শরিয়তের মানদণ্ড হাদিস
- আপলোড টাইম : ১২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: হাদিস অর্থ কথা বা বাণী। ইসলামি শরিয়তের দ্বিতীয় মানদণ্ড হলো সুন্নাহ বা হাদিস। কারণ কোরান হলো মূল, আর সুন্নাহ বা হাদিস এর ব্যাখ্যা। পবিত্র কোরানে সব বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে, আর সুন্নাহ বা হাদিসে রয়েছে ঐসব বিষয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। শরিয়তের পরিভাষায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মুখনিঃসৃত বাণী, রাসুল হিসাবের তাঁর সম্পাদিত কাজ এবং সাহাবায়ে কেরামের শরিয়ত সম্পর্কিত এমন সব কথা ও কাজ রাসুলুল্লাহ (সা.) যার প্রতিবাদ করেননি বা নীরব থেকে এর প্রতি মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন, তাই হাদিস। এছাড়া হাদিসে কুদসি নামে আরো এক প্রকার হাদিস আছে। যা হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মধ্যস্থতা ছাড়া অবতীর্ণ এবং আল্লাহরই ভাষায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র জবানে প্রকাশ সেটাই হাদিসে কুদসি। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা শরীয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ, বিধিবিধান বর্ণনা করেছেন। এতে শরিয়তের আহকাম, মূলনীতি ও নির্দেশাবলি অতি সংক্ষেপে বিবৃত হয়েছে। আর এ সংক্ষিপ্ত নির্দেশগুলোকে কার্যকরী করার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিতেন। যেমন, পবিত্র কোরানে সালাত কায়েম করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে, প্রতি ওয়াক্তে কত রাকাত পড়তে হবে এবং কিভাবে পড়তে হবে এর বিস্তারিত বর্ণনা কোরানে নেই। তেমনিভাবে রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদির নিয়মকানুনের বিস্তারিত বর্ণনা কোরানে নেই। আল্লাহর হুকুম অনুসারে রাসুলুল্লাহ (সা.) এগুলোর যেসব নিয়মকানুন বর্ণনা করেছেন তাই হাদিস হিসেবে গণ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, রাসুল (সা.) তোমাদের যে আদেশ দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক (সূরা হাশর : ৭)। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও হাদিসের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতদিন তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। সে দুটি হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহ’ (মিশকাত ২২৪ পৃষ্ঠা)। বিদায় হজের ভাষণে মুসলিম উম্মাহর প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এখানে উপস্থিত তাদের কর্তব্য হচ্ছে, অনুপস্থিতদের কাছে আমার বাণী পৌঁছে দেওয়া’ (বুখারি)। তাই হাদিসকেও শরিয়তের মানদণ্ড মানতে হবে। হাদিসের গুরুত্বও অপরিসীম। শরিয়তসংক্রান্ত বিষয়ে হাদিস একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল। কোরানের মতো হাদিসেরও বিরোধিতা এবং অস্বীকার করা যাবে না।