিয়ত পালন অবশ্য কর্তব্য। শরিয়তের কোনো বিধানের বিরোধিতা বা লঙ্ঘন একই সঙ্গে দুটি মারাত্মক কারণ। একটি ইহকালীন এবং অপরটি পরকালীন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ? তায়ালা বলেন, তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের যারা এরূপ করে তাদের প্রতিফল পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে (সূরা বাকারা: ৮৫)। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, এটা (কোরান) মানুষের জন্য জ্ঞান, হিদায়াত (পথ নির্দেশক) এবং রহমত (সূরা জাসিয়া: ২০)। আল্লাহ আরো বলেন, রাসুল (সা.) তোমাদের কাছে যা কিছু নিয়ে আসেন, তোমরা তা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক (সূরা হাশার: ৭)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। তোমরা যতদিন সে দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবে, ততদিন তোমরা পথহারা? হবে না। সে দুটি হলো আল্লাহ?র কোরান ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহ (মিশকাত)। শুধু কোরান ও হাদিস অবলম্বনে আমরা চলতে পারি না। কালক্রমে আমরা এমন এমন সমস্যার সম্মুখীন হই যাতে আমরা সেগুলোর সমাধান কোরান ও হাদিসে পাই না। তখন আমরা কী করব? সে পথনির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি জানা না থাকে তবে অভিজ্ঞজনকে (তার সমাধান) জিজ্ঞাসা কর (সূরা নাহল: ৪৩)। সেখান থেকেই ইসলামে ইজমা ও কিয়াসের সৃষ্টি হয়েছে। কোরান ও হাদিসের মতো ইজমা ও কিয়াসকেও ইসলামের মানদণ্ড মেনে পুরোপুরিভাবে শরিয়তের ওপর আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পরিপূর্ণ শরিয়ত মানা জরুরি

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ শাশ্বত জীবনব্যবস্থা। এর বিধানদাতা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এবং ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ এবং তার রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের কল্যাণের জন্য ইসলামের বিধিবিধান জারি করেছেন। এ বিধিবিধানকেই শরিয়ত বলে। আল্লাহ? তায়ালা এ শরিয়তের পূর্ণতার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামি জীবনব্যবস্থাকে মনোনীত করলাম (সূরা মায়িদা: ৩)। শরিয়তের বিধিবিধান অবিভাজ্য। এর কিছু অংশ গ্রহণ এবং কিছু অংশ বর্জন করা নিষেধ। শরিয়তের প্রতিটি হুকুমের ওপর ইমান আনা এবং সামগ্রিকভাবে শরিয়ত পালন অবশ্য কর্তব্য। শরিয়তের কোনো বিধানের বিরোধিতা বা লঙ্ঘন একই সঙ্গে দুটি মারাত্মক কারণ। একটি ইহকালীন এবং অপরটি পরকালীন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ? তায়ালা বলেন, তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের যারা এরূপ করে তাদের প্রতিফল পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে (সূরা বাকারা: ৮৫)। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, এটা (কোরান) মানুষের জন্য জ্ঞান, হিদায়াত (পথ নির্দেশক) এবং রহমত (সূরা জাসিয়া: ২০)। আল্লাহ আরো বলেন, রাসুল (সা.) তোমাদের কাছে যা কিছু নিয়ে আসেন, তোমরা তা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক (সূরা হাশার: ৭)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। তোমরা যতদিন সে দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবে, ততদিন তোমরা পথহারা? হবে না। সে দুটি হলো আল্লাহ?র কোরান ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহ (মিশকাত)। শুধু কোরান ও হাদিস অবলম্বনে আমরা চলতে পারি না। কালক্রমে আমরা এমন এমন সমস্যার সম্মুখীন হই যাতে আমরা সেগুলোর সমাধান কোরান ও হাদিসে পাই না। তখন আমরা কী করব? সে পথনির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি জানা না থাকে তবে অভিজ্ঞজনকে (তার সমাধান) জিজ্ঞাসা কর (সূরা নাহল: ৪৩)। সেখান থেকেই ইসলামে ইজমা ও কিয়াসের সৃষ্টি হয়েছে। কোরান ও হাদিসের মতো ইজমা ও কিয়াসকেও ইসলামের মানদণ্ড মেনে পুরোপুরিভাবে শরিয়তের ওপর আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে।