ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ কোর্ট হাজত খানায় অপ্রীতিকর ঘটনা কার কথা ঠিক ?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৩০০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের হাজত খানায় সোমবার তুলকালাম কান্ড ঘটে যায়। এক  হাজতির হাতে লাঞ্চিত হন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী। এ নিয়ে পুলিশ ও বিচারাঙ্গনে হৈ-চৈ পড়ে যায়। ঘটনা শুনে ছুটে আসেন র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সাংবাদিক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরাও ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তবে এ নিয়ে কোন আইনী পদক্ষেপের কথা শোনা যায় নি। প্রত্যাক্ষদর্শরা জানান, সোমবার দুপুরে রাসেল নামে এক হাজতির সাথে সাক্ষাত ও খাবার দিতে আসেন স্বজনরা। এ সময় খাবার দিতে বেশি টাকা চাওয়া হয়। এ নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের সাথে বচসা হয় রাসেলের বন্ধু জাকিরসহ অন্যান্যদের। তাদের অভিযোগ খাবার দিতে ৪০০ টাকা দাবী করা হয়। হৈচৈ শুনে কোর্ট হাজতখানার সামনে ছুটে আসেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী। সেখানে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। ছিড়ে যায় সার্টের বোতাম। মুহুর্তের মধ্যে খবরটি চাউর হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে র‌্যাব ও পুলিশ উপস্থিত হয়। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান, সেখানে তেমন কিছুই ঘটেনি। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ছিল। কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী জানান, দলবেধে লোকজন দেখা করতে আসছিলো। আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের সাথে রাসেলের স্বজনরা তর্কবিতর্ক করে। এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন। কোর্ট হাজতে আসামীদের সাথে সাক্ষাত ও খাবার দেওয়া বৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমরা খাবার দিতে দিই। আর সাক্ষাতের বিষয়টি তো বহু পুরানো। খাবার ও দেখা করতে টাকা দিতে হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, সাক্ষাতে আসুন। তখন বিস্তারিত বলা যাবে। মোবাইলে এতো কথা বলা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য ঝিনাইদহ কোর্ট হাজত খানায় আসামীদের সাথে দেখা করতে ও খাবার দিতে টাকা নেওয়া হয় এমন কথা শোনা যায়। সোমবারও এই টাকা নিয়েই ঘটনার সুত্রপাত। কিন্তু বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কোর্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নানা রকম তথ্য দেওয়া হয়। প্রত্যাক্ষদর্শী ও কোর্ট পুলিশের বর্ননায় ব্যাপক গরমিল পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া এ ঘটনা নিয়ে কোট পুলিশ, আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্র ও জেলা পুলিশের বক্তব্যও একেক রকম। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কার কথা ঠিক ?

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ কোর্ট হাজত খানায় অপ্রীতিকর ঘটনা কার কথা ঠিক ?

আপলোড টাইম : ১২:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের হাজত খানায় সোমবার তুলকালাম কান্ড ঘটে যায়। এক  হাজতির হাতে লাঞ্চিত হন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী। এ নিয়ে পুলিশ ও বিচারাঙ্গনে হৈ-চৈ পড়ে যায়। ঘটনা শুনে ছুটে আসেন র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সাংবাদিক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরাও ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তবে এ নিয়ে কোন আইনী পদক্ষেপের কথা শোনা যায় নি। প্রত্যাক্ষদর্শরা জানান, সোমবার দুপুরে রাসেল নামে এক হাজতির সাথে সাক্ষাত ও খাবার দিতে আসেন স্বজনরা। এ সময় খাবার দিতে বেশি টাকা চাওয়া হয়। এ নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের সাথে বচসা হয় রাসেলের বন্ধু জাকিরসহ অন্যান্যদের। তাদের অভিযোগ খাবার দিতে ৪০০ টাকা দাবী করা হয়। হৈচৈ শুনে কোর্ট হাজতখানার সামনে ছুটে আসেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী। সেখানে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। ছিড়ে যায় সার্টের বোতাম। মুহুর্তের মধ্যে খবরটি চাউর হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে র‌্যাব ও পুলিশ উপস্থিত হয়। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান, সেখানে তেমন কিছুই ঘটেনি। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ছিল। কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল বারী জানান, দলবেধে লোকজন দেখা করতে আসছিলো। আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের সাথে রাসেলের স্বজনরা তর্কবিতর্ক করে। এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন। কোর্ট হাজতে আসামীদের সাথে সাক্ষাত ও খাবার দেওয়া বৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমরা খাবার দিতে দিই। আর সাক্ষাতের বিষয়টি তো বহু পুরানো। খাবার ও দেখা করতে টাকা দিতে হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, সাক্ষাতে আসুন। তখন বিস্তারিত বলা যাবে। মোবাইলে এতো কথা বলা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য ঝিনাইদহ কোর্ট হাজত খানায় আসামীদের সাথে দেখা করতে ও খাবার দিতে টাকা নেওয়া হয় এমন কথা শোনা যায়। সোমবারও এই টাকা নিয়েই ঘটনার সুত্রপাত। কিন্তু বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কোর্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নানা রকম তথ্য দেওয়া হয়। প্রত্যাক্ষদর্শী ও কোর্ট পুলিশের বর্ননায় ব্যাপক গরমিল পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া এ ঘটনা নিয়ে কোট পুলিশ, আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্র ও জেলা পুলিশের বক্তব্যও একেক রকম। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কার কথা ঠিক ?