ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শৈলমারী পুকুরে গোসল করার সময় শিশু ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা গ্রাম্যসালিসে অসন্তুষ্ট মেয়ের বাবা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

 new__100782

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের বিলপাড়ার জহিরুল ইসলামের ১০ বছর বয়সী কন্যা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী পুকুরে গোসল করার সময় এক পষন্ড তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। গ্রামবাসী জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ওই  মেয়েটি তার বাড়ীর পাশ্ববর্তী পুকুরে  গোসল করতে যায়। এ সময় মসজিদপাড়ার কায়েম আলীর ঘর জামাই জুমার আলী (৩২) তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তখন ১০ বছর বয়সী ওই মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় জুমার আলী স্থানীয় লোকজনকে বলে সে দুষ্টুমী করছিলো বলে আমি তাকে মারধর করেছি। এ নিয়ে গ্রামে একটি সালিশ বিচার বসে। গ্রাম্য সালিশে বিচারক হাফিজুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন ও শাজাহান আলী বিচারে অভিযুক্ত জুমার আলীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা ও ১০বার কান ধরে উঠবসের দন্ড দেয়। এই গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্তে মেয়ের বাবা অসন্তুষ্ট হয়ে বিচারস্থল ছেড়ে চলে যান। এব্যাপারে বেশ ক’জন এলাকাবাসী জানান অভিযুক্ত জুমার আলী গ্রাম্য সালিশের বিচারক শাহজান আলীর ভাইয়ের জামাই হওয়ায় এই পাতানো বিচারিক নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলমারী পুকুরে গোসল করার সময় শিশু ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা গ্রাম্যসালিসে অসন্তুষ্ট মেয়ের বাবা!

আপলোড টাইম : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

 new__100782

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের বিলপাড়ার জহিরুল ইসলামের ১০ বছর বয়সী কন্যা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী পুকুরে গোসল করার সময় এক পষন্ড তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। গ্রামবাসী জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ওই  মেয়েটি তার বাড়ীর পাশ্ববর্তী পুকুরে  গোসল করতে যায়। এ সময় মসজিদপাড়ার কায়েম আলীর ঘর জামাই জুমার আলী (৩২) তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তখন ১০ বছর বয়সী ওই মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় জুমার আলী স্থানীয় লোকজনকে বলে সে দুষ্টুমী করছিলো বলে আমি তাকে মারধর করেছি। এ নিয়ে গ্রামে একটি সালিশ বিচার বসে। গ্রাম্য সালিশে বিচারক হাফিজুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন ও শাজাহান আলী বিচারে অভিযুক্ত জুমার আলীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা ও ১০বার কান ধরে উঠবসের দন্ড দেয়। এই গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্তে মেয়ের বাবা অসন্তুষ্ট হয়ে বিচারস্থল ছেড়ে চলে যান। এব্যাপারে বেশ ক’জন এলাকাবাসী জানান অভিযুক্ত জুমার আলী গ্রাম্য সালিশের বিচারক শাহজান আলীর ভাইয়ের জামাই হওয়ায় এই পাতানো বিচারিক নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।