ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাকিব মেম্বারের দাফন নিজ গ্রামে সম্পন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

CHUADANGA PIC-1

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামী চুয়াডাঙ্গা সদরের আলোকদিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম রাকিব(৩০) শনিবার দিনগত রাত ২টায় বন্দুক যুদ্ধে নিহতের পর গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে রাকিব মেম্বারের নিহতের ঘটনায় দামুড়হুদা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন হয়েছে। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ কে সাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছে। গতকাল সকালে রাকিব মেম্বারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার  খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা শহরে স্কুল কলেজের ছাত্র জনতা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করে। উল্লেখ্য, বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাকিব মেম্বার শিশু সজিব অপহরণ, খুন ও গুম মামলার প্রধান আসামি। সজিব চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলো। তাকে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা চত্বরের বৃক্ষমেলা থেকে কৌশঁলে তারই সিনিয়র বন্ধু শাকিলের মাধ্যমে রাকিবের চার্জার লাইটের কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সজিবকে আটকে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে সজিবকে হত্যা করে কারখানার উঠানের সেপটিক ট্যাংকে লাশ গুম করা হয়। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ তদন্ত করে অপহরণের ৩২ দিনের মাথায় গত ৩১ আগস্ট সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত সজিবের গলিত লাশ উদ্ধার করে। এরপর থেকে সজিব হত্যায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে নামে। লাশ উদ্ধারে দিন নিহত রাকিবের শ্বশুর, শাশুড়ী ও শ্যালককে গ্রেফতার করে র‌্যাব এবং দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর করলে দামুড়হুদা থানা পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে র‌্যাব হত্যায় জড়িত শাহীন ও মামুনকে আটক করে এবং হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। এই ঘটনায়  ঝিনাইদহ র‌্যাব- ৬’র ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ সাংবাদিকদের  জানান, শনিবার রাতে র‌্যাবের একটি টহলদল দামুড়হুদা এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিলো। এসময় গোপনসূত্রে খবর আসে দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামের মাঠে আজিজ খার আমবাগানে একদল দূর্বৃত্ত গোপন বৈঠক করছে। উক্ত সংবাদের ভিতিত্ত্বে র‌্যাবের টহলদল সেখানে অভিযান চালালে দূর্বৃত্তরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় শাটারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী মৃত ব্যক্তিকে রাকিব মেম্বার বলে সনাক্ত করে। দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ জুলাই দামুড়হুদা ব্রিজ মোড় এলাকার মৃত্যু হাবিবুর রহমানের ছেলে সজীবকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বৃক্ষমেলার মাঠ থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের প্রায় এক মাস পর র‌্যাব সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি চার্জার লাইট কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সজীবের গলিত লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় সজিবের মামা আবদুল হালিম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় রাকিব মেম্বারসহ ছয়জনের নামে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাকিব মেম্বারের দাফন নিজ গ্রামে সম্পন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

আপলোড টাইম : ০২:১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

CHUADANGA PIC-1

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামী চুয়াডাঙ্গা সদরের আলোকদিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম রাকিব(৩০) শনিবার দিনগত রাত ২টায় বন্দুক যুদ্ধে নিহতের পর গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে রাকিব মেম্বারের নিহতের ঘটনায় দামুড়হুদা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন হয়েছে। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ কে সাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছে। গতকাল সকালে রাকিব মেম্বারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার  খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা শহরে স্কুল কলেজের ছাত্র জনতা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করে। উল্লেখ্য, বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাকিব মেম্বার শিশু সজিব অপহরণ, খুন ও গুম মামলার প্রধান আসামি। সজিব চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলো। তাকে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা চত্বরের বৃক্ষমেলা থেকে কৌশঁলে তারই সিনিয়র বন্ধু শাকিলের মাধ্যমে রাকিবের চার্জার লাইটের কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সজিবকে আটকে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে সজিবকে হত্যা করে কারখানার উঠানের সেপটিক ট্যাংকে লাশ গুম করা হয়। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ তদন্ত করে অপহরণের ৩২ দিনের মাথায় গত ৩১ আগস্ট সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত সজিবের গলিত লাশ উদ্ধার করে। এরপর থেকে সজিব হত্যায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে নামে। লাশ উদ্ধারে দিন নিহত রাকিবের শ্বশুর, শাশুড়ী ও শ্যালককে গ্রেফতার করে র‌্যাব এবং দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর করলে দামুড়হুদা থানা পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে র‌্যাব হত্যায় জড়িত শাহীন ও মামুনকে আটক করে এবং হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। এই ঘটনায়  ঝিনাইদহ র‌্যাব- ৬’র ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ সাংবাদিকদের  জানান, শনিবার রাতে র‌্যাবের একটি টহলদল দামুড়হুদা এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিলো। এসময় গোপনসূত্রে খবর আসে দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা গ্রামের মাঠে আজিজ খার আমবাগানে একদল দূর্বৃত্ত গোপন বৈঠক করছে। উক্ত সংবাদের ভিতিত্ত্বে র‌্যাবের টহলদল সেখানে অভিযান চালালে দূর্বৃত্তরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় শাটারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী মৃত ব্যক্তিকে রাকিব মেম্বার বলে সনাক্ত করে। দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ জুলাই দামুড়হুদা ব্রিজ মোড় এলাকার মৃত্যু হাবিবুর রহমানের ছেলে সজীবকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বৃক্ষমেলার মাঠ থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের প্রায় এক মাস পর র‌্যাব সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি চার্জার লাইট কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সজীবের গলিত লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় সজিবের মামা আবদুল হালিম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় রাকিব মেম্বারসহ ছয়জনের নামে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।