নিখোঁজ আলমডাঙ্গা নগরবোয়ালিয়ার রঞ্জিত জেহালার কেষ্ঠপুর থেকে উদ্ধার
- আপলোড টাইম : ০২:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৩০১ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের রঞ্জিত আলী (৫৫) নিখোঁজের ১৩ দিন পর উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের পারকেষ্ঠপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে। জানাযায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮ টায় জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সংলগ্ন মাঠে রঞ্জিতের চোখ বাঁধা অবস্থায় কে বা কারা রেখে গেলে রঞ্জিত বেশ কিছু সময় পর তার চোখে বাঁধা কাপড় খুলে ফেলে আশেপাশের লোককে জিজ্ঞাসা করে এটা কোন এলাকা। মাঠের বেশকিছু লোক এগিয়ে এসে তার কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জানতে পেরে তাকে জানায় এটা মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সংলগ্ন একটি মাঠ। তখন রঞ্জিত জেহালার পারকেষ্ঠপুরে তার ভাগনি জামাই আলিহীমের বাড়িতে যায়। ওখান থেকে তার বাড়িতে খবর দেয়। এ সময় হাটবোয়ালিয়া ফাড়ি ইনচার্জ আব্দুল গফুর খবর পেয়ে পারকেষ্ঠপুর গ্রামের আলিহীমের বাড়ি থেকে রঞ্জিতকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ তার কাছ থেকে সম্স্ত ঘটনা জানার পর বুঝতে পারে এটি অপহরণ নয় অপহরনের নাটক সাজিয়ে রঞ্জিত গাঢাকা দিয়েছিল। রঞ্জিত জানায়, তার চাচাতো ভাইদের সাথে জমিজায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আজ থেকে ১৩ দিন আগে রঞ্জিতের নিজ পানবরজ থেকে সন্ধার দিকে কে বা কারা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ১৩ দিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে তাকে ঠিকমতো খেতে দেয়নি। বেশির ভাগ সময় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখত। বিষয়টি আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ শোনার পর তাকে নানাবিধ প্রশ্ন করলে রঞ্জিত সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেনি। এখানেও সন্দেহ হলে তার পরিবারের সাথে আলাপ করে। এক পর্যায়ে জানতে পারে অপহরণ ঘটনাটি সাজানো। প্রকৃত রঞ্জিত অপহরণ হয়নি। সে নিজেই অন্যদের ফাসানোর জন্য গা ঢাকা দিয়েছিল। এবিষেয় ওসি রঞ্জিত ও তার পরিবারের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে রঞ্জিতকে পরিবারের লোকের কাছে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে নগর বোয়ালিয়ার মৃত হায়দার বিশ্বাসের ছেলে রঞ্জিত যাওয়ার আগমুহুর্ত পর্যন্তও বলে গেছেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।