বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত
- আপলোড টাইম : ১২:১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫০০ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর, অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় সংসদ। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা সংসদে গৃহীত হয়। ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘জাতির পিতার হত্যাকারীদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক।’ প্রস্তাবটিতে ১০ এমপি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এই ১০ জনই অবিলম্বে এটি কার্যকর করার দাবি করেন। সিদ্ধান্ত প্রস্তাবকারীর বক্তব্য শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার ব্যাখ্যা প্রদানকালে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এদের বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার নেই। এটা আমি বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। এদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যা পাওয়া যাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়া হলো, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন কোন বিশেষ আইনে নয়, সাধারণ আইনেই এই বিচার হবে। আইনের ধারা বজায় রেখে এদের বিচার হয়েছে। বিচারে যারা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, যাদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে অর্থাৎ তারা যখন মারা গেছেন তাদের সব সম্পদ ওয়ারিশদের হাতে চলে গেছে। এজন্য এই সম্পদ ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন লাগবে। আর যারা পলাতক আছেন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের প্রয়োজন নেই। আমি স্বস্তির সঙ্গে বলছি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সম্পত্তি যেমন তারা রাখতে পারে না; তেমনি বাংলাদেশের জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, আন্দোলন করেছেন, তাদের যারা হত্যা করেছে তারাও সম্পত্তি রাখতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংসদেই আইনটি আনা হবে এবং মহান সংসদ আইনটি গ্রহণ করবে।