ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নিয়ে নির্যাতন গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধার অভিযোগ ঝিনাইদহে পুলিশের এক এএসআইসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

dfrererঝিনাইদহ অফিস: সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নিয়ে নির্যাতন, গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধার অভিযোগে ঝিনাইদহের একটি আদালতে পুলিশের এএসআই আরিফসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে (যার নং ৬৯৬/১৬)। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার মিলন রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার লক্ষ্মিপুর গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে আসমাউল হুসাইন। মামলার বাদী হরিণাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের মৃত গোলাপ মালিথার ছেলে মোঃ আশির উদ্দীন। তিনি আদালতে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, আসামী রেহেনা খাতুনের সাথে বাদীর স্ত্রী হাসিনা খাতুনের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা লোন উঠিয়ে দেন। এই টাকা মাসে মাসে পরিশোধ কার প্রতিশ্র“তি দেন আসামী রেহেনা। পরবর্ততে লোনের টাকা চাইলে আসামী রেহেনা নানা অজুহাত খাড়া করেন এবং বিভিন্ন লেঅক দিয়ে নানা ধরণের হুমকী দেন। গত ১১ সেপ্টম্বর আসামী রেহেনা টাকা দিবে বলে সংবাদ দেয়। সে মোতাবেক টাকা নিতে দেড়শ টাকার স্ট্যাম্পসহ বাদীর ছেলে উজ্জলকে পাগলাকানাই এলাকায় আসতে বলেন। টাকা নিতে আসা মাত্রই আসামী রেহেনা ও তার বোনের ছেলে আসমাউল অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক নিয়ে বাদীর ছেলে উজ্জলের গতিরোধ করে। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা এএসআই আরিফ বাদীর ছেলে উজ্জলকে দেখে বলে ওঠেন আমি তোকেই তো খজছি। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে টেনে হ্যাচড়ে ইজিবাইকে তুলে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যায়। ইজিবাইকের মধ্যে এএসআই আরিফ উজ্জলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুই কোর্টে চাকরী করিস। আর আমি আইন জন্ম দিই। তোর চাকরী আমি খেয়ে নেব। তোর মতো কত মানুষের আমি চাকরী খাইছি। পরবর্ততে আদালতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা বাদীর ছেলে উজ্জল ও তার বন্ধুকে থানা তেকে নিয়ে আসেন। আসামী রেহেনা খাতুনের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসামী এএসআই আরিফ ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। বাদীর আইনজীবী এড. শওকত আলী জানান, মামলাটি আদালত গ্রহন করে তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে। আদালতের আদেশের কপি সদর থানায় বিধি মোতাবেক পৌছে যাবে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নিয়ে নির্যাতন গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধার অভিযোগ ঝিনাইদহে পুলিশের এক এএসআইসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

আপলোড টাইম : ০১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

dfrererঝিনাইদহ অফিস: সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নিয়ে নির্যাতন, গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধার অভিযোগে ঝিনাইদহের একটি আদালতে পুলিশের এএসআই আরিফসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে (যার নং ৬৯৬/১৬)। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার মিলন রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার লক্ষ্মিপুর গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে আসমাউল হুসাইন। মামলার বাদী হরিণাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের মৃত গোলাপ মালিথার ছেলে মোঃ আশির উদ্দীন। তিনি আদালতে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, আসামী রেহেনা খাতুনের সাথে বাদীর স্ত্রী হাসিনা খাতুনের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা লোন উঠিয়ে দেন। এই টাকা মাসে মাসে পরিশোধ কার প্রতিশ্র“তি দেন আসামী রেহেনা। পরবর্ততে লোনের টাকা চাইলে আসামী রেহেনা নানা অজুহাত খাড়া করেন এবং বিভিন্ন লেঅক দিয়ে নানা ধরণের হুমকী দেন। গত ১১ সেপ্টম্বর আসামী রেহেনা টাকা দিবে বলে সংবাদ দেয়। সে মোতাবেক টাকা নিতে দেড়শ টাকার স্ট্যাম্পসহ বাদীর ছেলে উজ্জলকে পাগলাকানাই এলাকায় আসতে বলেন। টাকা নিতে আসা মাত্রই আসামী রেহেনা ও তার বোনের ছেলে আসমাউল অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক নিয়ে বাদীর ছেলে উজ্জলের গতিরোধ করে। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা এএসআই আরিফ বাদীর ছেলে উজ্জলকে দেখে বলে ওঠেন আমি তোকেই তো খজছি। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে টেনে হ্যাচড়ে ইজিবাইকে তুলে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যায়। ইজিবাইকের মধ্যে এএসআই আরিফ উজ্জলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুই কোর্টে চাকরী করিস। আর আমি আইন জন্ম দিই। তোর চাকরী আমি খেয়ে নেব। তোর মতো কত মানুষের আমি চাকরী খাইছি। পরবর্ততে আদালতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা বাদীর ছেলে উজ্জল ও তার বন্ধুকে থানা তেকে নিয়ে আসেন। আসামী রেহেনা খাতুনের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসামী এএসআই আরিফ ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। বাদীর আইনজীবী এড. শওকত আলী জানান, মামলাটি আদালত গ্রহন করে তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে। আদালতের আদেশের কপি সদর থানায় বিধি মোতাবেক পৌছে যাবে বলেও তিনি জানান।