ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহে এক শিক্ষকের কাছ থেকে আরেক শিক্ষকের চাঁদাবাজী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

24545r

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে চাকরী যাওয়ার ভয় দেখিয়ে এক শিক্ষক আরেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আবার তা ফেরতও দিয়েছেন। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর নিকট থেকে একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন নামে এক শিক্ষক এই কান্ডটি ঘটিয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের এসব অবৈধ কাজে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের হাত রয়েছে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কলেজের সাধারন শিক্ষক-কর্মচারিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে চিকিৎসা নিতে ভারতে যান। সেখান থেকে মোবাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসার পর সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের সহযোগীতায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল প্রভাষক দিপকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রাখেন এবং বেতনও বন্ধ করে দেন। অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের পরামর্শে সহকারী অধ্যাপক আশরাফ ভারতে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসা দিপক কুমার অধিকারীর চাকরী খাওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। প্রভাষক দিপক কুমার চাকরী বাচাঁতে স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে দু’দফায় ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৫০ হাজার টাকা ও একই মাসের ২৮ তারিখে অধ্যাপকের অফিসের সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ও সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ব্যাপারে কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর চাকরীতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই জন্য আমি তাকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম মাত্র। এর জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ জানান, প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর ছুটি ছাটার ব্যাপারে একটা বিষয় আছে। তিনি জানান, টাকা পয়সার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি টাকা পয়সা নিয়ে এধরনে কোন বানিজ্য কলেজে হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। কিন্তু দিপক কুমার অধিকারী জানান, তার কাছ থেকে এই দুইজন টাকা নিয়ে পরে ফেরৎ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে এক শিক্ষকের কাছ থেকে আরেক শিক্ষকের চাঁদাবাজী!

আপলোড টাইম : ১২:২৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬

24545r

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে চাকরী যাওয়ার ভয় দেখিয়ে এক শিক্ষক আরেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আবার তা ফেরতও দিয়েছেন। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর নিকট থেকে একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন নামে এক শিক্ষক এই কান্ডটি ঘটিয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের এসব অবৈধ কাজে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের হাত রয়েছে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কলেজের সাধারন শিক্ষক-কর্মচারিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে চিকিৎসা নিতে ভারতে যান। সেখান থেকে মোবাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসার পর সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের সহযোগীতায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল প্রভাষক দিপকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রাখেন এবং বেতনও বন্ধ করে দেন। অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের পরামর্শে সহকারী অধ্যাপক আশরাফ ভারতে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসা দিপক কুমার অধিকারীর চাকরী খাওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। প্রভাষক দিপক কুমার চাকরী বাচাঁতে স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে দু’দফায় ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৫০ হাজার টাকা ও একই মাসের ২৮ তারিখে অধ্যাপকের অফিসের সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ ও সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ব্যাপারে কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর চাকরীতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই জন্য আমি তাকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম মাত্র। এর জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ জানান, প্রভাষক দিপক কুমার অধিকারীর ছুটি ছাটার ব্যাপারে একটা বিষয় আছে। তিনি জানান, টাকা পয়সার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি টাকা পয়সা নিয়ে এধরনে কোন বানিজ্য কলেজে হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। কিন্তু দিপক কুমার অধিকারী জানান, তার কাছ থেকে এই দুইজন টাকা নিয়ে পরে ফেরৎ দিয়েছেন।