ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত চিকিৎসাসেবা থেকে হাজারও মানুষ বঞ্চিত!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

rt4y654y6

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ফলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার হাজারও রোগী পড়ছে চরম বিপাকে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলাার সাধারন মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র কেন্দ্র। এটি পূর্বে ৩১শয্যা বিশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরনের লক্ষে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাসেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ও সাধারন মানুষকে আর যাতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এই পরিপেক্ষিতে তিনি যে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সকে ৩১শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করেন। এদিকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ালেও এখনও পর্যন্ত বাড়েনি চিকিৎসার মান। হাসপাতালে ৯জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে সাধারন মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৫জন ডাক্তার। শুধু তাই নয় এ হাসপাতালে নেই কোন আরএমও, মহিলাদের চিকিৎসার জন্য গাইনী কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও সে পদটিও খালি রয়েছে। হাসপাতালে নেই এ্যানেসথিয়াসিস্ট,  যার ফলে ওটি সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে আছে। সে কারনে এ হাসপাতালে কোন অপরেশন করা হয় না। হাসপাতালে জরুরী রোগী পরিবহনে একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই তার কোন কাজ, সারা বছর তেল বিনা এবং বহুদিন তা ব্যবহার না করে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মাঝে মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটিকে রোগী পরিবহনে দেখা গেলেও অধিকাংশ রোগীর স্বজনেরা এটি ভাড়া নিতে ভয় পায়। কারণ যেকোন সময় এটি বিকল হয়ে জরুরী রোগীর জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এই হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুত সরবরাহে একটি জেনারেটর থাকলেও জ্বালানির অভাবে বন্ধ থাকে সারা বছর। মাঝে মাঝে যখন কোন বিশেষ ব্যক্তি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন, শুধু মাত্র তখনই এটি ব্যবহার করা হয়। ৫১ শয্যার এই হাসাপাতালে হয় না কোন রক্তের গ্র“প পরীক্ষা,নেই কোন অক্সিজেন সিলিন্ডার ও এক্স-রে মেশিন।  ব্যান্ডেজ ,গজ ,সুচ পর্যন্ত নেই। শুধুই নেই আর নেই, এটি যেন হাসপাতালের একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আছে কয়েকটি ডাক্তার  আর নার্স। হাসপাতালে যে সমস্ত ডাক্তার রোগী দেখেন, তারা রোগী ছাড়া  বেশির ভাগ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের সময় দেন বেশি। গুরুতর রোগীর চেয়ে একজন ডাক্তারের কাছে আর কোন কিছু গুরুত্বপুর্ন হতে পারে  না। কিন্তু জীবননগর হাসপাতালে রোগীর চেয়ে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলা বেশি গুরুত্ব বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। অনেক সময় দেখা যায় ঔষধ কোম্পানীর লোকেরা ডাক্তারের রুমে তার চেয়ারে বসে আছেন। যার ফলে রোগীরা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে চরম সমস্যার সম্মুখীন হন। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মহেশপুর থানার শ্যমাকুড় গ্রামের সাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন আমি হাসপাতালে আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তার আমার ছেলের চিকিৎসা না দিয়ে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে গল্প করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ন ভেবে গল্পে মশগুল থাকেন। অনেকবার বলার পর কোন চিকিৎসা না দিয়েই আমাকে বললেন এখানে তোমার ছেলের  চিকিৎসা হবে না, পরামর্শ দিলেন বাইরে নিয়ে যাওয়ার। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে আমরা ইতোমধ্যেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেন নি। আর ঔষধ কোম্পানীর লোকদের ব্যাপারে আমরা একটি সময় নির্ধারন করে দিয়েছি। যদি কেউ এই নিয়ম না মানে তা হলে সেই ডাক্তার এবং ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নানা সমস্যায় জর্জরিত চিকিৎসাসেবা থেকে হাজারও মানুষ বঞ্চিত!

আপলোড টাইম : ১২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

rt4y654y6

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ফলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার হাজারও রোগী পড়ছে চরম বিপাকে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি জীবননগর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলাার সাধারন মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র কেন্দ্র। এটি পূর্বে ৩১শয্যা বিশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরনের লক্ষে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাসেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ও সাধারন মানুষকে আর যাতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এই পরিপেক্ষিতে তিনি যে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সকে ৩১শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করেন। এদিকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ালেও এখনও পর্যন্ত বাড়েনি চিকিৎসার মান। হাসপাতালে ৯জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে সাধারন মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৫জন ডাক্তার। শুধু তাই নয় এ হাসপাতালে নেই কোন আরএমও, মহিলাদের চিকিৎসার জন্য গাইনী কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও সে পদটিও খালি রয়েছে। হাসপাতালে নেই এ্যানেসথিয়াসিস্ট,  যার ফলে ওটি সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে আছে। সে কারনে এ হাসপাতালে কোন অপরেশন করা হয় না। হাসপাতালে জরুরী রোগী পরিবহনে একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই তার কোন কাজ, সারা বছর তেল বিনা এবং বহুদিন তা ব্যবহার না করে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মাঝে মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটিকে রোগী পরিবহনে দেখা গেলেও অধিকাংশ রোগীর স্বজনেরা এটি ভাড়া নিতে ভয় পায়। কারণ যেকোন সময় এটি বিকল হয়ে জরুরী রোগীর জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এই হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুত সরবরাহে একটি জেনারেটর থাকলেও জ্বালানির অভাবে বন্ধ থাকে সারা বছর। মাঝে মাঝে যখন কোন বিশেষ ব্যক্তি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন, শুধু মাত্র তখনই এটি ব্যবহার করা হয়। ৫১ শয্যার এই হাসাপাতালে হয় না কোন রক্তের গ্র“প পরীক্ষা,নেই কোন অক্সিজেন সিলিন্ডার ও এক্স-রে মেশিন।  ব্যান্ডেজ ,গজ ,সুচ পর্যন্ত নেই। শুধুই নেই আর নেই, এটি যেন হাসপাতালের একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আছে কয়েকটি ডাক্তার  আর নার্স। হাসপাতালে যে সমস্ত ডাক্তার রোগী দেখেন, তারা রোগী ছাড়া  বেশির ভাগ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের সময় দেন বেশি। গুরুতর রোগীর চেয়ে একজন ডাক্তারের কাছে আর কোন কিছু গুরুত্বপুর্ন হতে পারে  না। কিন্তু জীবননগর হাসপাতালে রোগীর চেয়ে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলা বেশি গুরুত্ব বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। অনেক সময় দেখা যায় ঔষধ কোম্পানীর লোকেরা ডাক্তারের রুমে তার চেয়ারে বসে আছেন। যার ফলে রোগীরা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে চরম সমস্যার সম্মুখীন হন। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মহেশপুর থানার শ্যমাকুড় গ্রামের সাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন আমি হাসপাতালে আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তার আমার ছেলের চিকিৎসা না দিয়ে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে গল্প করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ন ভেবে গল্পে মশগুল থাকেন। অনেকবার বলার পর কোন চিকিৎসা না দিয়েই আমাকে বললেন এখানে তোমার ছেলের  চিকিৎসা হবে না, পরামর্শ দিলেন বাইরে নিয়ে যাওয়ার। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে আমরা ইতোমধ্যেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেন নি। আর ঔষধ কোম্পানীর লোকদের ব্যাপারে আমরা একটি সময় নির্ধারন করে দিয়েছি। যদি কেউ এই নিয়ম না মানে তা হলে সেই ডাক্তার এবং ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।