ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়লা আবর্জনায় দূর্গন্ধময় পরিবেশ ও অপরিস্কার টয়লেট অতিষ্ঠ রোগীসহ স্বজনেরা : ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের অনীহা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৯৪৩ বার পড়া হয়েছে

j

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা ও অপরিস্কার টয়লেটের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হাসপাতালের রোগী ও রোগীর স্বজনেরা। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। এতে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তিপৌঁছেছে চরমে । সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অবহেলায় দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল ওয়ার্ডের টয়লেট, হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে এ দূর্গন্ধময় পরিবেশ চলে আসছে। এতে করে একদিকে রোগিদের সুস্থ হতে যেমন সময় লাগছে বেশী, অন্যদিকে রোগী দেখতে আসা স্বজনেরা এই গন্ধময় পরিস্থিতিতে অসুস্থতার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। একইসাথে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনেরা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরী বিভাগ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ওয়ার্ডে ঢোকার মুখেই রয়েছে প্রচন্ড দূর্গন্ধময় পরিবেশ। প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রবেশের মুখেই রয়েছে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ এবং এর থেকে আসা প্রচন্ড দুর্গন্ধ, যা নাকে-মুখে কাপড় দিয়েও সহ্য করা দায়। এ ছাড়াও হাসপাতালের জেনারেটর রুমের সামনে, লাশ ঘরের পাশে ও মর্গের সামনে ময়লা আবর্জনা ভর্তি। দীর্ঘদিন ধরে এসব আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আবার এসব নোংরা আবর্জনায় বৃষ্টির পানি জমে মশার জন্ম ও উপদ্রব বাড়ছে। মশার উপদ্রবের কারণে ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় সময় রোগীর স্বজনদের হাসপাতালের ভিতরে নাকে কাপড় দিয়ে চলা ফেরা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। অন্যদিকে  রয়েছে  টয়লেটের দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ। প্রত্যেক  ওয়ার্ডের টয়লেটে এমন নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ যা ব্যবহার তো দুরে থাক, চোখে দেখলেই যে কেউ বমি করতে বাধ্য। রোগী ও তার স্বজনেরা সকলেই  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন ফল পাননি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানার কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই বলে এমন সমস্যা  হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা কেন? এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়লা আবর্জনায় দূর্গন্ধময় পরিবেশ ও অপরিস্কার টয়লেট অতিষ্ঠ রোগীসহ স্বজনেরা : ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের অনীহা!

আপলোড টাইম : ১২:৩৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

j

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা ও অপরিস্কার টয়লেটের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হাসপাতালের রোগী ও রোগীর স্বজনেরা। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। এতে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তিপৌঁছেছে চরমে । সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অবহেলায় দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল ওয়ার্ডের টয়লেট, হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে এ দূর্গন্ধময় পরিবেশ চলে আসছে। এতে করে একদিকে রোগিদের সুস্থ হতে যেমন সময় লাগছে বেশী, অন্যদিকে রোগী দেখতে আসা স্বজনেরা এই গন্ধময় পরিস্থিতিতে অসুস্থতার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। একইসাথে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনেরা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরী বিভাগ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ওয়ার্ডে ঢোকার মুখেই রয়েছে প্রচন্ড দূর্গন্ধময় পরিবেশ। প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রবেশের মুখেই রয়েছে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ এবং এর থেকে আসা প্রচন্ড দুর্গন্ধ, যা নাকে-মুখে কাপড় দিয়েও সহ্য করা দায়। এ ছাড়াও হাসপাতালের জেনারেটর রুমের সামনে, লাশ ঘরের পাশে ও মর্গের সামনে ময়লা আবর্জনা ভর্তি। দীর্ঘদিন ধরে এসব আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আবার এসব নোংরা আবর্জনায় বৃষ্টির পানি জমে মশার জন্ম ও উপদ্রব বাড়ছে। মশার উপদ্রবের কারণে ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় সময় রোগীর স্বজনদের হাসপাতালের ভিতরে নাকে কাপড় দিয়ে চলা ফেরা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। অন্যদিকে  রয়েছে  টয়লেটের দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ। প্রত্যেক  ওয়ার্ডের টয়লেটে এমন নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ যা ব্যবহার তো দুরে থাক, চোখে দেখলেই যে কেউ বমি করতে বাধ্য। রোগী ও তার স্বজনেরা সকলেই  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন ফল পাননি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানার কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই বলে এমন সমস্যা  হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা কেন? এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।