ইপেপার । আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৃষ্টিশক্তি আল্লাহর দান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি অন্যতম। অন্তঃকরণকে ভেতরে ও বাইরে সঠিক পথ দেখায় চোখের দৃষ্টি। এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। সাদা-কালো টিভির পর্দায় সব কিছু সাদা-কালো দেখায়। রঙিন টিভির পর্দায় সাদাকে সাদা, কালোকে কালো, লালকে লাল, সবুজকে সবুজই দেখায়। তার চেয়েও মূল্যবান সম্পদ মানুষের দুটি রঙিন চোখের দৃষ্টি। চোখের রঙিন দৃষ্টিতে দুনিয়ার সব কিছুর প্রকৃত রূপ-রঙ ধরা পড়ে। এমন মূল্যবান চোখ আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠ উপহার। এ চোখের দৃষ্টি দিয়ে আমরা কত কী দেখি। সুন্দর-কুৎসিত, ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন, নগ্নতা-বর্বরতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নয়নজুড়ানো দৃশ্যাবলি। আবার এ চোখের দৃষ্টি দিয়েই কোরান ও কিতাব পড়ি। এ চোখের দৃষ্টিতেই ধরা পড়ে রাজা-প্রজা এক কাতারে দাঁড়িয়ে স ষ্টাকে সিজদা করছে, একসঙ্গে কাবা তাওয়াফ করছে, একসঙ্গে ধর্ম-কর্ম পালন করছে। এ চোখের দৃষ্টিই প্রমাণ করছে শিশুকালে ও বার্ধক্যে মানুষ কত অসহায়, আবার যৌবনে কত শক্তিমান ও আমিত্বের অহঙ্কারে বেপরোয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য। এ জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (সূরা দাহর : আয়াত-২)। আসমান ও জমিনের এতসব সৌন্দর্য, অলৌকিকত্ব, মানুষের অন্তঃকরণের রঙিন চোখের পর্দায় অবশ্যই ধরা পড়ার কথা। যদি সে অন্ধ না হয়। মানুষ তার বোধশক্তি, মেধাকে কাজে না লাগালে, এ নিয়ে চিন্তা বা গবেষণা না করলে, মহান শিল্পীর সৃষ্টিকে বাইরের চোখ ও মনের চোখ কোনো চোখেই বড় করে দেখবে না। স ষ্টার অস্তিত্বের কোটি কোটি প্রমাণ তার কাছে শূন্য বলে বিবেচিত হবে। চোখের দৃষ্টিকে সঠিকভাবে পরিচালিত না করলে মানুষের কলব ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষ পশুর চেয়েও নি¤œস্তরে পৌঁছে যায়। অসভ্য, বর্বর, নীতিহীন, দুর্নীতিপরায়ণ, স্বার্থপর ও বিবেকহীন হয়। বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মানসিক অশান্তিতে ভোগে। বিপদে আপদে পতিত হয়। মূলত দিন-দুনিয়ার সব কাজের উৎস হলো অন্তঃকরণ। আর চোখের দৃষ্টি হলো অন্তঃকরণের মুখ্য  সৈনিক। এ বিষয়ে হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার চোখের ওপর জয়ী হতে পারে না তার অন্তঃকরণের কোনো মূল্য নেই।’ আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন রয়েছে সে ব্যাপারে তিনি অবহিত’ (সূরা মুমিন : আয়াত-১৯)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দৃষ্টিশক্তি আল্লাহর দান

আপলোড টাইম : ১২:১৮:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি অন্যতম। অন্তঃকরণকে ভেতরে ও বাইরে সঠিক পথ দেখায় চোখের দৃষ্টি। এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। সাদা-কালো টিভির পর্দায় সব কিছু সাদা-কালো দেখায়। রঙিন টিভির পর্দায় সাদাকে সাদা, কালোকে কালো, লালকে লাল, সবুজকে সবুজই দেখায়। তার চেয়েও মূল্যবান সম্পদ মানুষের দুটি রঙিন চোখের দৃষ্টি। চোখের রঙিন দৃষ্টিতে দুনিয়ার সব কিছুর প্রকৃত রূপ-রঙ ধরা পড়ে। এমন মূল্যবান চোখ আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠ উপহার। এ চোখের দৃষ্টি দিয়ে আমরা কত কী দেখি। সুন্দর-কুৎসিত, ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন, নগ্নতা-বর্বরতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নয়নজুড়ানো দৃশ্যাবলি। আবার এ চোখের দৃষ্টি দিয়েই কোরান ও কিতাব পড়ি। এ চোখের দৃষ্টিতেই ধরা পড়ে রাজা-প্রজা এক কাতারে দাঁড়িয়ে স ষ্টাকে সিজদা করছে, একসঙ্গে কাবা তাওয়াফ করছে, একসঙ্গে ধর্ম-কর্ম পালন করছে। এ চোখের দৃষ্টিই প্রমাণ করছে শিশুকালে ও বার্ধক্যে মানুষ কত অসহায়, আবার যৌবনে কত শক্তিমান ও আমিত্বের অহঙ্কারে বেপরোয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য। এ জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (সূরা দাহর : আয়াত-২)। আসমান ও জমিনের এতসব সৌন্দর্য, অলৌকিকত্ব, মানুষের অন্তঃকরণের রঙিন চোখের পর্দায় অবশ্যই ধরা পড়ার কথা। যদি সে অন্ধ না হয়। মানুষ তার বোধশক্তি, মেধাকে কাজে না লাগালে, এ নিয়ে চিন্তা বা গবেষণা না করলে, মহান শিল্পীর সৃষ্টিকে বাইরের চোখ ও মনের চোখ কোনো চোখেই বড় করে দেখবে না। স ষ্টার অস্তিত্বের কোটি কোটি প্রমাণ তার কাছে শূন্য বলে বিবেচিত হবে। চোখের দৃষ্টিকে সঠিকভাবে পরিচালিত না করলে মানুষের কলব ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষ পশুর চেয়েও নি¤œস্তরে পৌঁছে যায়। অসভ্য, বর্বর, নীতিহীন, দুর্নীতিপরায়ণ, স্বার্থপর ও বিবেকহীন হয়। বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মানসিক অশান্তিতে ভোগে। বিপদে আপদে পতিত হয়। মূলত দিন-দুনিয়ার সব কাজের উৎস হলো অন্তঃকরণ। আর চোখের দৃষ্টি হলো অন্তঃকরণের মুখ্য  সৈনিক। এ বিষয়ে হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার চোখের ওপর জয়ী হতে পারে না তার অন্তঃকরণের কোনো মূল্য নেই।’ আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন রয়েছে সে ব্যাপারে তিনি অবহিত’ (সূরা মুমিন : আয়াত-১৯)।