জানমালের নিরাপত্তা
- আপলোড টাইম : ০২:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীতে মানুষের টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন তাদের জানমালের নিরাপত্তা। মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের প্রাথমিক বিষয়ই হলো তার জানমালের নিরাপত্তা ও বেঁচে থাকার অধিকার। অন্যকে নিরাপদ রাখা ও বেঁচে থাকতে দেয়া অন্যতম নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটি ইসলামের শিক্ষা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত ও সহিংসতাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মানবতাবিরোধী সব ধরনের অন্যায় হত্যাযজ্ঞ, রক্তপাত, অরাজকতা ও অপকর্ম প্রত্যাখ্যান করেছে। সৎকর্মে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে এবং জুলুম-নির্যাতনমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত-নির্বিশেষে মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের চেতনা এবং অর্থনৈতিক দর্শন ও অপরাধ দমনের কৌশল ইসলামকে দিয়েছে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা। কিন্তু শান্তির ধারক-বাহক জনগণের বিরুদ্ধে সব সময়ই অশান্তিকামী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তরা সুযোগ খুঁজতে থাকে। সুযোগ পেলেই তারা নিরীহ সাধারণ জনতার ওপর অন্যায় আক্রমণ করে বসে। ইসলাম কখনোই তাদের প্রশ্রয় দেয় না। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, আল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না’ (সুরা মায়েদা: ৬৪)। ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে মানবসন্তানকে হত্যা করা কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা, তাদের জানমালের ক্ষতিসাধন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করাকে কবিরা গুনাহ আখ্যায়িত করে এবং এর ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নরহত্যা বা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করা হেতু ব্যতীত কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল’ (সুরা মায়েদা: ৩২)। মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তোমরা তাকে হত্যা করো না’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা’ (তিরমিজি)। তাই দুনিয়াতে সুখ-শান্তিময় ও নিরাপদ বসবাসের জন্য এবং আখেরাতে অশেষ কল্যাণ প্রাপ্তির জন্য ধ্বংসাত্মক এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আসুন, আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গড়ে তুলি।